ইমরান আল মামুন
৫জি কি এবং ৫জি এর ব্যবহারের সুবিধা
প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের গতি বেশি না হয়। তাহলে আমাদের কাছে সেটা নিশ্চয়ই খুশির খবর নয়। বরং তা আমাদের ভোগান্তির বিষয়। এযুগে যত ইন্টারনেট স্পিড থাকবে, ঠিক ততটাই মানুষ সুবিধা উপভোগ করবে। আর কর্মজীবনকে সংক্ষিপ্ত করে নিয়ে আসতে পারবে।
শুধু কর্ম জীবনে এই গতি সীমাবদ্ধ নয় বরং দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও এর দারুন প্রভাব রয়েছে। আগামী পথ এগিয়ে যাচ্ছে ৫জি এর দিকে। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকে এর গতিবিধি পরিবর্তন ঘটেছে ব্যাপক হারে। প্রথমে ১ এমবির একটি ফাইল ডাউনলোড করার জন্য সময় লাগতো প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিট। সেখানে এখন সম্ভব হচ্ছে মাত্র এক সেকেন্ডের কম সময়ে। এখন একসঙ্গেই কয়েক জিবি ডাউনলোড করা যায় মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে।
ইতিমধ্যে আমাদের দেশে ৩জি প্রজন্ম শেষ হয়ে এখন আমরা ৪জি উপভোগ করতেছি। পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ হারে বেশি ইন্টারনেট স্পিড ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছি। ধীরে ধীরে এই স্পিড আরো বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছে আজ থেকে ১০ বছর পর ইন্টারনেট স্পিড এতটা দ্রুতগতি সম্পন্ন হবে। যা কল্পনাও করতে পারি না। তবে আজকে আমরা আলোচনা করব ৫জি কি এবং এর সুবিধা সম্পর্কে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা যা যা জানবো
- ৫জি কি
- ৫জি ব্যবহারের সুবিধা
- কিভাবে ব্যবহার করতে হয়
৫জি কি
৫জি শব্দটি হচ্ছে সংক্ষিপ্ত রূপ যার পূর্ণরূপ হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্ম। একে ইংরেজিতে বলা হয় 5th Generation. এখানে পঞ্চম প্রজন্ম বলতে বুঝানো হয়েছে ইন্টারনেট গতির ধাপ। শুধুমাত্র ওয়ারলেস ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে আমরা চতুর্থ প্রজন্মে রয়েছি। অর্থাৎ আমরা ৪জি ইন্টারনেট উপভোগ করতেছি এখন। এই ইন্টারনেট এর স্পিড এত দ্রুত, যা আমাদের জীবনকে অতিমাত্রায় সহজ এবং সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কমে এসেছে ইন্টারনেট ডাটার মূল্য।
আন্তর্জাতিক বিশ্বে ৫জি চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই আমাদের দেশে এই প্রজন্মটি চালু হবে। খুব শীঘ্রই আমরা এর সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবো। ফাইভ জি নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রান্সফারের জন্য একটি ভিন্ন ধরনের এন্ডকোডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। যা গ্রাহকদেরকে আরো অনেক বেশি সিকিউর করবে।
৫জি কত স্পিডের হবে
৫জি স্পিড কত হবে এ নিয়ে সবারই জানার আগ্রহ প্রথম থেকেই রয়েছে। আজকে আমরা আপনাদের এ বিষয় একদম পরিষ্কার করে দিবো। এটা অবশ্যই জানা দরকার যে, ইন্টারনেট গতির তাত্ত্বিক স্পিড থেকে সব সময় কম স্পিড বাস্তবে পাওয়া যায়। গবেষকরা বলতেছে, ৫ জি ইন্টারনেট স্পিড প্রতি সেকেন্ডে ১০ জিবি পর্যন্ত হবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এর পিক স্পিড ধরা হয়েছে ২০ জিবি। তবে বাস্তবিক কত স্পিড পাওয়া যাবে তা এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে বেশ কয়েকটি মোবাইল ডিভাইস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। ১ গিগাবাইট থেকে ২ গিগাবাইট পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ড স্পিড পাওয়া গেছে। যাইহোক না কেন বর্তমান ৪জির চাইতে অনেক বেশি দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট এর বেশি গতি সম্পন্ন হবে। এটা নিশ্চিত করেছে অধিকাংশ টেক গবেষকেরা।
বহু আগেই বলা হয়েছে বাস্তবে, ৪ জি থেকে ১০ গুন বেশি গতিসম্পন্ন হবে ৫জি। উদাহরণস্বরূপ এখন যদি ২ ঘন্টার ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় লাগে। তাহলে তখন সময় লাগবে মাত্র ২০ সেকেন্ড এর কম।
৫ জি ব্যবহারের সুবিধা
ইন্টারনেট গতি যত বেশি হবে। ঠিক ততটাই বৃদ্ধি পাবে দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের উন্নতি। জীবন আরো সংক্ষিপ্ত হবে দ্রুত এবং সহজ হয়ে যাবে মানব জীবনের কাজগুলো। এখন অধিকাংশ কাজগুলাই হয় ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে। আমাদের সংক্ষিপ্ত অবসর সময়টুকুও কাটাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
ডাউনলোড: আমাদের অফিসিয়াল কিংবা ইন্টারটেইনমেন্টসহ ব্যক্তিগত ফাইল ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়। এই সকল কাজগুলো আমাদের প্রয়োজনের কারণেই করে থাকি। যেমন ১ জিবি একটি ফাইল ডাউনলোড করতে এখন এভারেজ সময় লাগে ৫ মিনিট। তখন সময় লাগবে মাত্র ১০ সেকেন্ড। সুতরাং অফিসিয়াল এর কাজসহ আমাদের ব্যক্তিগত কাজও দ্রুত করা সম্ভব হবে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: আগামী ভবিষ্যৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি আরো সহজ এবং দ্রুতগতির হবে। খুব সহজেই বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হবে। এক জায়গার ডাক্তার দূরবর্তী রোগীর চিকিৎসা করতে সক্ষম হবে। এছাড়া এ ধরনের আরও যেমন শিক্ষকরা শিক্ষা দিতে পারবে আবার কর্মচারীরা বসের সাথে মিটিং করতে পারবে।
অটোমেটিক কন্ট্রোল: ৫জি এর মাধ্যমে অটোমেটিক কন্ট্রোল সিস্টেম আরো বেশি উন্নত হয়ে যাবে। যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ, ইন্টারনেট যুক্ত গাড়ী কন্ট্রোল সিস্টেম, মেশিনারিজ কন্ট্রোল ইত্যাদি। অর্থাৎ দূরে স্থান থেকে সকল জিনিস অনায়েশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সুতরাং মানব কাজগুলো অটোমেশনে হয়ে যাবে।
ভিডিও বাফারিং সমস্যা সমাধান: ইউটিউবসহ যেকোনো প্লাটফর্মে আমরা ভিডিও দেখি। তখন কম বেশি সবারই বাফারিং করে। কিন্তু ৫জি আসলে আপনি যতই হাই রেজুলেশন এর ভিডিও দেখেন না কেন? বাফারিং একদমই করবে না। স্পিড ভিডিও এর তুলনামূলক ভাবে কয়েক গুন হরে বেশি থাকবে। বিভিন্ন ধরনের লাইভ কলগুলোতে কোন ধরনের লেক সমস্যা দেখা যাবে না। সাধারণ ফোন কলের মত অডিও ভিডিও কল উপভোগ করা যাবে।
কিভাবে ৫জি ব্যবহার করবেন
এই হাই স্পিড ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করার জন্য অবশ্যই আপনার কাছে একটি ৫ জি সিম কার্ড। আরো একটি মোবাইল থাকতে হবে। যে এরিয়াতে এই সুবিধা নিতে চাচ্ছেন সে এরিয়া ৫ জি নেটওয়ার্ক চালু থাকতে হবে। তাহলেই কেবলমাত্র আপনি এই হাই স্পিডে উপভোগ করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ ফোনে এখন ৫জি চালু রয়েছে। মোবাইল অপারেটরগুলো এই সেলুলার সিস্টেম সংযুক্ত করলেই , আপনি ঘরে বসে উপভোগ করতে পারবেন এই সুবিধা।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩