Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০১, ২ মার্চ ২০২২
আপডেট: ১৫:০২, ২ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনের নগরাঞ্চল-আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা

ইউক্রেনে অভিযানের শুরুর দিকে কেবল সামরিক স্থাপনাসমূহে হামলা চালালেও মঙ্গলবার থেকে কৌশলে কিছু পরিবর্তন এনেছে রুশ বাহিনী। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি ইউক্রেনের নগরাঞ্চল ও বেসামরিক এলাকাগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা।

বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার রাজধানী কিয়েভের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয় উড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভসহ দেশটির প্রায় সব নগরে বোমাবর্ষণ করছে তারা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। অভিযানের শুরু থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোই ছিল রুশ বাহিনীর প্রধান লক্ষ্যবস্তু। নগরাঞ্চল, বেসামরিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে হামলা করা থেকে বিরত ছিল রুশ সেনারা।

তবে মঙ্গলবার থেকে এই কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আরও পড়ুন- ‘লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে অভিযান চলবে’

তবে কোনো বেসামরিক এলাকায় হামলার আগে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে রুশ সেনারা মাইকিং করছে বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষ্যদর্শী।

ইতোমধ্যে রাজধানী কিয়েভের সীমানায় অবস্থান নিয়েছে প্রায় ৪০ মাইল দীর্ঘ রুশ সেনাবহর; তবে এখনও রাজধানীর ভেতরে প্রবেশ করেনি।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হয়, ‘রুশ বাহিনী কিয়েভের সীমানায় পৌঁছে গেছে এবং শিগগিরই সেখানকার সামরিক স্থাপনা ও কমিউনিকেশন্স ভবনগুলোতে আঘাত হানা শুরু হবে। রাজধানীবাসীকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।’

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন এবং এই ব্যাপারটিকে ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।

আরও পড়ুন- খারকিভে রাশিয়ার বোমাবর্ষণ যুদ্ধাপরাধ : জেলেনস্কি

এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আইনিউজ/এসডিপি 

আইনিউজ ভিডিও 

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)

পোষ মানাতে হাতির বাচ্চাকে নির্মম প্রশিক্ষণ 

হাতির আক্রমণে হাতি হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়