ইউক্রেনকে সমর্থন জানানোর জন্য ব্রিটেনের প্রতি সরাসরি আক্রমণ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচারিত হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, কিয়েভের সরকার কিংবা ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে ব্রিটিশ সহযোগিতার কথাটি রাশিয়া ভুলে যাবেনা।

“নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে উন্মাদনা তাতে লন্ডনের সরকার মূল ভূমিকা না হলেও নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে,” তিনি বলেন, “এর বিরুদ্ধে সমান ও কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।“

• আরও পড়ুন- পুতিনকে মেরে ফেলার পরামর্শ দিলেন মার্কিন সিনেটর

এর ফল হিসেবে রাশিয়ায় ব্রিটিশ স্বার্থ ‘ক্ষুণ্ণ হবে’ বলে রুশ মুখপাত্র উল্লেখ করেন।

রাশিয়ার সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে বেসামরিক মানুষের প্রতি যে হুমকি সেটা রাশিয়ার সৈন্যদের কাছ থেকে নয়, ইউক্রেনিয়ান জাতীয়তাবাদীদের কাছ থেকে।

এই আগ্রাসনের পর ব্রিটিশ সরকার ইউক্রেনে অস্ত্র এবং অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছে।

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ার করেছেন এই বলে যে ইউক্রেনের আকাশ সীমায় কোন দেশ বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করলে তা হবে এই যুদ্ধে যোগদানের সামিল।

রুশ টিভিতে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

“কোন দেশ এই লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিলে সেটা এই সশস্ত্র সংঘাতে যোগদান বলে বিবেচনা করা হবে,” তিনি বলেন।

• আরও পড়ুন- ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযান : তদন্ত শুরুর ঘোষণা জাতিসংঘের

সামরিক দিক থেকে এই নো-ফ্লাই জোন হচ্ছে এমন এলাকা যেখানে হামলা চালানো বা পর্যবেক্ষণের জন্য বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয় সামরিক পন্থায় – এই আদেশ লঙ্ঘনকারী বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হয়।

ইউক্রেনের আকাশ সীমায় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করতে নেটোর আপত্তির চরম সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি। তিনি এর জন্য ন্যাটোর দুর্বলতা’ এবং ‘অনৈক্য’কে দায়ী করেছেন।

ন্যাটো বলছে, এটা করা হলে আরও বেশি সংখ্যক দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

আইনিউজ/এমজিএম

আইনিউজ ভিডিও 

হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়ায় হানিফ সংকেতের ইত্যাদি

‘ইত্যাদি’ হয়েছে সোনারগাঁয়েও

কৃষক ও ফিঙে পাখির বন্ধুত্ব (ভিডিও)