অনলাইন ডেস্ক
অবতরণের আগেই বিধ্বস্ত হলো রাশিয়ার চন্দ্রাযন লুনার
পুরোনো ছবি
সম্প্রতি বেশ বড়সর করেই শোনা যাচ্ছিলো চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করচেহে রাশিয়ার সর্বশেষ প্রেরণ করা চন্দ্রযান লুনা ২৫। প্রায় অর্ধশত বছর পর চাঁদে পাঠানো লুনারকে নিয়ে রুশ সরকারের প্রত্যাশাও ছিল বড়। কিন্তু সেই প্রত্যাশাই হতাশায় পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কক্ষপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে চন্দ্রযান লুনা ২৫। এতে যুদ্ধবিগ্রহের মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত মস্কো মহাকাশ খাতেও ক্ষতির শিকার হলো এমন মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস রোববার (২০ আগস্ট) চন্দ্রযান লুবার ২৫ বিধ্বংস হবার কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রায় দেড় বছর পর চন্দ্রাযন লুনার বিধ্বস্তের খবরটি প্রকাশ্যে এলো যখন মস্কো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে অস্থিতিশীলতার মাঝে আছে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারনে দেশটির ওপর অনেক ধরনের শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির মহাকাশ ইন্ড্রাস্ট্রিও।
এটি ছিল প্রথম মহাকাশ যান যেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু এই মহাকাশ যানটি অবতরণের পূর্বে কক্ষপথে অগ্রসর হবার পরে সমস্যা দেখা দেয়। চন্দ্রযানটির চাঁদের এমন একটি অংশে অভিযান চালানোর কথা ছিল যেখানে জমাট বাঁধা পানি ও মূল্যবান বস্তু থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।
রসকসমস শনিবার সকালে জানিয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ১১:৫৭ মিনিটে লুনা-২৫ চন্দ্রযানের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রসকসমস-এর বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণে মনে হচ্ছে, ৮০০ কেজি ওজনের চন্দ্রযানটি চাঁদের উপরিভাগের সাথে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়। চন্দ্রযানটির সোমবার চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কথা ছিল। এর বিধ্বস্তের কারণ জানতে বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে বলে রসকসমস জানিয়েছে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের জন্য রাশিয়ার লুনা-২৫ প্রতিযোগিতা করছে ভারতের চন্দ্রায়ন-৩ এর সাথে। ভারতের চন্দ্রযান আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা রয়েছে। এর আগে রসকসমস স্বীকার করেছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটি ব্যর্থ হতে পারে। গত ১১ আগষ্ট এই চন্দ্র্রযানটি পাঠানো হয় এবং গত বুধবার সফলভাবে এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে।
রুশ মহাকাশ কর্মসূচির প্রাক্তন গবেষক বর্তমানে নির্বাসিত জীবন যাপন করা ভ্যালেরি ইয়েগোরভ বলেছেন, রসকসমসের ভবিষ্যত মিশনের ওপর এই বিধ্বস্তের ঘটনা মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
তিনি মনে করেন ইলেকট্রনিক সমস্যার কারনে চন্দ্রযানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এটি মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফল।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই ব্যর্থতা রাশিয়ার মহাকাশ শক্তির পতনকেই তুলে ধরেছে, যারা স্নায়ুযুদ্ধের সময় মহাকাশ অভিযানে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৫৭ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে স্পুটনিক-১ নামে প্রথম মহাকাশযান পাঠিয়েছিল রাশিয়া এবং সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন প্রথম মানুষ যিনি ১৯৬১ সালে মহাকাশে ভ্রমণ করেছিলেন।
আই নিউজ/এইচএ
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩