বিশ্ব ডেস্ক
পঙ্গপাল না মেরে বিক্রি করে আয় করছেন কৃষকরা!
ফাইল ফটো
তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল ছড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে। যেহেতু করোনাভাইরাসের মাঝে পঙ্গপালের আক্রমণ খাদ্য সংকটের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এ সংকটের মাঝেও নতুন একটি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন পাকিস্তানের কৃষকরা।
সামাটিভি'র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঙ্গপাল শুধু দমন করাই নয়, তা বিক্রি করে আয়েরও বড় উপায় হয়ে উঠেছে পাঞ্জাবের ওকারা জেলায়। ক্ষুদ্র এ পতঙ্গটি ব্যবহার করা হচ্ছে মুরগির উচ্চপ্রোটিন যুক্ত খাবার হিসেবে।
ওকারা জেলায় উদ্ভাবনী এ প্রকল্প এনেছেন পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ খুরশিদ ও পাকিস্তান কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জৈবপ্রযুক্তিবিদ জোহর আলী।
এরপর প্রকল্পের একটি শ্লোগান দেন তারা, ‘পঙ্গপাল ধর, আয় কর এবং ফসল বাঁচাও’। প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের প্রতি কেজি পঙ্গপালের বিনিময়ে ২০ পাকিস্তানি রুপি করে দেয়া হয়।
খুরশিদ ও আলী মিলে পাকিস্তানের জনসংখ্যাবহুল প্রত্যন্ত গ্রাম ওকারা জেলাতে তিনদিনের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রকল্পটি ছিল দেপালপুরে পেপলি পাহার বনে। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পরিপক্ক পঙ্গপাল আসতে থাকে। আর ওই বন নির্বাচন করার কারণ ওখানে পঙ্গপালের ওপর কীটনাশক ব্যবহার করা হয়নি।
এ ধারণার অন্যতম প্রবর্তক পাকিস্তানের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা খুরশিদ বলেন, পঙ্গপাল সাধারণত দিনের আলোতে উড়ে বেড়ায়। রাতে ওরা গাছপালায় বা উন্মুক্ত ময়দানে বিশ্রাম নেয়। তখন একদম নড়াচড়া করে না। মৃতের মতো পড়ে থাকে। ওই সময় পঙ্গপাল ধরা অনেক সহজ। আমরা কৃষকদের সেই বুদ্ধি দিলাম। তাতেই কাজ হলো। কৃষকরা প্রথম রাতেই ৭ টন পঙ্গপাল ধরেছে। আমরা সেগুলো পার্শ্ববর্তী মুরগির খাবার তৈরির কারখানায় বিক্রি করেছি। ওই রাতে কাজ করে কোনো কোনো কৃষক ২০ হাজার রুপিও আয় করে।
এ ব্যাপারে পাকিস্তান কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জৈবপ্রযুক্তিবিদ আলী বলেন, আমরা যখন শুরু করলাম তখন অনেকেই উপহাস করেছে। কারণ পঙ্গপাল ধরে বিক্রি করবে এ চিন্তা তখন পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি। প্রথম রাতে ১০ থেকে ১৫ জন কৃষক কাজ করে। কিন্তু লোভনীয় এ আয়ের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তৃতীয় রাতে কয়েকশ কৃষক জড়ো হয়। তারা নিজেরাই থলে নিয়ে আসে এবং সারারাত পঙ্গপাল ধরে থলে ভর্তি করে ফেলে। আমরাও তাদের বিনিময় দিয়ে দিলাম।
খুরশিদ আরো জানান, ইয়েমেনের ২০১৯ সালের একটি উদাহরণ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষ কবলিত ওই দেশটিতে শ্লোগান উঠেছিলো, পঙ্গপাল খেয়ে ফেল, ওরা ফসল খাওয়ার আগে।
পাকিস্তানে মুরগির খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠান হাই-টেক ফিডসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতাহার বলেন, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া পঙ্গপাল ধরা গেলে এটি অত্যন্ত উচ্চপ্রোটিন যুক্ত খাবারে পরিণত হয়। এ খাবার হাস-মুরগি, মাছ ও গবাদিপশুকে খাওয়ানো যায়।
তিনি আরো জানান, প্রাণীর খাবার তৈরি করতে যে সয়াবিন আমদানি করা হয়, তাতে প্রোটিন ৪৫ শতাংশ, আর পঙ্গপালে আছে ৭০ শতাংশ। এছাড়া পঙ্গপালে খরচও পড়ে অনেক কম।
প্রকল্পের এ সাফল্যে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও সাময়িক স্থগিত রাখতে হয় করোনা মহামারির কারণে। লকডাউন শিথিল হলে প্রকল্পটি আবার শুরু করা হবে। গ্রামে কাজহীন বহুমানুষ আছে, তারা আয়ের জন্য এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন।
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’