স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ২২:২৯, ৯ জুলাই ২০২১
ধূমপান ডেকে আনে মৃত্যু!
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক এ কথা সবাই জানেন। যারা ধূমপান করেন, তারাও জানেন। সিনেমা হল থেকে সিগারেটের প্যাকেটে থাকে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ। সতর্কীকরণে শুধু ফুসফুসের ছবি থাকলেও শরীরের এমন কোনও অঙ্গ নেই যা ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। হার্ট, রক্তনালী, ফুসফুস, চোখ, মুখ, জননতন্ত্র, হাড়, ব্লাডার ও পৌষ্টিকতন্ত্র সব কিছুর উপরেই ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যে কোনও তামাকজাত নেশার বস্তুতে ৫০০০টি বিষাক্ত পদার্থ থাকে। যার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড ও টার।
নিকোটিনের জন্যই তামাকের প্রতি আসক্তি আসে। যে আসক্তি কোকেনে আসক্তির থেকেও ভয়াবহ। নিকোটিন মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। মস্তিষ্কে শোষিত হওয়ার পর তা হার্ট, হরমোন ও খাদ্যনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অনেকে মনে করেন, ধূমপান তাঁদের শরীরের ওজন কমাতে বা শরীরকে স্লিম বানাতে সাহায্য করে। ধূমপান স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়। কেউ কেউ আবার ধূমপানকে স্টাইল হিসেবেও গ্রহণ করেন।
কিন্তু এই ধূমপানের কারণে আপনার স্বাস্থ্যের কত ক্ষতি হচ্ছে তা কি আপনি জানেন? আসুন জেনে নিই ধূমপানের ক্ষতিকর দিক-
১. ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধানতম কারণ ধূমপান। বিশ্বে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারে ২০ লাখের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যাবে, হাতে গোনা কয়েকজন অধূমপায়ী ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অথবা প্রতিটি ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীর ইতিহাস নিলে দেখা যাবে, পুরো ইতিহাস ধূমপানের কালো ধোঁয়ায় ভরা।
২. যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁরা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। এর কারণ হলো, ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার ও এমফাইসিমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রোগীকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুর্বলতা ও অসুস্থতার মধ্যে কাটাতে হয়।
৩. ধূমপান মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে না। যদি তা সত্য হতো, তাহলে প্রত্যেক ধূমপায়ী হালকা-পাতলা হতো।
৪. প্যাসিভ স্মোকিং কথাটি বেশ প্রচলিত। এর অর্থই একজন ধূমপায়ীর পাশে বসে থাকা মানুষের নাক দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া প্রবেশ করানো। এতে তিনি শুধু নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়, বরং পরোক্ষ ধূমপানের ফলে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রিয় সন্তানেরও তিনি সর্বনাশ ডেকে আনছেন।
৫. গর্ভবতী ধূমপায়ী মায়ের ধূমপানের ফলে গর্ভস্থ সন্তানেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়।
এছাড়া আর্থারাইটিস, কিডনির সমস্যা, চোখের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, ডায়াবেটিস, ইরেকটাইল ডিসফাংশনও ঘটাতে পারে অতিরিক্ত ধূমপান। আপনার একটু সচেতনতাই পারে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সুস্থভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করতে। তাই ধূমপান ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিন।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর