সুমাইয়া সিরাজী
আপডেট: ২৩:৫০, ১৩ অক্টোবর ২০২১
শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে
শারীরিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। মানসিকভাবে কেউ আপসেট থাকলে বা দীর্ঘদিন বিষণ্ণতায় ভুগলে তার একটা বড়সড় প্রভাব কিন্তু খাবারে গিয়ে পড়ে। দুই রকম কমপ্লেইন পাই পেশেন্টের কাছ থেকে -
১. মানসিক অশান্তিতে আছি খাওয়া দাওয়া হচ্ছে তবুও ওজন বাড়ছে না।
২. অনেক বেশী ডিপ্প্রেসড শান্তি নাই মনে খুব কম খাই তাও ওজন বাড়ে।
অর্থাৎ মন ভালো থাকা না থাকার সাথে খাবারের একটা ব্যাপক পরিবর্তন হয়।
অনেক বেশি মানসিক চাপের কারণে একটা বিশাল শারীরিক পরিবর্তন ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি দেখা যায়। সামাজিক প্রেক্ষাপট এটার জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী। মেয়েদের উপর নানাভাবে মানসিক নির্যাতন এই যুগেও চলছে। আগে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে হত, এখন সেটা গোপনে হয়। এছাড়াও মেয়েদের জীবনে অনেকগুলা ট্রানজিশন টাইম আসে। বিয়ের আগে একরকম জীবন, পরে আরেক নতুন জীবন, নতুন পরিবার, নতুন মানুষ, আবার মা হওয়ার সময়টা তে বিশাল এক ফিজিওলজিক্যাল চেঞ্জ তো আছেই। আবার বাচ্চা হওয়ার পর পোস্ট পার্টেম ডিপ্রেশন তো আছেই। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে এই ট্রান্সজিশন টাইম এবং এই বায়োলজিক্যাল পরিবর্তন না থাকায় তারা অনেকটাই বিপদ মুক্ত।
খাবারের ক্ষেত্রে তাই আমি মেয়েদের জন্য বাড়তি যত্ন নেয়ার কথা বলি। যে সকল খাবার খেলে আমাদের মনে সুখকর অনুভূতি প্রদানে সক্ষম হরমোন এর এক্টিভিটি বাড়ে সেই খাবার গুলোকে ঘুরে ফিরে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে বলি। এটা এমন নয় যে এখনি খেলেন আর সাথে সাথে মুড ভালো হলো। এই খাবার গুলোকে নিয়মিত হিসেব করে খেতে হবে।
যে খাদ্যগুলোকে রাখবেন- যেমন : বাদাম, এতে থাকা সেলেনিয়াম আপনার সেরোটোনিন হরমোন এর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে সুখকর অনুভূতি দিবে। আরও আছে টমেটো, কলা, দই, ওমেগা ফ্যাটি এসিডযুক্ত খাবার টুনা ফিস, স্যালমন ফিস, চিয়া সিডস ইত্যাদি।
বছরে একবার শরীরের চেক আপ হয় কিন্তু মনের চেক আপ বা সমস্যা নিয়ে একজন সাইকোলজিস্ট এর সাথে কথা বলতে আমরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি। অথচ সব সম্পর্কেই টানাপোড়ন থাকে, জীবনে অনেক উত্থান পতন থাকে, সব সময় হাসি খুশি নিজেকে ভালো আছি দেখানোর যুদ্ধ করতে করতে একদিন ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
নিজেকে সময় দিন। এক রুটিনে চলার দরকার নাই নিজের জন্য মাঝে মধ্যে রুটিনের ব্রেক করুন। খোলা আকাশের নিচে হাঁটুন। সাজু গুজু করুন। নিজের পছন্দের কাজ যেগুলা হারাতে বসেছেন সেগুলা সপ্তাহে একদিন হলেও করুন। প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে দেখা করুন। গল্প করুন। ভালো খাদ্যভাস বজায় রাখুন। প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন বা হাঁটুন মন প্রফুল্ল থাকবে। নিজের ভেতর চেপে রাখা কষ্টগুলোকে কারো কাছে প্রকাশ করুন। সাইকোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হোন। মানসিক সাস্থ্যের সাপোর্ট গুলো বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে নিন। নিজে ভালো থাকুন কাছের মানুষ গুলোকে ভালো রাখুন।
সুমাইয়া সিরাজী, নিউট্রিশনিস্ট এন্ড স্পেশাল এডুকেটর প্রয়াস, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর