মাসুদ হাসান
আপডেট: ১১:১০, ২২ মে ২০২১
টিকা উৎপাদনে কতটা সক্ষম বাংলাদেশ?
পৃথিবীর ৭৮০ কোটি মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশকে টিকা দেওয়া নিঃসন্দেহে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? টিকা উৎপাদন সক্ষমতা, টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা, টিকা দেওয়ার হার এবং টিকা ক্রয়ের সামর্থ্য নিয়ে আইনিউজের বিশেষ প্রতিবেদন।
বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ল্যাবের কেমিক্যাল অংশ গত বছরের মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। তবে বায়োলজিক্যাল অংশের কাজ বাকি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এটি করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। -জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশ: বর্তমান প্রেক্ষাপট
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে টিকা দেয়া ছাড়া করোনাভাইরাসকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। বিশ্বের সবাইকে কবে নাগাদ টিকার আওতায় আনা সম্ভব সেটা নিয়ে ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-এর করা এক গবেষণার ফলাফলে ধনী ও গরিব দেশগুলোর ব্যবধানটা অত্যন্ত স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।
টিকা উৎপাদন সক্ষমতা, টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা, টিকা দেওয়ার হার এবং টিকা ক্রয়ের সামর্থ্য - এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যাচ্ছে প্রথম সারিতে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য আর পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশ, দ্বিতীয় সারিতে রাশিয়া, কানাডা, দক্ষিণ আমেরিকার অধিকাংশ দেশ ও অস্ট্রেলিয়া, তৃতীয় সারিতে ভারত, চীন ও পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ এবং শেষ সারিতে আছে বাংলাদেশ, মধ্য এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ।
সারা বিশ্বে প্রায় পৌণে দুইশো কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও টিকা সহজলভ্য হয়ে উঠেনি। ২০ মে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন আনার জন্য চিঠি দিলেও এখনো জবাব মেলেনি। আর যুক্তরাজ্যের সাথে অনেক যোগাযোগ করেও সরকারিভাবে টিকা আনা যাচ্ছে না, এক্ষেত্রে উৎপাদক কোম্পানির সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে দেশটি। এছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৮ মে ফোনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে দেশের ১৫ লক্ষ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য আটকে গেছে জানিয়ে প্রয়োজনে উপহার হিসেবে টিকা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় দেখিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপাতত উপহার দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম অবস্থায় দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, রাষ্ট্রযন্ত্র এমনকি সাধারণ মানুষও বিচলিত না হয়ে পারেন না। একইসাথে নিজেদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ টিকা উৎপাদনে কতটা সক্ষম সে প্রশ্নও জেগেছে অনেকের মনে।
টিকা উৎপাদনে এগিয়ে যারা
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিকদের জন্য টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছে, কারণ টিকা তৈরির পেছনে তারা বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছে। কানাডা এবং ইউরোপের কয়েকটি ধনী দেশ টিকা তৈরির জন্য ততটা মনোযোগ না দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তুলনায় সামান্য পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু টিকা উৎপাদক হিসেবে ভারতের সাফল্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া। এখন সেখানে প্রতিদিন প্রায় ২৪ লাখ ডোজ টিকা তৈরি হচ্ছে।
টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশের আগ্রহ
বিশ্বব্যাপী টিকা তৈরির গতি হয়তো এখন বেড়েছে, কিন্তু পৃথিবীর ৭৮০ কোটি মানুষের উল্লেখযোগ্য অংশকে টিকা দেওয়া নিঃসন্দেহে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এই প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? আমাদের দেশে টিকা তৈরিতে সক্ষম ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোর অবস্থা কিন্তু খারাপ নয়। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যালস আগ্রহ দেখিয়েছে এবং এই দু’টো টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কোর কমিটিও গঠন করেছে। এই কমিটি প্রাথমিকভাবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ও হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস-এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করে সেই প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমাও দিয়েছে। যতটুকু জানা গেছে কোর কমিটি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসকে টিকা উৎপাদনে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করেছে এবং কমিটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি পেলে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই ওই দুই কোম্পানি উৎপাদনে যেতে পারবে।
সীমাবদ্ধতা যেখানে
করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করতে হলে উচ্চতর প্রযুক্তি দরকার হয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সে ধরণের প্রযুক্তি নেই। তারা মনে করেন, প্রযুক্তিগতভাবে দেশ পিছিয়ে রয়েছে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য যে গবেষণা ও তহবিল দরকার তা বাংলাদেশের নেই। টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূলত দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উচ্চমানসম্পন্ন প্রযুক্তি এবং টিকা তৈরির কাঁচামাল। এই কাঁচামালগুলো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হয়।
তৈরি হচ্ছে সম্ভাবনার ক্ষেত্র
স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়, ইনসেপ্টা ও পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়া ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ল্যাবটিও কিছু শর্ত পূরণ করলে টিকা তৈরিতে সক্ষম হবে। তারা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুকতাদির বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শর্ত পূরণ করে টিকা উৎপাদনের জন্য তাদের আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে টিকা উদ্ভাবক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও ইতিবাচক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত কোনো টিকার কাঁচামাল পেলে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতি বছর ৫০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে টিকা উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষমতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাঁচামাল সরবরাহ করবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে টিকা সংকট দূর করতে এর বিকল্প নেই।
স্পুটনিক-ভি টিকায় অগ্রগতি
দেশে স্পুটনিক-ভি টিকা উৎপাদনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়া দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রস্তাব অনুযায়ী, রাশিয়া প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। আর বাংলাদেশি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশেই স্পুটনিক-ভি টিকা উৎপাদন করবে। কারণ আমাদের যে পরিমাণ টিকা লাগবে, তা রাশিয়া পুরোপুরি দিতে পারবে না। এ জন্য তারা প্রযুক্তি সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, যৌথভাবে টিকা উৎপাদন হতে পারে। তবে টিকা উৎপাদনের ফর্মুলা বাংলাদেশ কাউকে দিতে পারবে না। রাশিয়ার এই শর্তে রাজি হয়ে চুক্তিতে সই করেছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে সক্ষম- এমন একাধিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা রাশিয়াকে দেওয়া হয়েছে। এখন রাশিয়া এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রযুক্তি সরবরাহ করতে পারবে। রাশিয়া যৌথভাবে বাংলাদেশে উৎপাদিত টিকা রপ্তানিরও প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। জরুরিভিত্তিতে টিকা রাশিয়া থেকে ক্রয় করা হবে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদনে যেতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এ কারণে জরুরি চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় টিকা তাদের কাছ থেকে কেনা হবে।
রপ্তানিও করা যাবে টিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, রাশিয়া টিকার প্রযুক্তি ও কাঁচামাল সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। সুতরাং প্রযুক্তি ও কাঁচামাল পেলে টিকা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। রাশিয়ার টিকাটির কার্যকারিতা ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যান্য অধিকাংশ টিকার তুলনায় রাশিয়ার টিকা এগিয়ে। এই টিকাটি বাংলাদেশ পেলে সেটি হবে সবচেয়ে ভালো বিকল্প। রাশিয়া গত বছরের ডিসেম্বরে স্পুটনিক-ভি বাংলাদেশে সরবরাহের প্রস্তাব দেয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরেরও রয়েছে সক্ষমতা
অন্যদিকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারটি এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। সেজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা চেয়ে গত সপ্তাহে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই চিঠির জবাব এখনও আসেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ল্যাবের কেমিক্যাল অংশ গত বছরের মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। তবে বায়োলজিক্যাল অংশের কাজ বাকি আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এটি করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ টিকার উৎপাদনের অনুমোদন পেতে হলে কিংবা বিদেশে রপ্তানি করতে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবে ওই টিকা তৈরি হতে হবে। এসব কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ল্যাবটি তৈরি করে দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দেশে চীনের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে রয়েছে আগ্রহ
চীন থেকে ভ্যাকসিন কেনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা চীনের সঙ্গে ব্যবসা করেন এবং দেশের যে সকল শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনা করছেন তারা ওই দেশে উৎপাদিত ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। কেননা এতে করে চীনের সঙ্গে তাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। আমরা এর আগে রূপপুরে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য রাশিয়ার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছি। এরই মধ্যে রূপপুরে তাদের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা কিছু ভ্যাকসিন চীন থেকেও কিনব।’
উৎপাদন বাড়াতে সেরাম বেক্সিমকোর সাথে কথা বলেছে
বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে আলোচনা করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি পূরণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। যার ফলশ্রুতিতে তারা উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশি এজেন্ট বেক্সিমকো ফার্মার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্যে বড় আকারের বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এ ধরনের বিনিয়োগ করার আগে আমাদেরকে এ প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। শুধু অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্যে উৎপাদন করলে তা বাস্তবসম্মত হবে না। আমরা এখন তাদের কাছ (সেরাম) থেকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি বেক্সিমকো দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারে, তাহলে তা দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’
অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে যোগাযোগ করেছে সরকার
সরকার ইতোমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশে তাদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের উৎপাদন করার অনুমোদন দিতে। গত মাসে যুক্তরাজ্য-সুইডেন ভিত্তিক এই বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কাছে বীজ থেকে তা উৎপাদনের প্রযুক্তি অথবা আমদানি করে প্যাকেজিং করার লক্ষ্যে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহ চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছে থেকে এখনো কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে ১৫টি দেশে ২০টিরও অধিক সরবরাহ অংশীদার, ২০টিরও বেশি বিশ্লেষণী পরীক্ষাগার এবং যুক্তরাজ্যে তিনটি ও ইউরোপের বাকি দেশগুলোতে পাঁচটিরও বেশি উৎপাদন কেন্দ্র।
টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের
বাংলাদেশে বিশ্ব মানের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং এ কারণেই বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করছে। যেখান থেকে ক্যান্সারের মতো রোগের ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে সেখানে কেন করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করা সম্ভব হবে না সে প্রশ্ন তো আসতেই পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশে অন্তত তিন থেকে চারটা ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা টিকা বানাতে সক্ষম। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি এখন আর আগের অবস্থায় নাই। এগুলো আগের তুলনায় অনেক অনেক বেশি উন্নত। বিশ্বমানের কোম্পানিও রয়েছে কয়েকটি।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর