আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড
অং সান সু চি
সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। দুর্নীতির দায়ে দেশটির আদালত বুধবার (২৭ এপ্রিল) সু চির বিরুদ্ধে এই দণ্ড ঘোষণা করেছেন।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি মামলা বিচারাধীন। এবারই প্রথম তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় হলো।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজনের বেশি মামলা দায়ের করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী দেশটির জান্তা সরকার। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে ১৮ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সবগুলো মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে সবমিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বরাবরই মিথ্যা বলে দাবি করে এসেছেন।
রয়টার্স বলছে, বুধবার রাজধানী নেইপিদোর আদালতে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিচারক রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।
বার্তাসংস্থাটির দাবি, নামপ্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্রটি রয়টার্সকে এই তথ্য দিয়েছে। কারণ বন্ধ দরজার পেছনে এই বিচার কার্যক্রম চলছে এবং সঙ্গত কারণেই সেখান থেকে তথ্য প্রকাশের বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এদিকে, কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপরই সাজা কার্যকর করতে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে এখন কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কি-না সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০২১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গ্রেপ্তারের পর থেকে সু চিকে একটি অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঈদ উপলক্ষে ২০০ বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা হুথিদের
অবশ্য সু চির রায়ের বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কোনো মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এর আগে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার দায়ে গত ৬ ডিসেম্বর সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। সরকারের শীর্ষ পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ১১ মাসের মাথায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম কোনো রায় ছিল সেটি।
তবে সু চির বিরুদ্ধে এই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেসময় আদালত সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে দুই বছর কমিয়ে দেয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার।
পরে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এতে সু চির কারাদণ্ড দাঁড়িয়েছিল ছয় বছরে।
আইনিউজ/এসডিপি
আইনিউজ ভিডিও
বৃদ্ধ বয়সে নামাজ পড়তাম, ঘরে বসে খাইতাম, কে খাওয়াবে!
বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দৌড়ে অন্ধ শিক্ষার্থীদের ক্ষিপ্রগতি দেখে সবাই মুগ্ধ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’