ইমরান আল মামুন
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
ভারী কিংবা হালকা যানবাহন রাস্তায় চালাতে হলে অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম সংক্রান্তই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে আজকের এই প্রতিবেদনে।
প্রত্যেকটি গাড়ি চালানোর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন। তার মধ্যে একটি বিষয় হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স। যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে ব্যক্তি গাড়ি ড্রাইভ করছে তিনি ওই গাড়িটি চালানোর জন্য অবশ্যই দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। শুধু তাই নয় তিনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ তার একটি অনুমতি পত্র। একজন ড্রাইভারের সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করেই সরকারিভাবে এই সকল লাইসেন্স দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই লাইসেন্স দিয়ে থাকে বিআরটিএ। অর্থাৎ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। প্রথমে এখানে আবেদন করতে হয় তারপর বিভিন্ন পরীক্ষায় অনুষ্ঠিত হয়ে উত্তীর্ণ হতে পারলেই তাদেরকে দেওয়া হয় লাইসেন্স। পূর্বে ম্যানুয়াল ভাবে আবেদন করার প্রয়োজন হতো কিন্তু এখন অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে আবেদন করা সম্ভব হয়। আর কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন এবং কি কি বিষয় প্রয়োজন তা পূর্ণাঙ্গভাবে তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। অর্থাৎ অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার পাশাপাশি আরো অন্যান্য সকল বিষয় জানতে পারবেন এখান থেকে।
আবেদনের যোগ্যতা
একটি গাড়ি চালাতে হলে অবশ্যই একজন প্রার্থীকে সুস্থ সবল ও অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। আজকে কি বিষয় বিবেচনা করে আবেদন করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল।
- বয়স: মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর এবং প্রাইভেট কার বা অন্যান্য যানবাহনের জন্যও একই।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাধারণত কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।
- শারীরিক যোগ্যতা: আপনি শারীরিকভাবে সুস্থ এবং চোখের দৃষ্টি ঠিক থাকতে হবে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার নিয়ম
পূর্ব ম্যানুয়াল ভাবে আবেদন করা যেত এখনো করা যায় কিন্তু অনলাইনে আবেদন করার সবচেয়ে সহজ। কিভাবে ঘরে বসেই এই আবেদন করবেন তা নিচে দেওয়া হল।
- প্রথমে বিআরটিএ (BRTA)-এর অনলাইন পোর্টাল এ যান।
- প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করুন এবং কাগজপত্র আপলোড করুন।
- আবেদনপত্র সাবমিট করলে, একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং প্রিন্টযোগ্য রিসিপ্ট পাবেন।
কাগজপত্র জমা
আপনার জন্য করার সময় কোন কোন কাগজপত্র জমা দিতে হয় এ বিষয়টি অনেকেই জানা থাকে না। যারা আবেদন করবেন অবশ্যই এখান থেকে আগে দেখে দেবেন কোন কোন কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) কপি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- মেডিকেল ফিটনেস সনদ
ড্রাইভিং টেস্ট
- প্রথমে প্রবেশনারি লাইসেন্স (Learner’s License) এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই লাইসেন্স প্রাপ্তির পর একজন নতুন চালক ৬ মাস ধরে শিখতে পারবেন।
- ৬ মাস পর ড্রাইভিং টেস্ট এর মাধ্যমে মূল লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে হবে। এ পরীক্ষা সাধারণত দুই ধাপে হয়: লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা।
মুল লাইসেন্স প্রাপ্তি
- পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আপনি মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন। প্রথমে এটি প্রবেশনারি লাইসেন্স হিসাবে প্রযোজ্য হবে ২ বছরের জন্য।
- দুই বছরের পরিপূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে না, শুধুমাত্র লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার সময় যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আবেদন ফি। আলোচনা ফি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও দিতে পারবেন। ফি জমা না দিলে আবেদন সম্পন্ন হবে না।
- আমেরিকান ডিভি লটারি ২০২৪ বাংলাদেশ
- ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট ২০২৩
- বাংলাদেশে কম দামে ভালো মোবাইল ফোনের দাম
- অনলাইনে কানাডা ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৩
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে লোকেশন বের করার নিয়ম
- অনলাইনে বিধবা ভাতা আবেদন করার নিয়ম ২০২৩
- পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৪
- সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ডেলিভারি চার্জ
- মৌলভীবাজারের যুবকের কৌশল উদ্ভাবন রেললাইন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দৈনিক ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ২০২৩