ইমরান আল মামুন
Iphone 15 Plus রিভিউ
Iphone 15 সিরিজের মধ্যে Iphone 15 Plus হচ্ছে সবচাইতে ভ্যালু ফর মানি৷ আইফোন সিরিজের মধ্যে পয়সা উসুল ফোন কিনতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই ফোনের কথা ভাবতে হবে। কেনো এ কথা বলছি? আজকের লিখাটি তে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বিল্ড কোয়ালিটি :
প্রথমেই বলবো এই ফোনের বডির কথা। আইফোনের অন্যন্য মডেল থেকে এই ফোনটি যথেষ্ট হালকা। ওজনের ভারসাম্যও দূর্ধর্ষ রকমের হওয়ায় এটির হাতে নিয়ে আপনি যথেষ্ট প্রিমিয়াম অনুভূতি পাবেন। আরেকটি ভালো লাগার ব্যাপার হচ্ছে যে, এর ব্যাক পার্টে আঙুলের ছাপ পড়ে না। আপনি যত টাকা দিয়েই আইফোন কিনেন না কেনো। সেটা তে আঙুলের ছাপ পড়ে যায়। কিন্তু Iphone 15 Plus এর এই সুবিধা টা যথেষ্ট ভালো লেগেছে আমার। কারণ ব্যাক কভার ছাড়াই আনায়সে এটা ব্যবহার করা যাবে।
টাইপ সি চার্জার:
এই ফোনে চার্জিং এর জন্য রয়েছে টাইপ সি পোর্ট। অ্যাপল চাপে পড়ে করলেও, এটা বেশ ভালো কাজ করেছে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য ভীষণ সুবিধাজনক। কারণ আইফোন ব্যবহার করতে গেলে এমনিতেই আমাদের নানা রকম প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়। সেদিক থেকে এটা বেশ সুবিধাজনক, চার্জারের ঝামেলা টা অনেক কমে যাবে। তাছাড়া এই টাইপ সি এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সরাসরি কানেক্ট করেও ফাইল ট্রান্সফার করা যাবে।
iphone 15 pro এর সাথে তুলনা:
iphone 15 এর সাথে iphone 15 plus এর তুলনা করলে দেখা যায় এদের ডিজাইন প্রায় একইরকম। শুধু iphone 15 plus এ ক্যামেরা একটা কম আছে। তাই বাজেট ফ্রেন্ডলি এই ফোনটি ব্যবহার করে কখনোই আপনার সেটা ফিল হবে না যে তুলনামূলক ভাবে কম টাকার আইফোন ব্যবহার করছেন।
তাছাড়া iphpone 15 প্রোতে যেই হার্ডওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয়েছে, এখানেও প্রায় সেগুলোই ব্যবহার করা হয়েছে। তবে iphone 15 plus এর ব্যাটারী ব্যকআপ অনেক বেশি অন্যান্য মডেলের তুলনায়।
ক্যামেরা কোয়ালিটি:
এবার আসি ক্যামেরায়। iphone 15 plus এর পিছনে ক্যামেরার জন্য দুটি লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। যার একটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা এবং আরেকটি ১২ মেগাপিক্সেলের আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা রয়েছে। তবে অ্যাপলের সেই পুরানো রোগ টা এখানেও আছে। লাইট বা আলোতে ছবি তুলতে গেলে মাঝে মাঝে ছায়া পড়ে। কিন্তু তাছাড়া এর ক্যামেরা দিয়ে দূর্দান্ত রকমের ভালো ছবি তোলা যায়।
আপনারা জানেন আইফোনের ভিডিও অনেক ভালো কোয়ালিটির হয়। কিন্তু এই মডেলে ভিডিও রেকর্ড করে পরবর্তীতে সেগুলো চালাতে গেলে মাঝে মাঝে ভিডিও ফ্রিজ হয়ে যায়। হয়তো এটি কোনো বাগ। আপডেট দিয়ে অ্যাপল এটি ঠিক করে দিতে পারে।
নেটওয়ার্ক:
নেটওয়ার্কের কথা বলতে গেলে, এটির নেটওয়ার্ক স্পিড যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ফাইভ জি মুডে মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক সার্চ করতে থাকে। হয়তো ফাইভ জি পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে এটি সমাধান হয়ে যাবে।
এছাড়াও iphone 15 plus এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্পেসিফিকেশন:
- ডিসপ্লে সাইজ: ৬.৭ ইঞ্চি (সুপার রেটিনা)
- প্রসেসর: অ্যাপল A16 বায়োনিক (৪ ন্যানোমিটার)
- ব্যাটারি ক্যাপাসিটি: ৪৩৮৩mAh
- বডি কোয়ালিটি: অ্যালুমিনিয়াম
- মেইন ক্যামেরা: ৪৮ মেগাপিক্সেল
- সেলফি ক্যামেরা: ১২ মেগাপিক্সেল
- চার্জার: ইউএসবি টাইপ সি
- ওজন: ২০১ গ্রাম
বাজেট
বাংলাদেশের বাজারে iphone 15 plus এর ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম পড়তে পারে ১ লাখ ১০ হাজার বা এর আশেপাশে। অন্যদিকে iphone 15 pro এর দাম ১ লাখ ৫০ হাজার বা এর আশেপাশে। দামের দিক বিবেচনা করলে আইফোনের অন্যন্য মডেলের তুলনায় আমরা বেশ ভালো ফিচার পাচ্ছি এই মডেলটিতে।
অন্যান্য:
তাছাড়া iphone 15 plus এ ব্যাটারি ব্যাকআপও অনেক ভালো, সাথে রয়েছে বড় ডিসপ্লে। iphone 15 plus ফুল চার্জে আপনি একটানা ৯ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন। আর পাবজি খেললে টানা ৭-৮ ঘন্টা ব্যাটারী ব্যাকআপ পাবেন। এর বায়োনিক A16 দূর্দান্ত প্রসেসর থাকায় একটি স্মুথ অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। টানা ৪ বছর বা তার বেশি সময় ব্যবহারের পরেও আপনার মনে হবে না যে আপনার ডিভাইস টি ধীর হয়ে যাচ্ছে।
বাজেট এবং অন্যান্য ফিচার বিবেচনা করলে এই সময়ে iphone 15 plus টি যথেষ্ট ভ্যালু ফর মানি হবে ।
আপনি যদি এই মুহূর্তে iphone 14 বা নিচের সিরিজের কোনো ফোন ব্যবহার করে থাকেন এবং চিন্তাভাবনা করছেন ফোনটিকে আপগ্রেড করবেন তাহলে iphone 15 plus ডিভাইসটি বিবেচনা করতে পারেন ।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩