ইমরান আল মামুন
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়
যারা ফ্রিল্যান্সার হতে ইচ্ছুক অথবা ফ্রিল্যান্সিং করতেছেন তাদের জন্য রয়েছে আজকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় সম্পর্কে। অর্থাৎ আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার কিভাবে নিজেকে ডেভেলপ করবে সে বিষয়ে সকল গাইডলাইন দেওয়া রয়েছে।
বর্তমানে সারা বিশ্বের জনপ্রিয় পেশার মধ্যে একটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করা। হাতে শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ফোন থাকলে এখন যে কেউ অনলাইন থেকে আয় করতে পারে। তবে এর জন্য অবশ্যই নিজের স্কিলকে ডেভেলপমেন্ট করতে হয় পাশাপাশি নিজেকে সেই ভাবে তৈরি করতে হবে।
বিশেষ করে করানোর সময় থেকে এই প্লাটফর্মের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যখন করোনা প্রকোপে কেউ ঘর থেকে বের হতে পারছিল না, তখন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মানুষ আয় করেছে। বিভিন্ন উপায়ে অনলাইন থেকে খুব সহজে আয় করা যায়। যেমন:
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- লিড জেনারেশন
- ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
- ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।
মূলত কয়েক হাজার প্রকারেরভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার অনলাইন থেকে আয় করতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে সবাই সফল হতে পারেনা। সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় আর নিয়ম মানতে হয়। তা না হলে অল্প সময়ের মধ্যে এ প্লাটফর্ম থেকে অনেকে ছিটকে পড়ে যায়। তাই আজকের আলোচনার প্রসঙ্গ এই বিষয় নিয়ে।
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায়
আত্মবিশ্বাস তৈরি করা
এ প্লাটফর্মে নিজের ক্যারিয়ারকে তৈরি করতে চাইলে প্রথমে নিজের আত্মবিশ্বাসকে মজবুত করতে হবে। এ কাজটি করতে পারবেন কিনা অথবা কতদিন পর্যন্ত আপনার এ কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে তা বুঝতে হবে। কেননা কোন কাজ শুরু থেকেই ইনকাম করা যায় না। নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত এবং দক্ষ ভাবে করে তুললেই একজন ফ্রিল্যান্সার অথবা যেকোনো উদ্যোক্তা আয় শুরু করতে পারে। এজন্য প্রথমে নিজের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে যে আমি এই প্লাটফর্মে কাজ করব এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনায় অটুট থাকবো।
অপশন তৈরি করা
একজন ফ্রিল্যান্সার শুরু থেকেই কাজ পাবে এটার কোন নির্দিষ্ট বাঁধাধরা নিয়ম নেই। অনেকেই এক ক্লায়েন্টের মাধ্যমে আজীবন কাজ করে যেতে পারে আবার অনেকে এক বছরে অনেকের কাজ করে থাকে। অনলাইন কাজের কোন ধরনের নিশ্চিত নেই। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা আপ ওয়ার্ক, ফাইবারের মত ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করে থাকে। নিজের দক্ষতা যদি ভালো থাকে তাহলে এখানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করা যায়। তবে এর বিকল্প অন্য কোন প্ল্যাটফর্মে দিকে অবশ্যই আপডেট থাকতে হবে। যেমন লিংকইডন, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি। কারণ এ সকল প্লাটফর্ম থেকে প্রচুর কাজ পাওয়া যায় এবং সরাসরি ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে। তাই অবশ্যই সব সময় একটি বিকল্প অপশন রাখতে হবে।
নিয়মানুবর্তিতা
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় এর তালিকার সবার উপরে রয়েছে নিয়মানুবর্তিতা। অর্থাৎ সময়ের কাজ সময় করতে হবে। বিশেষ করে প্রথম দিকে একজন ব্যক্তি অফিসে ম্যানুয়াল ভাবে যেভাবে কাজ করে তাকে অবশ্যই সেভাবে কাজ করে নিতে হবে। তাহলে তার কাজটি প্রফেশনাল হবে করতে সক্ষম হয়। আর এদেরকে আরো বেশি সময়ের প্রতি নজর দিতে হয় কেননা বেশিরভাগ প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে হয় টাইম দেখার মাধ্যমে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে যদি ক্লায়েন্টের কাজ সম্পন্ন না করা হয় তাহলে প্রজেক্ট টাইমিং বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। যা আপনার ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নির্দিষ্ট টাইমের ভিতরে প্রজেক্ট ডেলিভারি দিলে পরবর্তী সময়ে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর পাশাপাশি নিজের অন্যান্য কাজ সবগুলো রুটিন মাফিক করার চেষ্টা করতে হবে।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট
একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে অবশ্যই যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। কারণ কোন বিষয়ে যদি দক্ষ না হন তাহলে আপনি কাজ পেলেও পরবর্তীতে সে কাজটি হারাবেন। একজন ক্লায়েন্ট এর কাজ শতভাগ নির্ভুলভাবে এবং সময়মতো করে দিলেই সে পুনরায় প্রজেক্ট দিবে। আর ক্লায়েন্ট চাও আপনার কাছে খুশি থাকবে। এজন্য যতটা কাজ পারেন যতদিন যাবে তত নিজের স্কিলকে ডেভেলপমেন্ট করার চেষ্টা করতে হবে। আর পাশাপাশি নতুন আরো স্কিল সম্পর্কে ডেভেলাপ করার চেষ্টা করতে হবে। কেউ যদি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চায় তার জন্য অবশ্যই এ বিষয়টি সবার আগে এবং গুরুত্বপূর্ণ।
দ্রুত সমস্যার সমাধান
যখন একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট হাতে নেয় যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট যেটাই হোক না কেন। এ প্রজেক্টগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা-ভাবনা করে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করাই হচ্ছে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের কাজ। যার যত এই স্কিলটি রয়েছে কিংবা দক্ষতা রয়েছে সে তত দ্রুত সফলতার শিকড়ে পৌঁছাতে পারবে।
সৃজনশীল ধারণা
একজন ফ্রিল্যান্সারকে অবশ্যই সৃজনশীল বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। এটি মূলত হচ্ছে একটি ইউনিক কাজ। তাই যে যত সৃজনশীল জ্ঞানে দক্ষ সে তত দ্রুত এ প্লাটফর্মে এগিয়ে যেতে পারবে। বিশেষ করে যারা ডিজাইনের কাজ করে তাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রজেক্ট পাওয়ার পর সেটি পরিকল্পনা করুন , গবেষণা করুন তারপর কাজ শুরু করুন। তাহলে আপনার কাজটি সুন্দর এবং শতভাগ নির্মূল হবে। কাজ যত ইউনিক হবে ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি তত সন্তুষ্ট হবে । সুতরাং অন্যান্য স্কিল ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি নিজের সৃজনশীল ধারণা কেউ এগিয়ে নিতে হবে।
ওয়ার্করুম তৈরি করা
আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় খুঁজেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্করুম অবশ্যই খুঁজে পাবেন। কেননা একজন ফ্রিল্যান্সার সব সময় বাসায় বসে এ কাজগুলো করে থাকে। যদি অফিসের মত পরিবেশ না হয় তাহলে কাজে মন বসে না সহজে এবং বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটে। তাই যতটা সম্ভব কাজের রুমকে অফিস রুমের মত করে সাজানো গোছানো। যতটা সম্ভব খেয়াল রাখবেন বাইরের শব্দ যেন ভিতরে প্রবেশ না করে।
ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড অনেক আর্টিকেল প্রকাশিত করা হয়েছে। আপনি যদি দৈনিক ৫০০.টাকা ইনকামের উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩