আই নিউজ ডেস্ক
ঘুমের ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে গেলে করণীয়!
অনেকেই ঘুম হয় না বলে নিজে নিজে দোকান থেকে কিনে ঘুমের ওষুধ খান। কখনোবা আবার চিকিৎসক কিছুদিনের জন্য যে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটাই দিনের পর দিন খেয়ে যান। দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলাফল ঘুমের ওষুধ ছাড়া কিছুতেই আর ঘুম আসে না।
কিছু ক্ষেত্রে এমন হয় যে আগের ডোজে আর ঘুম হয় না, মাত্রা বাড়াতে থাকে রোগী। এ এক ভয়ংকর নেশার মতো। বেশির ভাগ রোগী ক্ষতি জেনেও এই অভ্যাস থেকে বের হতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে কী করণীয়?
কী কী উপায়ে ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরতা কাটানো যায়?
- শারীরিক বা মানসিক যে কারণে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, তা আগে খুঁজে বের করতে হবে এবং তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে
- প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে
- নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে
- দিনের বেলা ঘুম থেকে বিরত থাকতে হবে
- মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম করা যায়
- ঘুমাতে যাওয়ার ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে সব ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে দূরে থাকতে হবে
- ঘুমানোর আগে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনছবি: পেক্সেলস
- ঘুমানোর এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে গোসল করে নিতে পারেন। ঘুমানোর আগে গান শোনা অথবা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- ঘুমানোর আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে লম্বা শ্বাস নেওয়া এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার ব্যায়াম করলে উপকার পাবেন
- রুমের তাপমাত্রা আরামদায়ক রাখতে হবে। কক্ষ শব্দহীন হলে ভালো
- ধূমপান বা অন্য যেকোনো নেশাজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
- সন্ধ্যার পর থেকে চা, কফি বা যেকোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
- সর্বোচ্চ কত দিন ঘুমের ওষুধ খেলে ঘুমের ওষুধের অভ্যস্ততা হবে না?
- ঘুমের ওষুধ সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ দিন খাওয়া যাবে, এর চেয়ে বেশি সময় খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২৪ ঘণ্টায় কতক্ষণ ঘুমানো উচিত?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ২৪ ঘণ্টায় সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমালে ভালো।
ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
- মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব
- ঘুম ঘুম ভাব
- ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
- স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া
- আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া
- চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হওয়া, যেমন হেলুসিনেশন
-
৫ অভ্যাস বাড়ায় কঠিন রোগের ঝুঁকি
ঘুমের ওষুধের কারণে দেহে ও মনে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘুমানোর জন্য ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে প্রাকৃতিক উপায়গুলোর অনুসরণ করা উত্তম। আর একান্তই যদি এতে নির্ভরশীল হয়ে গিয়ে থাকেন, তবে এটা কাটানোর জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আইনিউজ/ইউএ
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটি ভালো?
- দামী নাকি কমদামী কোন সিগারেটে ক্ষতি বেশি?
- ডিম ভাজি না সেদ্ধ, কোনটা বেশি উপকারী?
- প্রোটিন জাতীয় খাবার কোন খাদ্যে বেশি-কোন খাদ্যে কম?
- হার্টের ব্লক খোলার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় রিং বা স্ট্যান্ট
- বডিবিল্ডিং: সাপ্লিমেন্টের গুরুত্ব এবং যেভাবে শুরু করবেন
- কানের ভেতর হঠাৎ পোকা বা কিছু ঢুকে গেলে
- ওসিডি কী? জেনে নিন লক্ষণ
- বাচ্চাদের গুড়াকৃমি প্রতিরোধে কী খাওয়াবেন?
- ফার্মেসি রাত ১২টায় বন্ধের সিদ্ধান্তে বিস্ময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর