Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১০ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়ায় রাশিয়া

আন্তর্জাতিক উত্তেজনার চূড়ায় পৌঁছেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যু। ইউক্রেন সীমান্তে লাখ-লাখ সশস্ত্র সেনা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র বারবার সতর্ক করছে বিশ্বকে, যেকোনও মুহুর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাবে রাশিয়া। সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান ঠেকানো ঘিরে তীব্র উত্তেজনা, রয়েছে যুদ্ধের আশঙ্কাও। এর মাঝেই পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মহড়া করে নিজেদের শক্তির জানান দিলো রাশিয়া।

রয়টার্স ও এএফপির মাধ্যমে জানা যায়, আজ শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে, ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হামলা কররা জন্য অজুহাত সৃষ্টির লক্ষ্যে রুশ সেনা প্রত্যাহারের মতো ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে মস্কো। আমি নিশ্চিত যে, রুশ প্রেসিডেন্ট হামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। 

শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া। পরিকল্পিত মহড়ার অংশ হিসেবে এই কর্মযজ্ঞ।

ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রুশ সেনারা হামলা করতে প্রস্তুত। পশ্চিমা দেশগুলোও স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, রুশ বাহিনী তাদের সাবেক সোভিয়েত প্রতিবেশীর সীমান্তের কাছাকাছি যেতে শুরু করেছে। লিথুয়ানিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি তিনি (পুতিন) সংঘাতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

বৃহস্পতিবার ইউরোপের দেশসমূহের সামরিক জোট অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশনের (ওসসিই) বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এই জোটে নিযুক্ত মার্কিন দূত মাইকেল কার্পেন্টার। তিনিই এ তথ্য দিয়েছেন।

বৈঠকে কার্পেন্টার বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী ইউক্রেন সীমান্তে এখনও অবস্থান করছে ১ লাখ ৯০ হাজার বা তার চেয়ে কিছু বেশিসংখ্যক সেনা। গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ।’

‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপের কোনো অঞ্চলে এত বেশিসংখ্যক সেনা উপস্থিতি ঘটেছে।’

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।

আইনিউজ/এসডি

আইনিউজ ভিডিও 

মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাস চালু

যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের লাগবে না ভিসা

সাজেক: কখন-কীভাবে যাবেন, কী করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়