আইনিউজ ডেস্ক
আপডেট: ০২:০৩, ১২ মার্চ ২০২১
ট্যাক্সের তথ্য না দিলে ইউটিউবারদের আয়ের ২৪ শতাংশ কেটে নেবে গুগল
গুগল অ্যাডসেন্সের কাছে ‘ইউএস ট্যাক্স’-এর তথ্য দিতে হবে। যারা ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করেন, তাদের কাছে নতুন এক বার্তা পাঠিয়েছে গুগল। ইউটিউবারদেবর ই-মেইলে, ইউটিউব ড্যাশবোর্ড ও গুগল অ্যাডসেন্স নোটিফিকশনে এই বার্তাটি এসেছে। আর এতেই শংকিত বা ভীত হয়ে পড়েছেন ইউটিউবাররা।
অ্যাডসেন্সের নতুন নিয়ম অনুযায়ী- চলতি বছরের মে মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে ট্যাক্সের তথ্য না দিলে মোট আয়ের ২৪ শতাংশ কেটে নেবে গুগল। আর ৩১ মে তারিখের মধ্যে তথ্য দিয়ে দিলে শুধুমাত্র যারা ইউএসএ (ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা) থেকে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন অথবা যে পরিমাণ অর্থ ইউএসএ থেকে উপার্জন করেন তাদের কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ট্যাক্স কেটে নেবে গুগল। সেটা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। জুন ২০২১ থেকে এই ট্যাক্স কাটা শুরু হবে।
ইউটিউবারদের মাথায় হাত
তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলেন- গুগলের নতুন এই ঘোষণায় ইউটিউবারদের মাথায় হাত পড়েছে। কারণ গুগলের নতুন নিয়ম অনুসারে, ইউটিউবারদের এবার ‘ইউএস’ ট্যাক্স দিতে হবে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সোহাগ ৩৬০ ইউটিউব চ্যানেলের সেলিবেট্রি ইউটিউবার সোহাগ মিয়া বলেন, যারা বড় একটা অর্থ কিংবা সম্পূর্ণ অর্থ ইউএসএ থেকে উপার্জন করেন তাদের জন্য এটা বড় ভয়ের, শংকার। কারণ তাদের বিশাল অংকের একটা অর্থ কেটে নেবে। তবে যারা ইউএসএ থেকে উপার্জন করেননা তাদের ভয়ের কোনো কারণ নাই। তবে ৩১ মে তারিখের মধ্যে অবশ্যই ট্যাক্সের তথ্য দিতে হবে। না হলে মোট আয়ের ২৪ শতাংশ কেটে নেবে গুগল।
ইউটিউবারদের কাছে গুগলের ই-মেইল
ইতিমধ্যেই ইউটিউবারদের মেইল করে বিষয়টি জানাতে শুরু করেছে গুগল। মেইলের বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অ্যাডসেন্স-এ নিজেদের ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে। এর জন্য সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ মে-র মধ্যে এই তথ্য জমা দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্যাক্স সংক্রান্ত তথ্য অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে জমা না করলে সেক্ষেত্রে ইউটিউবারের মোট মাসিক আয়ের ২৪ শতাংশ অর্থ কেটে নেবে গুগল।
কিছুটা হলেও সান্ত্বনার কথা হলো এই যে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপার্জিত আয়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্স পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ একজন ইউটিউবার নিজের মাসিক আয়ের যেটুকু অংশ তিনি আমেরিকার দর্শকদের থেকে উপার্জন করেছেন তার নির্দিষ্ট অংশ ট্যাক্স হিসেবে দিতে হবে।
শুধু বিজ্ঞাপন নয়, ইউটিউব প্রিমিয়াম, সুপার স্টিকার, সুপার চ্যাট এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ- এসব ক্ষেত্রেও কাটা হবে ট্যাক্স। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশের দর্শকদের থেকে একজন ইউটিউবার যে আর্থিক উপার্জন করবেন সেক্ষেত্রে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না।
ট্যাক্সের পরিমাণ হবে দেশ ভেদে ভিন্ন ভিন্ন
ট্যাক্সের পরিমাণ দেশ ভেদে আলাদা হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স সংক্রান্ত যে চুক্তি রয়েছে তার উপরে ট্যাক্সের পরিমাণ নির্ভর করবে। যেমন ধরা যাক, আপনার দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ী ধার্য ট্যাক্সের পরিমাণ আয়ের শতকরা ১৫ ভাগ। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কাছ থেকে মাসে আপনার ১০০ ডলার আয় হয়ে থাকলে, তার ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ ডলার গুগলের খাতায় জমা করতে হবে।
যাদের কাছ থেকে কাটা হবে ৩০ শতাংশ ট্যাক্স
তবে কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স লেনেদেনের চুক্তি না থাকলে, সেদেশের ইউটিউবারদের যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মাসিক আয়ের ৩০ শতাংশ ট্যাক্স হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে ১০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে থেকে ৩০ ডলার ইউটিউবারের অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে।
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সমালোচনা
গুগলের নতুন এই ট্যাক্স আরোপের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ক্রিয়েটররা বলছেন, ইউটিউব আগে থেকেই আয়ের একটি অংশ নিচ্ছে, তাই কেন আবার আলাদাভাবে ট্যাক্স দিতে হবে? গুগলের এই সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র নির্মাতাদের ক্ষতি করতে পারে।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩