স্বাস্থ্য ডেস্ক
ওমিক্রনের প্রাথমিক পাঁচ লক্ষণ
মহামারি শুরুর পর থেকে করোনাভাইরাস জিনের গঠনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্রমাগত রূপ পাল্টে ফেলছে। এর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। ডেল্টার পর এবার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন। এর ফলে নতুন শঙ্কার মধ্যে পড়েছে বিশ্ব।
যদিও ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি নয়, তবে এটি আরও তীব্রতর হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
নতুন এই স্ট্রেনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন আছে। যা অন্য স্ট্রেইনের মতো নয়, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, এটি ভ্যাকসিন প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকেও বাঁচতে পারে। যা সবার জন্যই আতঙ্কজনক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সার্স-কোভ-২ এর নতুন রূপ সহজেই যে কাউকে সংক্রামিত করতে পারে।
যারা আগে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এমনকি টিকাও নিয়েছেন, তারাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে গ্লোবাল হেলথ অ্যাজেন্সি বলেছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের হালকা প্রভাব পড়বে শরীরে।
প্রাথমিকভাবে যখন ওমিক্রন প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করা হয়েছিল, তখন দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি (যিনি ওমিক্রন আবিষ্কারকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন) বলেন, এতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তেমনই কোনো তীব্র সমস্যা দেখা দেয়নি। তারপর থেকেই বিভিন্ন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের নতুন কিছু লক্ষণ তালিকাভুক্ত করেছেন। সেগুলো হলো-
১. যদিও আগের ভ্যারিয়েন্টের মতোই, কোভিডের ওমিক্রন হলে ক্লান্তি বা চরম ক্লান্তি বোধ হতে পারে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত ক্লান্ত ও কম শক্তি অনুভব করে। সব সময় বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করবে। যদিও ক্লান্তি বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
২. ডা. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজির মতে, ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত ব্যক্তিরা গলা ব্যথার পরিবর্তে খুসখুসে ভাব ও জ্বলাপোড়ার অভিযোগ করেছেন, যা অস্বাভাবিক।
৩. হালকা জ্বর হতে পারে। তবে তা নিজে থেকেই চলে যায়। যা আগের স্ট্রেনের তুলনায় একেবারেই হালকা লক্ষণ।
৪. রাতে ঘাম ও শরীর ব্যথা হতে পারে। রাতে ঘাম রাতে উঠতে পারে এমন নতুন ওমিক্রন বৈকল্পিকের লক্ষণগুলি বলতে পারে। রাতে প্রচণ্ড ঘামে জামা কাপড় ও বিছানা ভিজে যেতে পারে। চিকিৎসকের মতে, এক্ষেত্রে প্রচুর শরীরে ব্যথা হতে পারে।
৫. গলায় খুসখুসে ভাবের সঙ্গে শুষ্ক কাশিও থাকতে পারে। যদিও এটি আগের স্ট্রেনের মধ্যেও সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি ছিল। শ্বাসনালীতে প্রদাহ হলেই শুষ্ক কাশি হয়ে। এক্ষেত্রে কফ বের হয় না। তবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে গন্ধ বা স্বাদ হারানোর খবর মেলেনি।
তাই সামান্য উপসর্গকেও অবহেলা না করে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। তবে তারও আগে মেনে চলুন কোভিড বিধি। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন, আর নিরাপদ দূরত্ববিধি মেনে চলুন।
আইনিউজ/এসডিপি
ওমিক্রন এক চেনা উদ্বেগ, করোনাভাইরাসের `ভয়াবহ` ভ্যারিয়েন্ট
ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের পাথারিয়া পাহাড়
হাইল হাওরের বাইক্কাবিলে পর্যটক আর পদ্মটুনার ভিডিও ভাইরাল
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর