সীমান্ত দাস
আপডেট: ২৩:২২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রাশিয়া নাকি ইউক্রেন? সামরিক শক্তিতে কে কোন অবস্থানে?
রাশিয়া বিশ্বে ২য় শক্তিশালী দেশ, ইউক্রেন ২২তম। তবে ইউক্রেন গড়ে তুলেছে কঠিন প্রতিরক্ষা।
সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে যুদ্ধরত দুই দেশ- ইউক্রেন ও রাশিয়া। দুই দেশই সামরিক শক্তিতে বেশ এগিয়ে বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশগুলোর থেকেও। প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশাল সেনাবাহিনী আর কূটনৈতিক ক্ষমতা তাঁদের এই পর্যায়ে নিয়ে গেছে। মহাপরাক্রমশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো ইউক্রেনের রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অস্ত্রসহায়তা। এদিকে রাশিয়ার কারো সমর্থনের প্রয়োজন নেই, যে কোনও সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়ার পক্ষে বদলে দিতে পারে যুদ্ধের অবস্থা। এবার প্রশ্ন উঠছে, কে টিকে থাকবে? যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কার সামরিক শক্তি কতোটুকু? অন্যান্য দেশের থেকে এই দুই দেশ কতোটা শক্তিশালী?
সামরিক শক্তির বিচারে পুরো বিশ্বের ১৪০ দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। এর আগের স্থানে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাশিয়ার এই দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। অনেকেই মনে করেন সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ রাশিয়া। অবশ্য নিজেদের দেশে কয়েকদিন পরপরই পারমাণবিক অস্ত্র, বিমান নিয়ে মহড়া দিয়ে শক্তি জানান দিলেও যুদ্ধময়দানে সামনাসামনি হয়নি এই দুই মহাশক্তিশালী দেশ। তাই রাশিয়াকেই সামরিক শক্তিতে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে।
সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৪০টি দেশের মধ্যে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয় হলেও, ইউক্রেনের অবস্থান সেখানে ২২তম। তবে ২২ তম হলেও দেশটির সামরিক শক্তি নিতান্ত কম না। অনেক বড় বড় দেশের বিপক্ষে দাঁড়ালে ইউক্রেনও তাঁদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে রয়েছে ছোটখাট এক দিনের যুদ্ধ (ব্যাটল) লড়ার অভিজ্ঞতা। এছাড়া অকুতোভয় দেশপ্রেমিক এসব সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের দেশপ্রেমের পরীক্ষা বারবার দিয়ে আসছে। আর এমন হবেই না কেনো, ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার বর্তমান যুদ্ধেও সেনাবাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধময়দানে নেমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী
ইউক্রেনের হাতে আছে দুই লাখ যুদ্ধরত সেনা। যারা সরাসরি লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে। রাশিয়ার হাতে আছে আট লাখ ৫০ হাজার যুদ্ধরত সেনা। যারা যে কোনো সময় লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এদেরই একটি অংশ এখন লড়াইয়ের ময়দানে আছে। তবে উভয় দেশের রিজার্ভ সৈনিক রয়েছে আরো আড়াই লাখ।
ইউক্রেনের স্থলভাগের সৈন্যবাহিনীর প্রবেশের পর বিভিন্ন ছোটখাটো নৌবন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিকে নিজেদের অধীনে নিয়ে নিয়েছে রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী। ইউক্রেনের নিজস্ব সামরিক বাহিনীকে স্তব্ধ করে দিয়ে সেই নৌবন্দর এবং বিমানবন্দরগুলিকে রাশিয়া নিজেদের ব্যবহারের জন্য শক্তি প্রয়োগ করছে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের সিংহভাগ এলাকা দখল নিয়েছে রাশিয়ার সৈন্যবাহিনী।
কিছুদিন আগে বিশ্বের ১৪০টি দেশের সামরিক সক্ষমতা বিচারে গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স-২০২২ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি বছরের এই সূচকে বরাবরের মতো বিশ্বে সামরিক সক্ষমতায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া, চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, পাকিস্তান ও ব্রাজিল। এ তালিকায় রাশিয়ার থেকে বেশ পিছিয়ে ইউক্রেন, ২২তম স্থানে রয়েছে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দেশ।
রাশিয়া সামরিক খাতে প্রতি বছর ব্যয় করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার, সেখানে ইউক্রেন তার ১৫ ভাগের প্রায় এক ভাগ খরচ করে- এক হাজার ১৮৭ কোটি ডলার।
স্থলপথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার শক্তি
রাশিয়ার ট্যাংক রয়েছে ১২ হাজার ৪২০টি, ইউক্রেনের ২,৫৯৬টি। আমর্ড ভেহিকেল রাশিয়ার ৩০,১২২টি, ইউক্রেনের ১২,৩০৩টি। স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি রাশিয়ার আছে ৬,৫৭৪টি, ইউক্রেনের আছে ১,০৬৭টি।
রাশিয়ার মোবাইল রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৩,৩৯১টি, ইউক্রেনের আছে ৪৯০টি। রাশিয়ার নৌ সামরিক যান ৬০৫টি থাকলেও ইউক্রেনের রয়েছে ৩৮টি।
স্থলবাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতেও পিছিয়ে রয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কাছে প্রায় ১২ হাজার ৪২০ টি বিশেষ প্রযুক্তির যুদ্ধের ট্যাঙ্ক এবং ত্রিশ হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত ক্ষমতা সম্পন্ন সামরিক যান রয়েছে। রাশিয়ান ট্যাংকগুলো বিশ্বের সব সেনাবাহিনীর মধ্যেই আদর্শ মানা হয়। বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ান ট্যাংক নিজেদের সক্ষমতা জানান দিয়েছে। রাশিয়ার রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাংক, সবচেয়ে বিধ্বংসী ট্যাংক। এদের মধ্যে T-14 এর নাম আলাদাকরে বলা যায়, যেটা যুদ্ধময়দানে বিপক্ষদলের মৃত্যুর দূত।
তবে, এক্ষেত্রেও ট্যাংক না থাকলেও প্রতিরক্ষা গড়তে পারে ইউক্রেন। ইউক্রেনের কাছে আছে সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইলগুলোর মধ্যে অন্যতম FGM-148 Javelin। এটি পোর্টেবল গাইডেড মিসাইল, যা গাইড করা ট্যাংকে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি শক্তিশালী রাশিয়ান ট্যাংকগুলোর কাছে ভয়ের অন্যতম কারণ।
ইউক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নেওয়া অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল দিয়ে নিজেদের সশস্ত্র করছে। নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র এবং পর্যাপ্ত সামরিক বাহিনী না থাকায় ইউক্রেনকে নির্ভর করতে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। ডিসেম্বর মাস থেকে ইউক্রেনকে শতাধিক জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে পশ্চিমের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনের হাতে সাজোয়া গাড়ি বা আর্মার্ড ভেহিক্যালের সংখ্যা ১২ হাজার ৩০৩। রাশিয়ার হাতে এই ধরনের গাড়ির সংখ্যা ৩০ হাজার ১২২। বস্তুত, সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ এই গাড়িগুলিতে করেই সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছায়। এর সাহায্যে প্রতিপক্ষের উপর আঘাতও হানা যায়।
রাশিয়ার স্বয়ংক্রিয় কামান ৬ হাজার ৫৭৪টি, ইউক্রেনের ১ হাজার ৬৭টি। রাশিয়ার মোবাইল রকেট প্রজেক্টর ৩ হাজার ৩৯১টি, ইউক্রেনের আছে ৪৯০টি।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে প্রকাশিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তার জন্য ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার মধ্যে ডিসেম্বরে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ রয়েছে। জ্যাভলিন এবং অন্যান্য অ্যান্টি-আরমার সিস্টেম, গ্রেনেড লঞ্চার, প্রচুর পরিমাণে কামান রয়েছে ঘোষণা করা ওই প্যাকেজের মধ্যে। ওই প্যাকেজে অত্যাধুনিক মর্টার এবং ছোট অস্ত্র সহ গোলাবারুদেরও উল্লেখ করা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদনে।
নৌপথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার শক্তি
সামরিক নৌযানের দিক থেকে ইউক্রেনের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার নৌবাহিনীর সামরিক যান ৬০৫টি থাকলেও ইউক্রেনের রয়েছে মাত্র ৩৮টি। রাশিয়ার একটি বিমানবাহী রণতরি থাকলেও ইউক্রেনের নেই। এ ছাড়া রাশিয়ার ৭০টি সাবমেরিন থাকলেও ইউক্রেনের কাছে কোনো সাবমেরিন নেই।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার নৌবাহিনীর এই মুহূর্তে সরাসরি সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। যদিও নৌবাহিনীকেও সমান ভাবে প্রস্তুত করছে রাশিয়া। রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলোর অনেকগুলো কৃষ্ণসাগরে স্ট্যান্ডবাই হয়ে অপেক্ষায় আছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন নির্দেশ দিলে তাঁরাও ইউক্রেনে মিসাইল ছুঁড়বে।
ইউক্রেনের ডেস্ট্রয়ার নেই, রাশিয়ার আছে ১৫টি। ইউক্রেনের একটি ফ্রিগেট থাকলেও রাশিয়ার রয়েছে ১১টি। মাইন ওয়ারফেয়ার নৌযান ইউক্রেনের ১টি আর রাশিয়ার রয়েছে ৪৯টি। রাশিয়ার করভেট রয়েছে ৮৬টি, যেখানে ইউক্রেনের মাত্র ১টি। রাশিয়ার টহলদারি নৌযান রয়েছে ৫৯টি আর ইউক্রেনের রয়েছে ১৩টি।
রাশিয়ার করভেট রয়েছে ৮৬টি, যেখানে ইউক্রেনের আছে মাত্র একটি। পেট্রোল ভেসেল রাশিয়ার রয়েছে ৫৯টি, ইউক্রেনের রয়েছে ১৩টি।
আকাশপথে ইউক্রেন ও রাশিয়ার শক্তি
ইউক্রেনের হাতে ফাইটার জেট বা যুদ্ধবিমান আছে ৬৯টি। রাশিয়ার কাছে সেখানে ফাইটারের সংখ্যা ৭৭২। রাশিয়ার মোট হেলিকপ্টার রয়েছে ১,৫৪৩টি। অন্যদিকে ইউক্রেনের হেলিকপ্টার রয়েছে ১১২টি। এছাড়াও ইউক্রেনের পরিবহন বিমান মাত্র ৩২টি হলেও রাশিয়ার রয়েছে ৪৪৫টি।
যুদ্ধ করার মতো হেলিকপ্টার অর্থাৎ অ্যাটাক হেলিকপ্টার ইউক্রেনের কাছে আছে মাত্র ৩৪টি। রাশিয়ার কাছে সেখানে এই হেলিকপ্টারের সংখ্যা ৫৪৪। ইউক্রেন হামলার প্রথম দিন রাশিয়া এই হেলিকপ্টার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেছে। হেলিকপ্টারের সাহায্যে বোমা ফেলা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানগুলো অত্যাধুনিক, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। এর মধ্যে অনেকগুলোই আনমেনড ফাইটার, অর্থাৎ কোনও পাইলট ছাড়াই আঘাত হানে প্রতিপক্ষদলে। রাশিয়ার বিমানবাহিনীতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং মারাত্মক ধ্বংসাত্মক ফাইটার বিমান Sukhoi Su-24। এ যুদ্ধবিমানটি খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মনেও ভীতি ধরিয়ে দেয়। এগুলো আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। এছাড়া Sukhoi Su-25, Sukhoi Su-27, Mikoyan Mig-29 সারাবিশ্বে জনপ্রিয় যুদ্ধবিমান, যেগুলো রাশিয়া তৈরি করে এবং যুদ্ধে ব্যবহার করে।
রাশিয়ার বিশ্ববিখ্যাত Sukhoi Su-24 যুদ্ধবিমান
এদিকে এগুলোর জবাবে ব্যবহার হতে পারে ইউক্রেনের ব্যালিস্টিক মিসাইলগুলো। যেগুলো পাকিস্তান কিংবা ভারতীয় যুদ্ধবিমানকেও জবাব দিতে সক্ষম। এছাড়া ইউক্রেনের রয়েছে Bayraktar TB2 নামক কমব্যাট ড্রোন। টার্কিশ এই ড্রোন মিডিয়াম উচ্চতায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে, এগুলো রিমোটলি কন্ট্রোলড করা হয়। ইউক্রেনের কাছে এই কমব্যাট ড্রোন রয়েছে ১২ টি।
রাশিয়ান প্লেনের জবাব দিতে ইউক্রেনের রয়েছে আরও একটি ভয়ঙ্কর অস্ত্র। এর নাম Vilkha M, এটি মাল্টিপল লঞ্চিং রকেট সিস্টেম। নাগালে পেলে এটি মারাত্মক গতিতে রাশিয়ান প্লেন বা ট্যাংকের জবাব দিতে পারে।
পরমাণু শক্তি
পারমাণবিক শক্তিতে রাশিয়াকে পাল্লা দিতে পারে এমন কোনও দেশ পৃথিবীতে নেই। মহাশক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্র, চীন কিংবা উত্তর কোরিয়া, ফ্রান্স কিংবা চীনের মতো দেশ রাশিয়াকে সমীহ করতে বাধ্য হয় এই শক্তির কারণেই। রাশিয়া যুগ যুগ ধরে নিজেদের এই পরমাণু শক্তির কথা জানান দিয়ে আসছে, বারবার নিজেদের ক্ষেপনাস্ত্রগুলো পরীক্ষা করে সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ইউক্রেনে আক্রমণের কিছুদিন আগেই রাশিয়া পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা করেছিলো। বিস্তারিত- https://www.eyenews.news/international/news/45177
বিশ্বে মাত্র দুইবার ব্যবহার হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকেও জাপান যখন আত্মসমর্পন করছে না, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে দুইটি পারমাণবিক বোমা ফেলে। এদের নাম ছিলো হিরোশিমা ও নাগাসাকি। মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই বোমার কারণে আজ এতো বছর পরেও ঐ দুই শহরের মানুষ ভোগ করছে এর তেজস্ক্রিয়তা।
সেখানে রাশিয়ার পরমাণু শক্তি কেমন জানেন? রাশিয়ার কাছে রয়েছে ৬ হাজার ২৫৫টি পারমাণবিক অস্ত্র। আর এদের মধ্যে সবগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত লিটল বয় বা ফ্যাটম্যানের মতো নয়, এর থেকেও বহুগুণ বিধ্বংসী।
তেজস্ক্রীয় পরমাণু এঁকে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে একধরণের ফিশন করে, যা থেকে নিউক্লিয়ার ফিশন উৎপন্ন হয়। এই ফিশনে প্রচুর পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, এর শক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক বোমাগুলো। রাশিয়া বিশ্বে প্রথম দেশ, যারা এই অস্ত্রের মধ্যেও ভিন্নতা বা ভেরিয়েশন দেখিয়েছে। রাশিয়ার কাছে রয়েছে ভয়ানক হাইড্রোজেন বোমা, যা কয়েকশগুণ বেশি ধ্বংসের সৃষ্টি করে অন্য দেশের কাছে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রগুলোর চেয়ে, আর তাও মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই।
রাশিয়ার কাছে পারমাণবিক শক্তিতে ইউক্রেন কেন, বিশ্বের যে কোনও দেশই অসহায়। আর ইউক্রেনের পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বলার কিছুই নেই, ইউক্রেনের কাছে একটিও পারমাণবিক অস্ত্র নেই।
অন্যান্য সরঞ্জাম
রাশিয়ার যেখানে ১ হাজার ২১৮টি বিমানবন্দর রয়েছে, ইউক্রেনের আছে মাত্র ১৮৭টি। রাশিয়ার ২ হাজার ৮৭৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ থাকলেও ইউক্রেনের রয়েছে ৪০৯টি। বিশ্বে স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ আটটি। এর মধ্যে রাশিয়া একটি। রাশিয়ার কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকলেও ইউক্রেনের কোনো পারমাণবিক অস্ত্রই নেই।
রাশিয়ার এস-৪০০ নামের অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে, যা আকাশ প্রতিরক্ষায় খুবই কার্যকর, তবে ইউক্রেনের এ রকম কোনো ব্যবস্থা নেই।
আইনিউজ/এসডি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’