মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ০২:৪৩, ৯ আগস্ট ২০২৩
বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও দ্রুতগামী বুগাটি গাড়ি সম্পর্কে অজানা তথ্য
বুগাটি ভেরুন । ছবি- অনলাইন
বর্তমানে সবথেকে দ্রুততম সুপারকার বলা হয় বুগাটিকে। যার সর্বোচ্চ গতি ৪০০ কিলোমিটারের উপরে। পৃথিবীতে এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না যারা বুগাটি গাড়িকে পছন্দ করেনা। বুগাটি কোম্পানির গাড়িগুলোকে বলা হয় লেজেন্ডারি সুপারকার। পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী ইঞ্জিন যে সুপারকারে ব্যবহার করা হয়, সেই সুপারকার এর নাম হচ্ছে বুগাটি।
এক কথায় বলতে পারেন এই বুগাটি গাড়িগুলোতে রকেটের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। গাড়িটিতে কি এমন সিক্রেট রয়েছে যার কারণে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ চায় যে তার গেরেজে একটি করে বুগাটি থাকুক। এই শক্তিশালী সুপারকার বুগাটি গাড়িগুলো ফ্যাক্টরিতে কিভাবে তৈরি করা হয় এই বিষয়ে জানবো আই নিউজের আজকের প্রতিবেদনে।
বুগাটি কোম্পানি
বুগাটি ভেরুন এমন একটি গাড়ি যে গাড়ির মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর মানুষ জানতে পারে যে সুপারকার নামে একটি জিনিস আছে। তবে বুগাটি কোম্পানি বর্তমানে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এই কোম্পানির ইতিহাস অতটা ভালো না। তো ১৯০৯ সালে অ্যাটর্ বুগাটে সর্বপ্রথম এই বুগাটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে এবং তখন থেকে বোগাটি কোম্পানি বেশ ভালো গাড়ি তৈরি করতে থাকে। কিন্তু ১৯৫২ সালে এই কোম্পানিটি ব্যাংক ক্রাপ্ট হয়ে যায় এবং কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর বেশ কিছু বছর ধরে কোম্পানি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এরপর ১৯৮০ সালে ইটালিয়ান এক বিজনেস ম্যান এই বুগাটি কোম্পানিকে কিনে নেয়। আর তখন থেকে এই কোম্পানিতে সুপার কার তৈরি করা শুরু করে। কিন্তু তারপরও বুগাটি কোম্পানির ভাগ্য তেমন একটা ভালো চলছিল না। ১৯৯৫ সালে আবার এই কোম্পানি টিকে ক্লোজ করে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ভক্সওয়েগান কোম্পানি এই বোগাটি কোম্পানিকে কিনে নেয়। এরপর ভক্সওয়েগান কোম্পানি এমন সব স্ট্রাটেজি ফলো করতে থাকে এবং এমন সব কার তৈরি করে যাতে করে বুগাটির ভাগ্য বদলে যায়। ২০০১ সালে বুগাটি কোম্পানি পৃথিবীর সর্বপ্রথম সুপারকার তৈরি করে। যার নাম ছিল বোগাটি ভেরন। ২০০১ সালের পর থেকে ভক্সওয়েগান কোম্পানি সুপার কার তৈরির জন্য পুরো পৃথিবীব্যাপী বিখ্যাত।
বুগাটি কোম্পানি গাড়ির ইঞ্জিন
যে কোন গাড়ির প্রধান হচ্ছে সেই গাড়ির ইঞ্জিন। আর বোগাটি ভেরনের ইঞ্জিন পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী ইঞ্জিল। এই ইঞ্জিনগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে কক্সবাজার কোম্পানির ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরিকে বলা হয় পৃথিবীর সবথেকে বড় ইঞ্জিন প্রডিউসার ফ্যাক্টরি। বুগাটি ভেরনের ইঞ্জিন তৈরি করার পরে ইঞ্জিনকে সেট করা হয়ে থাকে রোবটের সাহায্যে। বোগাটির সম্পূর্ণ বডি তৈরি করা হয় অ্যালুমিনিয়াম এবং টাইটেনিয়াম দিয়ে। যে দুইটি পদার্থকে বলা হয় পৃথিবীর সবথেকে দামি এবং শক্তিশালী পদার্থ। তাছাড়া বোগাটির ইঞ্জিনের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটি জায়গায় অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়। বুগাটি কোম্পানির ইঞ্জিন গুলো সাধারন গাড়ির ইঞ্জিন থেকে অনেক আলাদা হয়ে থাকে। এই ইঞ্জিনগুলো কনফিগারেশন হয় ডব্লিউ। মানে ২টি ভি এইট ইঞ্জিন কে একসাথে করে ১৬টি সিলিন্ডারের ইঞ্জিন তৈরি করা। বুগাটি গাড়ি গুলোর ইঞ্জিন তৈরি করতে মোটামুটি এক সপ্তাহ সময় লাগে। ২০০১ সালে এই ইঞ্জিন গুলোকে প্রথমবারের মতো টেস্ট করা হয়েছিল এবং প্রথম টেস্টে এই ইঞ্জিন এক হাজার হর্স পাওয়ার তুলেছিল। বুগাটি এই সকল ইঞ্জিন মোটামুটি তিন হাজার হর্স পাওয়ার শক্তি উৎপাদন করতে পারে। মানে তিন হাজারটি ঘোড়ার শক্তি। ইঞ্জিন গুলো এতটাই গরম হয়ে থাকে যে এই গরম দিয়ে শীতের সময় প্রায় এক হাজারটি পরিবার তাদের শীত কাটাতে পারবে। বুগাটি গাড়িগুলো যে রাস্তাতে টপ স্পিড তোলে সেই রাস্তাগুলো পুরোপুরি গরম হয়ে যায়। মানে বুঝতে পারছেন এর ইঞ্জিন ক্ষমতা কতটা বেশি।
বুগাটি ইঞ্জিন এবং সর্বোচ্চ গতি
যখন ২০০১ সালে প্রথম বারের মতো বুগাটি গাড়িগুলো টেস্ট করার জন্য নিয়ে যায় তখন গাড়িটি সর্বোচ্চ গতি তুলেছিল ৩২১ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এতো স্পিডে গাড়ি তোলার পরে গাড়িকে থামানোর জন্য ভালো ব্রেকিং সিস্টেম দরকার। যার কারণে তখন থেকে বুগাটি কোম্পানিগুলো রেডিয়েটর ব্যবহার করতে শুরু করে। বুগাটির এক একটি গাড়িতে মোটামুটি ১০ থেকে ১২টি রেডিয়েটর থাকে। এই কারণে বুগাটি গাড়ি গুলোর কুলিং ক্যাপাসিটি অনেক বেশি। মজার ব্যাপারটি হচ্ছে এক একটি রেডিও তৈরি করতে মোটামুটি ১৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এই গাড়িগুলোর গিয়ার তৈরি করে থাকে ইটালির রিকার্ডো কোম্পানি। বুগাটি গাড়ি গুলোর গিয়ারে ডুয়াল ক্লাস মেকানিজম থাকে। বুগাটি কোম্পানি প্রথমবারের মতো এই ডুয়াল ক্লাস মেকানিজম ব্যবহার করেছিল। গাড়ি যখন সর্বোচ্চ গতিতে উঠে যায় তখন এই গাড়িকে থামানো অনেক কষ্টের একটি বিষয়। বুগাটির মতো গাড়ি যার সর্বোচ্চ গতি ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে এই গাড়িকে থামানোর আরো কষ্টকর। বুগাটির গাড়িগুলোতে কার্বন সিরামিক ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এই ব্রেকগুলোকে জার্মানিতে তৈরি করা হয়। এই ব্রেকগুলো কোন সাধারণ ব্রেক নয়। এই ব্রেক সিস্টেমগুলো ৯৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। কিন্তু একটি বুগাটি গাড়িকে সেফলি স্টক করার জন্য এরকম যথেষ্ট নয়। যার কারণে এই গাড়িগুলোতে এক্সট্রা আরেকটি ব্রেক ব্যবহার করা হয় এবং সেই ব্রেককে বলা হয় ইয়ার ব্যাগ। এই ইয়ার ব্যাগ গুলো বোগাটি গাড়ির পেছনে থাকে। যখন গাড়িগুলো সর্বোচ্চ গতিতে উঠে যায় তখন এই ব্যাংকগুলো পেছন থেকে ফুলে ওঠে এবং গাড়িগুলো থামানো অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনারা হয়তো দেখেছেন বুগাটি গাড়ি গুলোর পেছনে দুইটি উইংস থাকে। এই দুইটি উইংস কে স্পেশাল ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। এবং গাড়ির সামনে যে স্টিলের মতো ডিজাইন থাকে সেগুলো তৈরি করা হয় স্টেনলেস স্টিল দিয়ে। এই সকল স্টিল দিয়ে প্লেন তৈরি করা হয়ে থাকে। বুগাটির সামনে গ্রিল থাকে সেই গ্রিল সম্পূর্ণ তৈরি করা হয় টাইটানিয়াম দিয়ে। মজার ব্যাপারটি হচ্ছে একটি বোগাটি ২.৫ সেকেন্ড শূন্য থেকে একশ কিলোমিটার গদি তুলতে পারে। আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে ১০০ কিলোমিটার থেকে জিরো কিলোমিটার নিয়ে যেতে ২.২ সেকেন্ডের প্রয়োজন হয়। উন্নত মানের ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করার কারণে মাত্র ২.২ সেকেন্ডে গাড়িটিকে এত স্পিড থেকে থামানো সম্ভব। বোগাটি কোম্পানির গাড়ি গুলোর মাইলেজ অনেক কম হয়ে থাকে। এক লিটার পেট্রোলে গাড়িগুলো কেবলমাত্র ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। তবে যারা বুগাটি কেনার সামর্থ্য রাখে তাদের কাছে মাইলেজ কোন বিষয় নয়। সাধারণ গাড়ি গুলো হাইওয়েতে বেশি মাইলেজ দিয়ে থাকে এবং সিটি রোডে কম মাইলেজ দিয়ে থাকে। কিন্তু বুগাটি গাড়িগুলো সিটি রোডে বেশি মাইলেজ দিয়ে থাকে এবং হাইওয়েতে কম মাইলেজ দিয়ে থাকে। বুগাটি কোম্পানির ফিউল ট্যাংক গুলো .১০০লিটারের হয়ে থাকে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিতে যদি আপনি গাড়িটি চালান তাহলে মাত্র ১২ মিনিটে ১০০ লিটার পেট্রোল শেষ হয়ে যাবে। এটি সত্যি অবাক করা বিষয়। গাড়িটি মাত্র ১২ মিনিটে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলে যাবে। এত দ্রুত সুপারকারের জন্য টায়ার তৈরি করা চারটে খানিক কথা নয়। বুগাটি কোম্পানির টায়ার গুলো পৃথিবীর সবথেকে স্পেশাল টায়ার হয়ে থাকে। বুগাটি কোম্পানি দুই ধরনের টায়ার তৈরি করে থাকে। একটি হচ্ছে রেসিং ট্র্যাক এর জন্য আরেকটা হচ্ছে নরমাল ট্রাকের জন্য। পরবর্তীতে বুগাটি কোম্পানি কম্বাইন ট্রেড তৈরি করে। এটি এমন একটি টায়ার যে টায়ার দিয়ে রেসিং ট্র্যাক চালানো যাবে এবং নরমাল ট্রাকেও চালানো যাবে। বুগাটি কোম্পানি এ টায়ার গুলো হাতেই তৈরি করে থাকে। সব থেকে অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে, এক একটি বুগাটি টায়ারের মূল্য ১৭ লক্ষ টাকা। আপনি যদি বোকাটি গাড়ি সর্বোচ্চ গতিতে চালান তাহলে এই টায়ার কেবলমাত্র ১৫ মিনিট এই তাপ সহ্য করতে পারবে। বুগাটি কোম্পানি দাবি করেছে যদি তারা এর থেকেও শক্ত টায়ার তৈরি করতে পারে তাহলে বুগাটি গাড়িগুলোর স্পিড আরো অনেক বেশি হবে।
বুগাটি গাড়ির যন্ত্রপাতি
বুগাটি কোম্পানির প্রত্যেকটি পার্টস আলাদা আলাদা দেশে তৈরি করা হয় এবং বুগাটি কোম্পানির প্রত্যেকটি পার্টস যখন তৈরি হয়ে যায় তখন এই পার্টসগুলোকে পাঠানো হয় বুগাটি কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে। বুগাটির এই ফ্যাক্টরিতে সকল পার্টস ক্যাসেম্বেল করা হয়। বোকাটি কোম্পানিতে যত নাট ব্যবহার করা হয় সেই সকল না টাইটেনিয়ামের হয়ে থাকে। বুকাটি কোম্পানির সকল পার্টসকে অ্যাসেম্বল করতে মোটামুটি অনেকদিন সময় লাগে এবং যখন একটি বুগাটি গাড়ি তৈরি হয়ে যায় তখন সেই গাড়িকে ৭ সপ্তাহ ধরে টেস্ট করা হয়। প্রত্যেকটি বুগাটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর প্রত্যেকটি বোগাটিকে ৪৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো হয়ে থাকে। এতে দেখা হয় বোকাটি কোম্পানির প্রত্যেকটি পার্টস ভালো মতো কাজ করছে কিনা। কিছু কিছু গাড়িকে টেস্ট করানোর জন্য ফ্রান্স থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে একটি বোগাটের মূল্য ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা হয়ে থাকে সেখানে গাড়িতে কোনো খুত থাকবে এটি তো ভাবাই যায় না। গাড়ি গুলো যখন কাস্টমারকে হ্যান্ড ওভার করা হয় তখন দুইদিন ধরে এই গাড়িকে পলিশ করা হয়। মানে গাড়িগুলো তৈরি হওয়ার পরে গাড়িগুলোকে অনেক টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। যার কারণে গাড়িগুলোতে অনেক ধুলাবালি জমে।
বুগাটি গাড়ির দাম
পৃথিবীতে যারা সুপার ধনী তারাই কেবল বুগাটি গাড়িগুলো কিনতে পারে। যাদের কাছে প্রাইভেট জেট এবং প্লেন রয়েছে তাদের কাছে শোভা পায় এই বুগাটি কোম্পানির গাড়িগুলো। সব থেকে অবাক করা বিষয়টি হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কেবলমাত্র ৩০০ টি বগাটি বিক্রি হয়েছে। যেখানে ফেরারি কোম্পানি প্রতি বছর বিক্রি করে থাকে ৪৮০০ টি ফেরারি। বোগাটি গাড়িগুলো এমন গাড়ি হয়ে থাকে যে গাড়িগুলো আপনার সব চাহিদা মিটে থাকবে। কারণ এই গাড়িগুলোতে পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় এবং গাড়িগুলোর স্পিড অন্যসব গাড়ি থেকে অনেক বেশি। তা ছাড়া গাড়ি ডিজাইনের কথা বললে বুগাটি গাড়ি গুলো রাস্তায় যখন চলে তখন মানুষ দেখে হা হয়ে যায়। বুগাটি কোম্পানির প্রত্যেকটি পার্টস এক্সট্রা অর্ডিনারি হয়ে থাকে। বুগাটি কম্পানির সব থেকে দামি মডেলটি হচ্ছে বুগাটি লা ভয়চার নইরি এবং অনেকের দাবি করছে যে এই গাড়িটি রোনালদোর কাছে রয়েছে। একটি বুগাটিলা ভয়চার নয়ের মূল্য প্রায় ১৬২ কোটি টাকা। বুগাটি কোম্পানি দাবি করে থাকে যে তারা বোগাটি কোম্পানির গাড়ি গুলো বিক্রি করে কখনো লাভ করতে পারে না। তারা একটি বোগাটি যদি ২০ কোটি টাকার বিক্রি করে তাহলে তাদের ১০ কোটি টাকা লস হয়ে থাকে। তো যাই হোক আপনারা কারা কারা বুগাটি কোম্পানির গাড়িগুলোকে পছন্দ করেন এবং আপনার ফেভারিট কার ব্র্যান্ড কোনটি কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩