ইমরান আল মামুন
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং কিভাবে কাজ করে
বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির অনেক যন্ত্রাংশের আবির্ভাব ঘটেছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এই ইকুইপমেন্টের মাধ্যমে বাস্তবিক পরিবেশকে হুবহু কৃত্রিম পরিবেশে পরিণত করে মানুষকে দিচ্ছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার মানুষ ব্যবহার করতেছে। আজকের আর্টিকেলের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং কিভাবে কাজ করে। আরো জানব এর ব্যবহার এবং সুবিধাগুলো নিয়ে। চলুন তাহলে দেরি না করে এখনি জেনে নেই এই আবিষ্কার সম্পর্কে।
প্রযুক্তির সাথে যুক্ত বা অযুক্ত যেই হোক না কেন অনেকেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দটি সবার পরিচিত রয়েছে। আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক মানুষই এর ব্যবহার করে। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ব্যবহারের সংখ্যা অনেকাংশ বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং আমাদের বিষয়টি পূর্বে থেকে জেনে নেওয়া ভালো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের কেউ আপডেট করতে হবে। তাছাড়া আজ হোক কাল হোক আমাদের এটি নিত্য প্রয়োজনীয় হবে। সেসঙ্গে অফিসিয়াল যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম হবে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি
ভার্চুয়াল রিয়েলেটিভ একটি ইংরেজি শব্দ। এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে ভিআর। যাকে আমরা অনেকে ভিআর বক্স বলে থাকি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হচ্ছে এমন একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম সিস্টেম। যা ব্যবহারকারীকে একটি কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এই ফিচারটি উপভোগ করার জন্য অবশ্যই একটি ভার্চুয়াল ডিভাইস নিতে হবে। আর কৃত্রিম পরিবেশটি সম্পূর্ণ একটি কাল্পনিক দৃশ্য তৈরি করে। যার শুধু দৃশ্যমান কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
একমাত্র সে ব্যক্তি এই দৃশ্যকে বাস্তব মনে করবে যে ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতেছে। কিন্তু তার আশেপাশের মানুষ স্বাভাবিক দৃশ্যতেই অবস্থান করছে। ভিআর বক্সের মাধ্যমে 3d এবং 5d জগতে নিয়ে যাওয়া হয়। মনে করেন আপনি একটি বাড়ি তৈরি করতে ইচ্ছুক। এখন আপনি যে ডিজাইনে বাড়ি বানাতে চান ঐ ডিজাইনের একটি কৃত্রিম ডিজাইন তৈরি করা হয়। তারপর ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বাস্তবিকভাবে দেখতে পারা যাবে। এমন ভাবে দেখতে পারবেন যে মনে হবে আপনি সেই ঘরের মধ্যেই অবস্থান করতেছেন।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস
ভার্চুয়াল রিয়েলেটেড আবিষ্কারের সূচনা ঘটে ১৮৩৮ সালে, স্ট্যাটাসস্কোপ আবিষ্কারের হাত ধরে। বিভিন্ন ধরনের বিবর্তনের পর ১৯৮০ এর দশকে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার শুরু হয়। অবশ্য তখন এর নাম ছিল ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম ল্যাব। পরবর্তীতে নাম পাল্টিয়ে নামকরণ হয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কিন্তু এই মহা আবিষ্কারের আবিষ্কারক বলা হয় মরটন হেলিংকে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উদ্ভাবন সাল হচ্ছে ১৯৫৭।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রকারভেদ এবং ব্যবহার
প্রযুক্তির আপডেটের কারণে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয়ে আসছে। এর কারণে প্রকারভেদ হয়েছে কয়েকটি আগে। এই প্রকারভেদগুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণী জানব।
- Full immressive
- Semi immressive
- Non immressive
- Augmented reality
- Collaborative Vr
Full immressive: ব্যবহারকারীকে সম্পূর্ণ বাস্তবিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য Full immressive টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। এই ফিচারটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা মনে করে, সে সম্পূর্ণ শারীরিকভাবে একটি ভিন্ন জগতে অবস্থান করেছে। মনে হবে যে, যা ঘটতেছে সবই সত্যি। এই ধরনের রিয়েলিটি উপভোগ করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
Semi immressive: এই টেকনোলজি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে একটি ভিআর বক্স অথবা কম্পিউটার স্ক্রিন। এক্ষেত্রে শারীরিক গতি বিধি এর প্রয়োজন হয় না। এর মাধ্যমে শুধু আপনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অভিজ্ঞতাটা নিতে পারবেন। কম্পিউটারে ব্যবহৃত মাউসের মাধ্যমে আপনি আপনার পদক্ষেপগুলো নিয়ন্ত্রণ হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধাপ পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি মোবাইলেও ব্যবহার করা যায়।
Non immressive- এই ফিচারটির মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে কৃত্রিম পরিবেশ উপভোগ করা যায় না। শুধুমাত্র সফটওয়ারে থাকা ক্যারেক্টার এবং অ্যাক্টিভিটিস গুলো কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়। যেমন হাইগ্রাফিক গেম খেলার ক্ষেত্রে।
Augmented reality- মনে করেন আপনি আপনার বেডরুমে রয়েছে। সেখানে কার্টুন ক্যারেক্টার রেখে দিতে পারবেন। মনে হবে আপনি ঐ ক্যারেক্টারের সঙ্গেই রয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোন কার্টুন নেই। এভাবে নিজের রুম কিংবা পছন্দের পরিবেশ করে উপভোগ করা যায়। এই ধরনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে।
Collaborative Vr- ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মধ্যে সবচেয়ে উন্নত এবং আধুনিক প্রযুক্তির হচ্ছে Collaborative Vr. এই রিয়েলিটির মাধ্যমে একসাথে কয়েকজন একই কৃত্রিম পরিবেশের যুক্ত হতে পারবে। এমনকি বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করতে সক্ষম হবে। বড় বড় রিয়েলিটি শো এবং প্রোগ্রামের জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। বিশেষ করে মেডিকেল প্রশিক্ষণ, স্পোর্টস, শিক্ষার ক্ষেত্রে, মিলিটারি ট্রেনিং ইত্যাদি।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সুবিধা
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সব দিক থেকেই সুবিধা রয়েছে। অসুবিধা ধরতে গেলে একদম নেই বললেই চলে। প্রযুক্তির এই আশীর্বাদ মানব কল্যাণের জন্য এক অমায়িক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
১. একটি কাল্পনিক পরিবেশকে বাস্তবে উপভোগ করা সম্ভব।
২. মেডিকেল ট্রেনিং এবং মিলিটারি ট্রেনিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এর মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে।
৩. আধুনিক ই-স্পোর্টস ভার্চুয়ালিটির মাধ্যমে ফিজিকালি খেলার অনুভূতি নেওয়া যায়।
৪. শিক্ষা ক্ষেত্রকে অনেক সহজ করে তোলা হয়েছে।
৫. বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শত ভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমানে কমবেশি প্রায় সব দেশেই এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আমাদের দেশেও এখন আস্তে আস্তে এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে জনসাধারণের নিরাপত্তা কয়েকগুণ হারে বৃদ্ধি পাবে। যেখানে ফিজিক্যালি ভাবে না গেলেও বিভিন্ন কার্যক্রম মিটিং জয়েন হওয়া যাবে। এগুলো সম্ভব শুধুমাত্র ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মাধ্যম ব্যবহার ।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩