স্বাস্থ্য ডেস্ক
আপডেট: ২৩:৪৪, ১৮ জুলাই ২০২১
হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথার কারণ ও করণীয়
ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ ঘাড়ের একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা অথবা কাজ করতে করতে ঘাড়ের একদিকে প্রবল টান। এই রকম সমস্যায় অনেকেই পড়েছেন। কেননা ঘাড় যখন আছে, তখন এক-আধটু ব্যথা তো থাকতেই পারে। কিন্তু সামান্য ব্যথা যখন ঘাড়ে সাঁড়াশির মতো চেপে বসে, তখনই সব দুশ্চিন্তা ভর করে।
এই ধরণের ব্যথার কারণ হিসেবে হতে পারে অনেক কিছু। আসুন জেনে নেয়া যাক কী কী কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে-
স্লিপ ডিস্ক হলে
কোনো কারণে স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে কোনো টিস্যু ফুলে গেলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকে ঘাড়ে ব্যথা হয়।
আঘাত পেলে
কোনো দুর্ঘটনায় ঘাড়ে আঘাত পেলে সেই ব্যথা বহুদিন স্থায়ী হয়। মাঝে মধ্যেই তখন পেশীতে টান গেলে ব্যথা হতে পারে।
পেশী দুর্বল হলে
দীর্ঘক্ষণ একভাবে একজায়গায় বসে থাকলে পেশীতে খিল ধরে এবং ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা হয়। এই একভাবে বসে থাকতে গিয়ে আচমকা টান লেগেও ব্যথা হতে পারে।
ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয়
বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয় হয়। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করছেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ঘাড়ের মধ্যেকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যেখান থেকে ব্যথা হতে পারে।
বসায় ত্রুটি হলে
বসার ভঙ্গীতে ত্রুটি থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও বাঁকাভাবে শুয়ে থাকলে ঘাড়ে চাপ পড়ে, সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। সেই ব্যথা হলে অন্যদিকে ঘাড় ঘোরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এ সময়ে যা করণীয়
• দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন ব্যবহারে সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
• মাথার ওপর কোনো ধরনের ওজন নেবেন না।
• শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
• তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইস্টিং) এসব অভ্যাস করা যাবে না।
• সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
• কাত হয়ে বা অস্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দীর্ঘক্ষণ বই পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
• কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
• ঘাড়ের ব্যথা বেশি থাকলে গাড়ি চালানো, ভারী কাজ করবেন না। হিতে বিপরীত হবে।
• মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা আসে। তাই চাপ বেশি থাকলে আগে তা কমানোর চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটিয়ে নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন।
একটানা ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান। পরামর্শ মতো ওষুধ খান। খুব প্রয়োজন না হলে শিরদাঁড়ায় ইঞ্জেকশন নেবেন না।
আইনিউজ/এসডিপি
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর