আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থী মেরি লে পেনকে হারিয়ে ২০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন ম্যাক্রোঁ।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট, অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লে পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।
আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে চ্যাম্প ডি মার্স পার্কে একটি বিশাল স্ক্রিনে ফলাফল ভেসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে ম্যাক্রোঁ সমর্থকদের মধ্যে। তারা ফরাসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। ম্যাক্রোঁ-সমর্থকরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে স্লোগানও তোলেন।
অন্যদিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি বিস্তীর্ণ হলে জমায়েত করা লে পেনের সমর্থকদের মধ্যে হতাশার ছবি ধরা পড়ে। লে পেন পরাজয় স্বীকার করে নেন। কিন্তু জুনে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন- নিউমার্কেটে নাহিদকে হত্যায় সরাসরি জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী
আবারও প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ায় এবার ঐক্যের ডাক দিলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সবার জন্য।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর আগে ১০ এপ্রিল, অনুষ্ঠিত ভোটের প্রথম পর্বে ক্ষমতাসীন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জয় পান।
২০০২ সালের পর থেকে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরপর দুবার নির্বাচিত হননি। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ১৯৬৫ সালে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফ্রান্সে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শার্ল দ্য গল। এবার একই তালিকায় নাম লেখালেন ম্যাক্রোঁ।
নির্বাচনী প্রচারণায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, জ্বালানি খাতে খরচ নাগালের ভেতরে রাখার জন্য তার সরকার ইতোমধ্যে কোটি কোটি ইউরো খরচ করেছে। এছাড়া তিনি চাকরিদাতাদের প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের কর্মীদের ৬০০০ ইউরো পর্যন্ত বোনাস হিসেবে দেওয়ার জন্য। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে চান এবং টিভি লাইসেন্স ফি বাতিল করতেও প্রস্তুত।
আরও পড়ুন- ঈদ উপলক্ষে ২০০ বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা হুথিদের
এ ছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কথা বলেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি এটাও দাবি করেন যে, তার সময়ে অপরাধ কমেছে দেশটিতে। ফ্রান্সে কয়েক বছর ধরে হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। ফলে ভোটারদের কাছে নিরাপত্তা ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রান্সে কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ার পর এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ধর্মীয় ইস্যুতে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে সবার মন জয় করে অবশেষে আবারও ক্ষমতায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
আইনিউজ/এসডিপি
আইনিউজ ভিডিও
বৃদ্ধ বয়সে নামাজ পড়তাম, ঘরে বসে খাইতাম, কে খাওয়াবে!
বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে অন্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষিপ্রগতি দেখে সবাই মুগ্ধ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’