আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনে যুদ্ধ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তেলের বিক্রি বেড়েছে ইরানে
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকার পরেও তেলের বিক্রি বড়েছে ইরানে। ইরানের রাষ্ট্রায়াত্ব সংবাদ সংস্থা আইআরএনএর উদ্বৃতি দিয়ে খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা। ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আইআরএনএ এবং সরকারি সংবাদ পত্র ‘ইরান’ জানিয়েছে, ইরান এখন প্রতিদিন এক মিলিয়ন ব্যারেলের বেশি অপরিশোধিত তেল এবং গ্যাস কনডেনসেট রপ্তানি করছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ মে পর্যন্ত চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৪০ শতাংশ বেশি অপরিশোধিত, তেল ডেরিভেটিভস, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং গ্যাস কনডেনসেট বিক্রি করেছে দেশটি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাইসি প্রশাসন বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালের ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞার সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হয় ইরানের ওপর। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে প্রকৃতপক্ষেই অপরিশোধিত তেল এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি থেকে ফল পাওয়া ইরানের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত পারমাণবিক চুক্তিটি ছিল ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব শক্তির মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যুগান্তকারী চুক্তি। যার লক্ষ্য ছিল নিষেধাজ্ঞা উপশমের বিনিময়ে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
কিন্তু ট্রাম্পের উত্তরসূরি জো বাইডেন পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি এখনো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের মতে, দেশটি এই ক্ষেত্রেও ভাল করেছে। কারণ ইরানী ক্যালেন্ডারে বছরের প্রথম দুই মাসে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য বিক্রি করেছে যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।
যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ইরানর বিক্রি বেড়েছে বলে মানতে নারাজ দেশটির প্রশাসন। তাদের দাবি সরকারের প্রচেষ্টাতেই উল্লেখযোগ্য হারে তেলের বিক্রি বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থ গ্রহণেও সাফেল্য দেখিয়েছে ইরান সরকার।
ডেটা বিশ্লেষণ কোম্পানি কেপিএলআরের তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ার ওপর মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রাশিয়ার ব্যাপক মূল্য ছাড়ের ফলে ক্রেতা ছাড়াই ট্যাঙ্কারে ৪০ মিলিয়ন ব্যারেল ইরানী তেল সংরক্ষণ করা হয়েছে এশিয়ার সমুদ্রে।
তারা আরো জানিয়েছে, এপ্রিলের আগে ইরানের অপরিশোধিত রপ্তানি এক দৈনিক মিলিয়ন ব্যারেলের কম ছিল এবং শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে এপ্রিলে তা হ্রাস পেয়েছে।
কিন্তু ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাজারের পরিবর্তনের কারণে দেশের তেল রপ্তানি প্রভাবিত হতে পারে, তবে তেল রপ্তানি ব্যাপক আকারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আইনিউজ/এসডি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’