ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
আপডেট: ১৮:০৫, ১৫ মে ২০২২
নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে বন্দুকধারীর হামলায় দশ জন নিহত
আমেরিকার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহরে একজন বন্দুকধারীর হামলায় দশ জন নিহত হবার পর পুলিশ তদন্ত করছে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বর্ণবাদী আচরণ কাজ করেছে কি না।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটিয়েছে সন্দেহে আঠারো বছর বয়সী একজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার বিকেলে এই সন্দেহভাজন বাফেলো শহরের একটি ব্যস্ত সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ে গুলি চালাতে শুরু করে।
পুলিশ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য সে একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করছিল।
"এটি হেইট ক্রাইম এবং বর্ণবাদে উদ্বুদ্ধ সহিংস চরমপন্থা কি না - দুটো দিকই তদন্ত করে দেখছি আমরা", একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন এফবিআইয়ের বাফেলো কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্ট স্টিফেন বেলঙ্গিয়া।
ওই সন্দেহভাজন কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত বাফেলো শহরে আসে। মোট তের জন ব্যক্তিকে সে গুলি করে। এর অধিকাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ, বলেন বাফেলো পুলিশের কমিশনার জোসেফ গ্রামাগ্লিয়া। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির আর প্রাণনাশের ঝুঁকি নেই। এরা সবাই সুপারমার্কেটটির কর্মী ছিলেন।
ওই সুপারমার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি সন্দেহভাজনকে গুলি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিহত হন তিনি।
পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন একটি উচ্চ ক্ষমতার রাইফেল বহন করছিল। তার গায়ে ছিল বডি আর্মার, মাথায় ছিল হেলমেট।
আটক হওয়ার আগে পুলিশের সাথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় সন্দেহভাজন, যা টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সে আত্মসমর্পণ করে। যুক্তরাষ্ট্র সময় শনিবারের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে তাকে আদালতে হাজির করার কথা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে একজন স্থানীয় পুলিশের সূত্র বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি হামলা চালানোর সময় উচ্চস্বরে বর্ণবাদী গালিগালাজ করছিল।
"এটা যে কোন সম্প্রদায়ের জন্য ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের এক সময়। এই ঘৃণাপূর্ণ ব্যক্তিটি আমাদের সম্প্রদায় কিংবা দেশকে বিভক্ত করে দিক, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না", এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন বাফেলোর মেয়র বায়রন ব্রাউন।
হামলার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা করতে গিয়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বাফেলো নিউজকে বলেন, "এটা ছিল একটি হরর সিনেমার সেটের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মত, কিন্তু সবই বাস্তব। এটা ছিল একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মত"।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল এই ঘটনাটিকে "ঘৃণ্য এক সহিংসতা" বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন তিনি বাফেলোতে যাচ্ছেন। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়, "প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি নিহত ও তাদের স্বজনদের জন্য প্রার্থনা করছেন"।
আইনিউজ/এমজিএম
আইনিউজ ভিডিও
মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাস চালু
যেসব দেশে যেতে বাংলাদেশিদের লাগবে না ভিসা
সাজেক: কখন-কীভাবে যাবেন, কী করবেন? জেনে নিন বিস্তারিত
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’