Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১০ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যাবতীয় করোনাবিধি তুলে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-মৃত্যুতে ঊর্ধ্বগতি থাকলেও যাবতীয় করোনাবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

‘কোভিডের সঙ্গে বসবাস’ নীতির আওতায়ই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাজ্যের সরকার। সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাজ্যই হবে ইউরোপের প্রথম দেশ, যেখানে বাজার, গণপরিহন, কর্মস্থল ও অন্যান্য জনসমাগমপূর্ণ স্থানে বাধাহীন ভাবে যাতায়াত করতে পারবেন।

সোমবার সন্ধ্যা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। তার আগে সকালে এক বিবৃতিতে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জল দিন হিসেবে স্বীকৃত হবে। কারণ, আজই আমরা ঘোষণা করতে যাচ্ছি যে, আমরা দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি কীভাবে কোভিডের সঙ্গে কীভাবে বসবাস করা সম্ভব— তা শিখতে শুরু করেছি।’

আরও পড়ুন- ভারতে বিয়ের অনুষ্ঠানে কুয়ার মধ্যে পড়ে ১৩ জনের মৃত্যু

যুক্তরাজ্যের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার একদিন পরই বিধিনিষেধ তুলে নিতে যাচ্ছে ব্রিটেন। তবে রোববার এক ভাষণে জনসন দেশবাসীকে করোনা বিধিনিষেধ সম্পর্কে পুরোপুরি উদাসীন না হয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যতখানি সতর্কতা মেনে চলা সম্ভব— তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

পাশাপাশি যারা এখনও টিকার ডোজ নেননি, তাদেরকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৮ দিনে যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনায় মৃত্যুর হিসেবে ইউরোপের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে ব্রিটেন।

অবশ্য জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতেও বেশ সফল যুক্তরাজ্য। দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, ৮১ শতাংশ নিয়েছেন টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ।

আরও পড়ুন- অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগে বাপ্পী লাহিড়ীর মৃত্যু, জানুন লক্ষণ

সর্বশেষ পার্লামেন্ট অধিবেশনে বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা বরিস জনসনকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সেই আহ্বানের জবাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, লকডাউন ও দীর্ঘ বিধিনিষেধের কারণে জাতীয় অর্থনীতির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এছাড়া করোনার চিকিৎসাবাবদও প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের বিকল্প নেই।

‘প্রতিমাসে কেবল করোনা টেস্টিং বাবদই সরকারের ব্যায় হচ্ছে ২ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে আমরা হয়তো খুব বেশিদিন এই নিয়ম আর চালু রাখতে পারব না,’— পার্লামেন্টে বলেছিলেন জনসন।

আইনিউজ/এসডিপি

আইনিউজ ভিডিও 

শাবিপ্রবি শিক্ষককে ফেনসিডিল সাপ্লাই দিতে গিয়ে গার্ড আটক!

`প্রাণ দেবো, তবু ভিসির পদত্যাগ চাই` | কাফন মিছিলে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা | Eye News

শিক্ষার্থীরা লড়েছে মৃত্যুর সাথে, অসুস্থদের অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়