আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইকুয়েডরের গুয়াকিলে সশস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত
![](https://www.eyenews.news/media/imgAll/2023February/10-people-were-killed-in-an-armed-attack-in-Guayaquil-Ecuador-eyenews-2305011101.jpg)
ইকুয়েডরের রাজধানী গুয়াকিলে এক সশস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ঘটনায় আহত হয়েছেন শিসুসহ আরও তিনজন।
গেল রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইকুয়েডরের বন্দর শহর গুয়াকিলে সশস্ত্র হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে রোববার ইকুয়েডরের পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়া হামলায় ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ জানিয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রসিকিউটর অফিস তার টুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি রাইফেল এবং ৯-মিলিমিটার ক্যালিবার বন্দুক পাওয়া গেছে।
ইকুয়েডরের ন্যাশনাল পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম ভিলারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের সংঘাতে লিপ্ত অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অন্যদিকে দেশটির জাতীয় পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে, আমাদের তদন্ত এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলো দায়ীদের চিহ্নিত করার জন্য অপারেশনাল পদক্ষেপ নিচ্ছে। অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, কারাগারগুলোতে একের পর এক দাঙ্গাসহ ইকুয়েডর ২০২১ সাল থেকে নানা ধরনের সহিংসতায় জর্জরিত। এসব দাঙ্গা-সহিংসতায় শত শত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সরকার অবশ্য এই সহিংসতা ও প্রাণহানির কারণ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত মাদক চক্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষকে দায়ী করে থাকে।
অন্যদিকে ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো। অবশ্য পেশায় সাবেক ব্যাংকার রক্ষণশীল এই নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানির মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে মেক্সিকো হয়ে মাদকের যেসব চালান যুক্তরাষ্ট্র যায়, সেগুলোর প্রধান রুট হিসেবে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইকুয়েডর। বিপুল ঝুঁকি এবং একইসঙ্গে প্রচুর অর্থ থাকার কারণে ইকুয়েডরের বন্দর এলাকাগুলোতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের প্রভাব বাড়ছে। এসব অপরাধী গোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।
রয়টার্স বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় বন্দর নগরী গুয়াকিলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে ইকুয়েডর সরকার গুয়াকিল এবং আশপাশের এলাকায় গত এপ্রিলের শুরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। এরপর থেকে এসব এলাকায় রাত ১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকছে।
এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি সম্প্রতি বেসামরিক নাগরিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য বন্দুক বহন ও ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। একইসঙ্গে অপরাধ বৃদ্ধির জন্য ইকুয়েডরের সরকার মাদক পাচারকারী চক্রকে দায়ী করেছে।
আই নিউজ/এইচএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা মারা গেছেন