স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ২১:১৬, ৫ জুলাই ২০২১
হঠাৎ হাঁটু মচকে গেলে
শরীরের জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়েন্ট হাঁটু। যা তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। হাঁটুতে চারটি প্রধান লিগামেন্ট ও দুটি মেনিসকাস থাকে।
লিগামেন্ট হলো ইলাস্টিক টিস্যু, যা একটি হাড়কে অন্য হাড়ের সঙ্গে যুক্ত করে, জয়েন্টে শক্তি প্রদান করে, হাড়ের নড়াচড়ায় অংশগ্রহণ করে এবং জয়েন্টের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। মেনিসকাস ঊরুর হাড় থেকে পায়ের হাড়ে শরীরের ওজন সমভাবে সরবরাহ করে, হাড়ের প্রয়োজনীয় নড়াচড়ায় সহায়তা করে এবং জয়েন্টের দৃঢ় অবস্থা বজায় রাখে।
বসতে, দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে, ওপরে উঠতে ও নামতে গেলে প্রয়োজন এই হাঁটু। অনেক সময় হঠাৎ করে হাঁটু মচকে যেতে পারে। লিগামেন্ট বিকৃতি হতে পারে কিংবা আংশিক বা সম্পূর্ণ ছিঁড়ে যেতে পারে।
হাঁটু মচকে যাওয়ার কারণ
১. হঠাৎ হাঁটু মোচড় খেলে।
২. রিকশা থেকে পড়ে গেলে।
৩. গাড়ি বা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।
৪. খেলাধুলা করার সময়।
৫. মই থেকে পড়ে গেলে।
৬. গাড়ি থেকে পড়ে গেলে।
৭. সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় এক ধাপ ভুল করলে।
৮. হাঁটুর বাইরের দিকে সরাসরি আঘাত লাগলে।
উপসর্গ
১. প্রথমে তীব্র ব্যথা হওয়া, পরে ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাওয়া।
২. ব্যথা হাঁটুর বাইরের পাশে ও পেছনে অনুভূত হওয়া।
৩. হাঁটু ভাঁজ বা সোজা করতে গেলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
৪. আঘাত পাওয়ার প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে হাঁটু ফুলে যাওয়া।
৫. ফোলা ও ব্যথার জন্য হাঁটু নাড়াতে না পারা।
৬. দাঁড়ানো বা হাঁটতে চেষ্টা করলে হাঁটু বেঁকে যাচ্ছে মনে হওয়া।
৭. হাঁটু অস্থিতিশীল বা ঘুরে যাচ্ছে মনে হওয়া
কী করবেন?
যে মাংসপেশিতে টান পড়েছে, সাধারণত প্রথমে সেই টান ধরা পেশি জোরেশোরে মালিশ করুন। যতক্ষণ না পেশিটি সোজা হয়, ততক্ষণ ওপরে-নিচে দলাই-মলাই করতে থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই এই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেন, তবে অন্য ব্যক্তির সাহায্য পেলে চিকিৎসার কাজটি আরো সহজ হয়।
পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়লে
১. আক্রান্ত পায়ের ওপর ভর দিয়ে হাঁটুন।
২. নিজ হাত দিয়ে আক্রান্ত মাংসপেশি ম্যাসাজ করুন অথবা বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
৩. পা সোজা করুন, পায়ের পাতা হাঁটুর দিকে টেনে আনুন, যতক্ষণ না পায়ের ডিমের পেশি প্রসারিত হয়।
৪. যদি ব্যথা থাকে, তাহলে গরম তোয়ালে বা গরম প্যাড ব্যবহার করুন কিংবা গরম ছেঁক নিন।
পায়ের ডিম বা কাফ মাসলে টান পড়লে
১. টান পড়া পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ান এবং হাঁটু সামান্য বাঁকা করুন।
২. যদি দাঁড়াতে সক্ষম না হন, তাহলে অন্য পা প্রসারিত করে মেঝে বা চেয়ারে বসুন।
৩. পায়ের আঙুলগুলো হাত দিয়ে ধরে নিজের দিকে টানুন। অথবা মাংসপেশি ম্যাসাজ করুন।
সতর্কতা
বারবার একই জায়গায় পা মচকানো, যা পরে ওই সন্ধি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়জনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই খেলাধুলা ও দ্রুত হাঁটাচলার সময় সাবধানে থাকুন, পায়ের পাতার ভারসাম্য বজায় থাকে এমন জুতা পরুন, সিঁড়ি ভাঙার সময় সাবধান হোন।
লেখক: ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থোপেডিক বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর