Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৩ ১৪৩২

ইমরান আল মামুন

প্রকাশিত: ১৯:২২, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
আপডেট: ১৯:২৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩

অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কিত আজকের আলোচনার মূল বিষয়। পূর্বের মতো এখন এনালগভাবে কোন কাজ না করেই অনলাইনের মাধ্যমে সকল কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। ‌কিভাবে বাসায় বসেই বিধবা ভাতা আবেদন ফরম পূরণ করবেন তা নিচে কয়েকটি ধাপে তুলে ধরা হলো।

বিধবা ভাতা কারা পাবে?

অনেকের প্রশ্ন থাকে বিধবা ভাতা মূলত কাদের জন্য? যাদের স্বামী মারা গেছে এবং আর্থিকভাবে তার পরিবার অসচ্ছল তারাই কেবল এই বিধবা ভাতাটি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু ডকুমেন্ট এবং তার স্বামীর তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে। ‌ তার পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে থাকে তাহলে সে ভাতা পাবেন না। ‌ মূলত সরকার গরিব দুস্থদের জন্য এই ভাতা পদ্ধতি চালু করেছেন।

বিধবা ভাতা আবেদন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়?

  • প্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য তথ্য
  • তার স্বামীর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ও মৃত্যু সনদপত্র
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার
  • মোবাইল ব্যাংকিং
  • এবং অন্যান্য কাগজপত্র

অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩

ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির যেকোনো ধরনের ভাতার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হতো। ‌এতে যারা দূরে অবস্থান করত তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতো। কিন্তু বর্তমান সরকার সবকিছু ডিজিটাল করার কারণে এখন যেকোন কম্পিউটারের দোকান থেকেই এই আবেদনগুলো করা সম্ভব হয়। এমনকি আপনার কাছে যদি একটি কম্পিউটার ডিভাইস থাকে তাহলে নিজে নিজেই এটি আবেদন করতে পারবেন। নিচে এ পদ্ধতি সম্পর্কে ধাপে ধাপে দেয়া হলো। 

  • যেকোনো একটি ইন্টারনেট যুক্ত মোবাইল অথবা কম্পিউটার ডিভাইস দিতে হবে প্রথমে। 
  • এখন এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। প্রবেশ করার পর এখান থেকে বিধবা ভাতা অপশনটি নির্বাচন করুন। 
  • উক্ত অপশনটি নির্বাচন করার পর প্রাপ্ত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র এবং জন্ম তারিখ দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে। এর পরবর্তী পেজে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে কিছু তথ্য আসবে এবং বাকি তথ্যগুলো পূরণ করতে হবে।
  • এই অপশনগুলোতে স্বামীর জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হবে। সেগুলো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনুসারে পূরণ করে নিচের দিকে যেতে হবে। 
  • মোবাইল নম্বর একবার দিয়ে আবার তা দিতে হবে। ‌অর্থাৎ পুনরায় যাচাই করার প্রয়োজন হয়। ‌ সবসময় এ মোবাইল নম্বরটি দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেটা আপনার মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে। যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি
  • সকল তথ্যগুলো ইনপুট করার পর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আবেদন হয়ে যাবে। ‌সর্বশেষে অবশ্যই আবেদন কপিটি প্রিন্ট আউট করে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

কারণ অনলাইন বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়মের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হচ্ছে এটি। কারণ এই আবেদন পত্রটিসহ নিকটস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে। তবে আবেদন ফরমে অবশ্যই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ‌

বিধবা ভাতা আবেদন ফরম

ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেও সরাসরি এই আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ ফরম খুব সহজেই পাবেন। এছাড়াও সমাজসেবা অধিদপ্তর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এ ফর্ম ডাউনলোড করা যায়। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে আবেদন ফরমটি দেওয়া হলো। ‌এখান থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে তা পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে পারবেন।

অনেকের মনে এই বিধবা ভাতা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। এই প্রশ্নগুলো সম্পর্কে জানার যাদের আগ্রহ আছে তারা নিজে থেকে দেখে নিতে পারেন।

বিধবা ভাতা কত টাকা করে দেওয়া হয়?
বিধবা ভাতা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হয়ে থাকে। ‌

বিধবা ভাতার জন্য কার কাছে আবেদন করতে হবে?
এটি আবেদন করতে হবে তার স্থায়ী ঠিকানার ইউনিয়ন সভাপতি বা সচিব বরাবর। 

কিভাবে বিধবা ভাতা পাব?
আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরাসরি এ ভাতাগুলো দেয়া হতো।‌ কিন্তু এখন মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মাধ্যমে সরাসরি প্রাপ্তি ব্যক্তিদের কাছে অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। ‌এতে করে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। ‌তারাও এখন সন্তুষ্ট।

বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করার নিয়ম
উপরে আপনারা জানলেন অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে। ‌ তবে এখন বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরব।‌ বৃদ্ধ মানুষের জন্য সরকার আর্থিক যে সহায়তা দিচ্ছে তা হচ্ছে বয়স্ক ভাতা। ‌যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে তারাই কেবল এই ভাতার সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তবে যারা আর্থিকভাবে কেবলমাত্র সচ্ছল তারাই এ ভাতা পেয়ে থাকেন। এটি ইউনিয়ন পরিষদ অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। ঘরে বসেই অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবেন সেই সংক্রান্ত আমাদের একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়েছে। ‌ আর্টিকেলটি দেখতে নিচের অংশ দেখুন। ‌

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়