ইমরান আল মামুন
আপডেট: ১৪:৫০, ৩১ মে ২০২৩
সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ২০২৩
আপনি কি সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুজছেন ভিডিও এডিটিং কোর্স করার জন্য? তাহলে এই আর্টিকেলটি আজকে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের সেরা ভিডিও এডিট সফটওয়্যার ।
বেশ কয়েক বছর আগেও একটি ছবি এডিট করার জন্য ভালো মানের একটি কম্পিউটার ছাড়া এডিট করা সম্ভব হতো না। আর ভিডিও এডিট তো সেটি কল্পনার বাইরে। প্রযুক্তির এত উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ এখন বাটন মোবাইল থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। আর স্মার্টফোনের সাহায্যে কম্পিউটারের অনেক কাজ গুলো খুব সহজভাবে করা সম্ভব হয়। ঠিক একইভাবে করা যায় অন্যান্য কাজগুলো। যেমন ফটো এডিট, ভিডিও এডিট ইত্যাদি।
এখন খুব সহজে একটি ভিডিওকে মোবাইলের মাধ্যমে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়। আগে যারা ভিডিও এডিটিং কোর্স করার প্রয়োজন মনে করত তারা কম্পিউটার ছাড়া এ প্লাটফর্মে আসতো না। বর্তমানে যার একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল রয়েছে সেও এখন এ প্লাটফর্মের প্রফেশনালভাবে কাজ করে নিচ্ছে। আসুন দেখে নেই কিভাবে আপনিও এন্ড্রয়েড মোবাইলের সফটওয়্যার দিয়ে হাই কোয়ালিটিভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
সেরা মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ২০২৩
Adobe premiere clip
আমাদের সবারই মোটামুটি জানা রয়েছে ছবি এডিটিং অথবা ভিডিও এডিটিং এর জগতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এডোবি কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার। এর মধ্যে অনেকগুলো ভিডিও সফটওয়্যার থাকলেও মোবাইলের জন্য সেরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হচ্ছে Adobe premiere clip. এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি প্রফেশনালভাবে ভিডিও ক্লিপ থেকে শুরু করে ফুল ভিডিও পর্যন্ত অনায়াসে কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে এবং আপনি চাইলে প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে প্রিমিয়াম ভার্সনে বেশি ফিচার যুক্ত রয়েছে। এর কিছু দুর্দান্ত ফিচারগুলো হচ্ছে:
- এফেক্ট
- ফটো মোশন
- ফিল্টার
- মিউজিক
- ট্রিমিং
- ভিডিও কাটিং ইত্যাদি
Power director
এন্ড্রয়েড জগতে প্রায় দশ বছরের অধিক সময় ধরে জনপ্রিয়তার সঙ্গে টিকে রয়েছে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি। এর মাধ্যমে একজন মোবাইলের বেসিক সম্পর্কে জানা ব্যক্তিও প্রফেশনালভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবে।এর জন্য প্রয়োজন হবে না কোন ধরনের ভিডিও এডিটিং কোর্স। বিনামূল্যেই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে যে কেউ এডভান্স লেভেলের ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবে। এ সফটওয়্যারটির ফিচারগুলো হচ্ছে:
- ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন,
- ভিডিও কাটিং
- ফিল্টারিং
- এফেক্ট
- মোশন এডিট
- স্টিকার
- অডিও ইত্যাদি।
KineMaster
মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর সেরা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে KineMaster. বর্তমানে এর মোট ব্যবহারকারী এক কোটির বেশি ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সব ধরনের ভিডিও এডিট করা সম্ভব হয় ফ্রি ফিচারে। তবে ফ্রি ভার্সনে এর ওয়াটার মার্ক থেকে যায়। প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যাপারে আরও বেশি এবং ফিউচারগুলো পেতে পারেন। কেউ যদি এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিট করতে চায় তাহলে অবশ্যই KineMaster ব্যবহার করতে পারেন। সফটওয়্যারটির সেরা ফিচারগুলো হচ্ছে:
- ইউজার ইন্টারফেস
- সাবটাইটেল
- ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট
- অডিও এডিট
- ফিল্টারিং
- স্টিকার ইত্যাদি
Magisto
প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ইনস্টল হয়েছে এই অ্যাপটি। যদিও এর বাংলাদেশের ব্যবহারের সংখ্যা কম। তবে সারা বিশ্বজুড়ে এ জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। কারণ এর মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে ভিডিও এডিট করা যায় খুব সহজে। এজন্য অন্যান্য অ্যাপ এর মত বিভিন্ন ধরনের বাড়তি ফিচার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ যদি কেউ একদম ন্যূনতম মোবাইল জ্ঞান নিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান তাহলে অবশ্যই এই সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন।
Lightroom video editor
অ্যান্ড্রয়েড জগতে আরেকটি এডোবি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হচ্ছে লাইট রুম। এ সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সহজেই ছবিসহ ভিডিও এডিটিং করা যায়। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য প্রফেশনাল ভিডিও এডিট এ সফটওয়্যার মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। যেমন নাটক, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি। সফটওয়্যারটির ফিচারগুলো হচ্ছে:
- ভিডিও কাটিং
- রিটাচ
- কালার ইফেক্ট
- হাইলাইট
- স্টিকার ইত্যাদি
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব?
মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার পাশাপাশি অনেকে জানতে চান কিভাবে ভিডিও এডিটিং শেখা যায়। এই ধরনের এডিটিং সাধারণত সফটওয়্যার অনুসারে একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের প্রিমিয়াম কোর্স অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। তবে বর্তমানে ইউটিউবে অনেক ফ্রি এডিটিং টুলস রয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন।
তবে সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু এগুলো মোবাইলের ব্যবহার করবেন অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনে সেহেতু প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করার চেষ্টা করতে হবে। আর যদি থার্ড পার্টি কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডাউনলোড করেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখবেন কোন ধরনের ভাইরাস সফটওয়্যার অথবা ক্রেক ফাইল যাতে ডাউনলোড না হয়। এগুলো আপনার ডিভাইস হ্যাক করে নিতে পারে।
মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যতীত আরও এরকম অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের টিপস এবং ট্রিক্স পেতে আই নিউজের তথ্যপ্রযুক্তি দেখুন।
বিক্রয় ডট কম পুরাতন মোবাইল ২০২৩
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩