ইমরান আল মামুন
প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
আজকের আর্টিকেলে আমরা নিয়ে এসেছি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে। যারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বে তারা অবশ্যই প্রতি মাসে স্মার্ট এমাউন্টের একটি ইনকাম করতে পারবে। দেরি না করে আর্টিকেলটি এখনি পড়ার শুরু করে দিন।
বর্তমানে আমাদের দেশের চাকরির অবস্থা খুব শোচনীয়। সরকারি চাকরি সেটা তো এখন সোনার হরিণ। আর প্রাইভেট চাকরির ক্ষেত্রে মামা খালু ব্যতীত চাকরি পাওয়া তাই অসম্ভব। যারা অত্যন্ত মেধাবী এবং পরিশ্রমে তাদের চাকরি অবশ্যই হয়ে থাকে। কিন্তু তার জন্য প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ যুবক এখন বেকার। একটিমাত্র কর্মসংস্থানের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু মিলছে না কোন সফলতা। তবুও চলছে আপ্রাণ চেষ্টা যদি মিলে কোন একটি কর্মসংস্থানের সন্ধান।
আবার অন্যদিকে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের অবস্থা আরো শোচনীয়। বিশেষ করে যারা দরিদ্র এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে এসেছে তাদের অবস্থা ভয়াবহ। পড়াশোনায় মনোযোগ দিবে নাকি কর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকে পড়বে তারা তা বুঝতে পারে না। শিক্ষার্থী হোক আর চাকরির প্রার্থী হোক অনেকের এমন রয়েছে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার সুযোগ থাকলেই হবে। কিন্তু অনেকেই এ সুযোগটি পাচ্ছেন না। যার কারণে হতাশায় ভুগতেছেন অনেকে। তবে তাদের দুঃখটি লাঘব করার জন্য বিজনেস আইডিয়া এসেছি আজকের আর্টিকেলে। প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যাবে এমন কিছু ট্রিক্স নিয়ে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোন কাজেই ছোট নয়। আর ছোট কাজ থেকেই ধীরে ধীরে বড় হতে হয়।
প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
এখন আপনাদের সামনে কিছু বিজনেস প্ল্যান এবং কাজের কথা বলব যেগুলোর মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে এর থেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এটি নির্ভর করবে আপনার উপর আপনি এখানে দিনে কতটুকু সময় দিচ্ছেন এবং কতটুকু পরিশ্রম করছেন তার উপর। তবে এক্ষেত্রে কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। কারণ একজন উদ্যোক্তায় কেবল দ্রুত তার সাফল্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। আমরা এখানে দুটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব একটি হচ্ছে অনলাইন পদ্ধতি আরেকটা হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতি।
অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়?
অনলাইন থেকে কয়েক হাজার পদ্ধতিতে আয় করা যায়। তবে আমরা আপনাদের সামনে এমন কিছু ইনকাম পদ্ধতি দেখাবো যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার প্রতি মাসের খরচ উঠাতে পারবেন। এতে করে আপনার পরবর্তী সময় আর চাকরির প্রয়োজন হবে না।
প্রোডাক্ট সেলিং
অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে প্রোডাক্ট। আপনি এখানে বিক্রি করতে পারবেন যেকোনো ধরনের পণ্য যেমন কাপড়, খাবার, ইলেকট্রনিক্স পণ্য ইত্যাদি। এ সকল জিনিসপত্র বিক্রি করার জন্য তেমন কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। facebook এবং youtube এ প্রোডাক্ট নিয়ে প্রফেশনাল ভাবে কিছু ভিডিও এবং আর্টিকেল তৈরি করে মার্কেটিং করলেই প্রচুর সেল করা যায় এই সকল প্রোডাক্টগুলো। এক্ষেত্রে আপনার পণ্যের কোয়ালিটি যত ভালো হবে, তথ্য কাস্টমার আপনার থেকে সেবা গ্রহণ করবে। এটি হচ্ছে সবচেয়ে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়। এ ব্যবসা করার জন্য মাত্র পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা ইনভেস্টমেন্ট করলেই হয়ে যায়।
মাইক্রো ওয়ার্ক জব
এখন সবার হাতেই স্মার্ট ফোন রয়েছে। যাদের শুধু ন্যূনতম ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তারাই এখান থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন। এর জন্য কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় দিলে প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা আয় করা কোন ব্যাপার না একজন শিক্ষার্থীর পক্ষে। এটি ধরতে গেলে অনেকটা চাকরির মত। নিয়ম মত এখানে কাজ করলে মাস শেষে ভালো পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। বর্তমানে মার্কেটে অনেক ধরনের মাইক্রো ওয়ার্ক জব সাইট হয়েছে। একসাথে কয়েকটি সাইটে কাজ করলে এই অর্থ আয় করা সম্ভব হবে। কাজগুলো তেমন কঠিন নয় যেমন: ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা, ফেসবুক পেইজে লাইক দেওয়া, টুইটারে টুইট করা ইত্যাদি। যা একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই কাজগুলো করে নিতে পারবে।
কনটেন্ট রাইটিং
আপনার যদি লেখালেখি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকে এবং লিখতে ভালবাসেন তাহলে এখান থেকেও আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। বিশেষ করে টেকনোলজি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক যারা লেখায় পারদর্শী তাদের জন্য এটি মহাসুযোগ। ইংরেজিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে তেমনটা নয়। বাংলায় মোটামুটি ইউনিক আর্টিকেল লেখার অভিজ্ঞতা থাকলেই চলবে। বর্তমানে আমাদের দেশেও বাংলা ব্লগিং অনেক চালু হচ্ছে যেখানে নিয়মিত রাইটার হায়ার করা হয়ে থাকে। আর এর বড় সুবিধা হচ্ছে বাসায় বসেই আর এই কাজটি করার সুযোগ রয়েছে। এই কাজের জন্য প্রয়োজন হবে না কোন ধরনের ইনভেস্টমেন্টের। শুধুমাত্র লেখায় পারদর্শী হলেই থেকে হিউজ পরিমান অর্থ আয় করা যায়।
অফলাইনে প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা আয় করা উপায়
আমরা জানলাম অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে। এখন আমরা জানবো অনলাইনে আর পাশাপাশি কিভাবে অফলাইনে আপনি প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
মৌসুমী ফল বিক্রয়
মৌসুমী ফল বিক্রয় করে অনেক পরিমাণ অর্থ করা যায়। এখন আম, লিচুর সিজন। যে অঞ্চলগুলোতে আম বেশি উৎপাদন হয় সে অঞ্চল থেকে অনুৎপাদন এলাকাতে যদি বিক্রি করা হয়। তাহলে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। যেমন রাজশাহী অঞ্চলে প্রচুর আমের চাষ করা হয়ে থাকে। সেখানে প্রতি কেজি আমের পাইকারি দাম হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সেগুলো কিনে যেখানে আমের চাষ কম হয় ঐ অঞ্চলগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে। এভাবে লিচু এবং অন্যান্য সিজনাল ফল গুলো বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে সবকিছু এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে কুরিয়ার মাধ্যমে পাঠিয়ে এখান থেকেও আয় করতে পারবেন।
চা বিক্রি করা
আমরা প্রথমেই বলেছি কোন কাজে এখন ছোট নয়। সৎ উপায়ে কম অর্থ ইনকাম করলেও সেটি গর্বের বিষয়। শুধুমাত্র একটি ফ্লাক্স এবং চা নিয়ে যদি বিভিন্ন ধরনের পাবলিক পেয়েছে যেমন বাসস্ট্যান্ড, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, পার্ক ইত্যাদি জায়গায় ঘোরা হয় তাহলে প্রচুর বিক্রি হয়। যেমন একজন ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতার সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে জানা গেছে তার প্রতিদিন আয় হয় প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। সুতরাং কোন কাজকে ছোট না মনে করে এখনই কাজটি করতে পারেন। এই ধরনের ব্যবসার জন্য প্রয়োজন হয় না তেমন বেশি পরিমাণ টাকা। ৫ হাজার টাকার মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
ডেলিভারি ম্যান
আপনি যদি পার্ট টাইম প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে দেখেন তাহলে এই পদ্ধতি আপনার জন্য একদম উপযুক্ত। তবে শুধুমাত্র একটি সাইকেল এর প্রয়োজন হবে আর প্রয়োজন হবে আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা কিছুটা। বর্তমানে ঢাকা শহর অথবা অন্যান্য শহরগুলোতে প্রচুর এজেন্ট রয়েছে যারা ডেলিভারি ম্যানদেরকে পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে। এরকম ১ থেকে ২ টি এজেন্টের সাথে কাজ করা যায়। তেমন অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হবে না আপনার এ কাজটি করার জন্য। শুধুমাত্র সাইকেল রাইড করে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে সেবা পৌঁছে দিলেই আপনার কাজটি সম্পন্ন হবে।
কাঁচামালের ব্যবসা
যদি আপনার ইনভেস্টের পরিমাণ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয় তাহলে অবশ্যই কাঁচামালার ব্যবসা করার জন্য সাজেস্ট করব। গ্রাম থেকে কম দামে কাঁচামাল পণ্যগুলো কিনে সেগুলো শহরে বিক্রি করে দিলে প্রতিদিন কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে। অনেকে এই ধরনের ছোট ব্যবসা থেকে আজ অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর সময় দিতে হবে এবং প্রচুর পরিশ্রমী হতে হবে। তা না হলে এই ব্যবসা বৃথা যাবে।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানলেন প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে। আরো বিভিন্ন ধরনের বিজনেস আইডিয়া এবং অনলাইন থেকে আয় করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলের নিচের অংশ দেখে নেই।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩