শ্যামলাল গোঁসাই
আপডেট: ১৬:০৯, ৩০ নভেম্বর ২০২০
যেভাবে বদলে যাচ্ছে বিনোদন মাধ্যমগুলো
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান সময়টিকে আধুনিক সময় বলা হলেও অনেকে এই সময়কে মোবাইল-ইন্টারনেটের যুগও বলছেন। প্রজন্মের হিসেবে পঞ্চম প্রজন্মের তালুবন্দী এখন পৃথিবী। এই সময়ে পৃথিবী এগিয়ে গেছে অনেক দূর। যেকারণে এই সময়টিকে ফাইভ-জি’র যুগ বলতেও কেউ দ্বিধাবোধ করে না।
মানুষও সময়ের সাথে সাথে নিজেকে পরিবর্তন করেছে। পরিবর্তন এসেছে মানুষের রুচি, আমোদ-প্রমোদ বিনোদনে। কেননা আধুনিক মানুষের চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে বদলে যাচ্ছে আমাদের বিনোদন মাধ্যমগুলোও।
গোটা গ্রামের মধ্যে একটিমাত্র বাড়িতে বসে সদলবলে টেলিভিশন দেখার স্মৃতি এখন রূপকথার মতোন। কেননা এখন গ্রামেও পৌঁছে গেছে মোবাইল-ইন্টারনেট। আর এগুলোর ওপর ভর করে গ্রামীন জীবনেও প্রবেশ করেছে বিনোদন মাধ্যম।
টেলিভিশনের জায়গায় এসেছে ইউটিউব, টুইটার, লাইকি, টিকটকসহ অনেক আধুনিক সংস্করণ। এগুলোই এখন মানুষকে বিনোদিত করে, আনন্দ দেয়। তাই মানুষ দিনশেষ সবাই মিলে এখন আর টেলিভিশন দেখতে পছন্দ করছে না। বরং, একটি ডিভাইসে নিজের চাহিদানুযায়ী যেকোনো কিছু দেখতে পছন্দ করে।
সবকিছু কেন বদলে গেছে?
এইসবকিছুর নেপথ্যে রয়েছে আধুনিক বিশ্বের সবথেকে বড় অর্জন ইন্টারনেট। ভিনটন জি কার্ফের আবিষ্কার করা এই ইন্টারনেট গত ২৬ বছরে গোটা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। পরিবর্তন করে ফেলেছে একটা মানুষ সকাল-সন্ধ্যার আদিন রুটিন। নির্দিষ্ট সীমারেখা ছাড়িয়ে মানুষের দৃষ্টি এখন দিগ্বিদিক। আর এটি সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই বিনোদনের মাধ্যমগুলো পরিবর্তনে ইন্টারনেটের ভূমিকাই বেশি।
ইন্টারনেটের কারণে এখন মানুষ যেকোনো জায়গায় বসে সেখানে রাখা তাঁর চাহিদার জিনিসটি দেখদ নিতে পারেন। ধরা যাক, রহমান সাহেব তাঁর পছন্দের একটি চলচ্চিত্র দেখতে চাচ্ছেন, কিন্তু সেটা টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে না। অন্যদিকে সিনেমাহলেও গিয়ে দেখার মতো সময় তাঁর নেই। তাহলে তিনি তাঁর পছন্দের এই জিনিসটা আর কোথায় দেখবেন? এই জায়গাটিই হচ্ছন ইন্টারনেট। রহমান সাহেব এখন চাইলেই ইন্টারনেটে রাখা ইউটিউব কিংবা চলচ্চিত্র বিষয়ক সাইটে গিয়ে যেকোনো সময় ছবিটি দেখে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে আর টেলিভিশন দেখতে হচ্ছে না। তিনি তাঁর মোবাইলেই এখন তা দেখতে পারেন।
২০১৯ সালে ‘নতুন মোবাইল প্রযুক্তি ৫জি কি টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পকে গিলে ফেলবে?’ শিরোনামে বিবিসিতে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেখানে সম্প্রচার জগতে আগামী দিনে টেলিভিশনের আধিপত্য কতটা টিকে থাকবে তা নিয়ে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। কারণ, ফাইভ-জি। পঞ্চম প্রজন্মের যোগাযোগ ব্যবস্থা ফাইভ-জিই আসলে বিনোদন মাধ্যমগুলোকে বদলে দিয়েছে এবং এখনো বদলে দিচ্ছে।
টেলিভিশন কেন হুমকিতে?
প্রচলিত টেলিভিশন সম্প্রচার শিল্পের অস্তিত্বকে দুইভাবে হুমকিতে ফেলেছে ৫জি। প্রথমত, বৈচিত্র্যময় কন্টেন্টের ব্যাপক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করেছে ৫জি। ভিজুয়াল কন্টেন্টের বিকল্প মাধ্যমগুলো ৫জি প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে টেলিভিশনের চেয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
যেমন, ভার্চুয়াল, অগমেন্টেড এবং মিক্সড রিয়েলিটি কন্টেন্ট। এছাড়াও ৩৬০ ডিগ্রি ভিজ্যুয়াল মিডিয়া এবং পরবর্তী প্রজন্মের অডিও যা কিনা 'এনজিএ' বা 'এ্যাডভান্সড সাউন্ড সিস্টেম' নামে পরিচিত, ৫জি-র যুগে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
দ্বিতীয়ত, ৫জি-র কারণে বহুদিন থেকে নিজেদের জন্য ব্যবহার করে আসা স্পেকট্রাম হারাতে বসেছে টেলিভিশন শিল্প। যেহেতু ৫জি একটি ব্যাপকভিত্তিক প্রযুক্তি, তাই এটি পরিচালনার জন্য অনেক বেশি পরিমাণে স্পেকট্রামের প্রয়োজন হয়। আর এই প্রযুক্তি বিস্তারের কাজটি বিশ্বব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা পরিচালনা করছে এবং করবে।
তবে রয়েছে সম্ভাবনাও
কন্টেন্ট উন্নয়নের ক্ষেত্রে টেলিভিশনের জন্য এক অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে ৫জি। প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুটি সীমাবদ্ধতা - গতি এবং সীমিত ধারণ ক্ষমতা - দূর করতে পেরেছে ৫জি। এর ফলে আগামী দিনে টেলিভিশন ষ্টেশনগুলো তাদের আলট্রা-হাই-ডেফিনিশন বা ইউএইচডি টিভি সেট ব্যবহারকারী দর্শকদের জন্য এইচডিআর (হাই-ডাইনামিক রেঞ্জ), এইচএফআর (হাই ফ্রেম রেটস) এবং বিস্তৃত রং-এর সন্নিবেশ ঘটিয়ে উচ্চমান সম্পন্ন কন্টেন্ট পরিবেশন করতে পারবে।
এছাড়াও টিভিগুলো ৫জি-র মাধ্যমে তাদের খবর, খেলাধুলা, মিউজিক ফেস্টিভ্যালের মত অনুষ্ঠান যেকোনো স্থান থেকে অত্যন্ত সস্তায় সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবে।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩