ইমরান আল মামুন
আপডেট: ১৬:২৭, ৬ জুন ২০২৩
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩
আপনি কি একজন শিক্ষার্থী? দেশের বাইরে পড়াশোনা করার জন্য ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ( UK student visa ) খুজতেছেন? কিন্তু ইন্টারনেটে সার্চ করে কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছেন না? তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্য একদম উপযুক্ত। কারণ এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হচ্ছে ইউকে ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় সকল তথ্যগুলো।
বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় মানুষ যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের প্রতিবছর প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ যাতায়াতের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন : ভ্রমণ করতে, পড়াশোনা করতে, কর্ম সংস্থানের জন্য। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা।
প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ইচ্ছা থাকে ইউকে অথবা কানাডার মত দেশে পড়াশোনা করা। সবার ইচ্ছে তো আর পূরণ হয় না। কিন্তু চেষ্টা করলে তো আর ক্ষতি নেই। এজন্য আপনিও আমাদের এই আর্টিকেল পড়ে ইউকে ভিসার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবেন অথবা এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। নির্দিষ্ট কোয়ালিফাইড শিক্ষার্থী কেবল এখানে আবেদন করার সুযোগ পায় এবং সেখানে এডমিশন নিতে পারে। ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৩ | Uk student visa 2023
কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পাব?
বেশিরভাগ স্টুডেন্ট জানতে চায় কিভাবে লন্ডনের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়? তথ্যটি জানা না থাকার কারণে অনেকেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এখন তুলে ধরব কিভাবে আপনি ভিসা পাবেন।
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য প্রথমে আপনাকে ইংল্যান্ডের যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে স্কলারশিপ পেতে হবে। আর এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য অবশ্যই আবেদন করতে হবে ঐ সকল বিশ্ববিদ্যালয়। যদি আপনি স্কলারশিপ পান তাহলেই আপনাকে কেবল ঐ দেশের স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। স্টুডেন্ট ভিসা বলতে ইংল্যান্ডের কোন ভিসা নেই। এটি হচ্ছে এডুকেশন পারমিট ভিসা। যা আমাদের দেশে স্টুডেন্ট ভিসা নামে পরিচিত।
স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশের যেমন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন অথবা ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয় শিক্ষার্থীদের। ঠিক তেমন ভাবে ইউকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন হলেই প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে। তাহলে আসুন দেখে নেই স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি কি?
এই ধরনের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাচ নম্বর অর্থাৎ রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে। এর দ্বারা প্রমাণিত হবে আপনি ওই দেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হবেন তার সত্যতা।
ইউকে যেকোনো ধরনের ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রার্থীদেরকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যদি এ প্রমাণপত্র দাখিল না করা হয় তাহলে আপনি ভিসা পাবেন না। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা দেখানোর জন্য IELT কোর্স সম্পূর্ণ হতে হবে। আর এই কোর্সের পয়েন্ট সর্বনিম্ন থাকতে হবে ৬ পয়েন্ট।
স্টুডেন্ট ভিসার ধরন: ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা মোট চার ধরনের। এই ভিসার ধরন মূলত করা হয়েছে স্টুডেন্টদের বয়সের উপর নির্ভর করে। আসুন দেখে নেই কি কি ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা রয়েছে।
সাধারণ ভিসা: যে সকল শিক্ষার্থীদের বয়স 0 অথবা তার থেকে বেশি তারা এই এই ক্যাটাগরির ভিসা পাবেন। যা হবে একটি কোর্সের স্থান। সেখান থেকে আপনি আপনার শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারবেন।
নির্ভরশীল ভিসা: এই সকল ভিসা তাদের দেওয়া হয় যাদের পরিবারের সদস্য ইউকেতে বসবাস করে এবং তাদের সাথে যোগদান করবে।
শিশু ভিসা: যে সকল শিক্ষার্থীদের বয়স চার থেকে ১৭ বছর এবং পড়াশোনা করতে যাবেন তাদের জন্য হয়েছে শিশু ভিসার ব্যবস্থা। এছাড়াও আপনার বয়স যদি ৪ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে হয় তাহলে যুক্তরাজ্যে স্বাধীন ফি প্রদানকারী একটি স্কুলে যোগদানের জন্য সুযোগ পাবেন।
স্ট্যান্ডার্ড ভিসা: যদি আপনার বয়স ১৭ বছরের কম হয় এবং ছয় মাসের জন্য অধ্যায়ন করতে চান। আপনাকে স্ট্যান্ডার্ড ভিসা নিতে হবে তাহলে। এছাড়াও চাইল্ড ডিজিটাল ভিসার মাধ্যমে ইউকে যেতে পারবেন।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কি কি লাগে?
ইউকে ভিসা করার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টগুলো ব্যতীত কেউ ভিসা করতে পারবে না। আসুন দেখলেই কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন।
- ইউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স
- একটি স্টুডেন্ট ভিসার সম্পূর্ণ আবেদন
- একটি গ্রহণযোগ্য পত্র এবং ভিসার চিঠি
- স্পন্সর অফার লেটার
- খরচ পরিশোধের রশিদ
- মূল প্রশংসাপত্র অথবা মূল মার্কসীট
- অর্থের প্রমাণপত্র। প্রমাণ করা হবে আপনি নয় মাস পর্যন্ত জীবনযাত্রার ব্যয় করার সামর্থ্য থাকেন।
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ পত্র ( IELTS )
স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
অনেকে ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার সম্পর্কে জানতে চায়। ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি এটা আমাদের অনেকেরই জানা রয়েছে। প্রিলিমিনারি কোর্স করতে প্রায় প্রত্যেক বছর খরচ হয় ৫০০০ থেকে ১৫০০০ পাউন্ড পর্যন্ত। আর জেনারেল বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য এর খরচ ৮ হাজার পাউন্ড থেকে তার বেশি। অন্যদিকে মেডিকেল বিষয় পড়াশোনা করার শিক্ষার্থীদের এই খরচের পরিমাণ ১০ হাজার পাউন্ড থেকে ২০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত। আর ভিসা করতে প্রয়োজন হয় মাত্র ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ র্যাংকিং অনুসারে এগুলোর কম বেশি হতে পারে। আবার ভালো ফলাফল করলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার কোর্স ফি অনেকটা কমিয়ে দিয়ে থাকে।
সতর্কতা: বর্তমানে অনলাইন অফলাইনে অনেকে ভিসা প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
বর্তমান আধুনিক সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবকিছু যাচাই-বাছাই করা যায় এবং আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং ভিসা করার পূর্বে অবশ্যই ভিসা চেক করে নিবেন এবং ইন্টারনেট থেকে সকল তথ্য যাচাই বাছাই করে নিবেন। বিশেষ করে এখন ইদানিং ভুয়া ভিসার ফাঁদে পড়ে অনেকে জীবন পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে।
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসার ব্যতীত আরো ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি ক্যাটাগরি দেখুন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিসা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আলোচনা করা হয়েছে।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩