বিশ্ব ডেস্ক:
আপডেট: ১২:২৬, ১২ জুন ২০২২
বন্দুক আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকাজুড়ে সমাবেশ
আমেরিকায় বন্দুকের গোলাগুলির ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনার জের ধরে দেশটিতে বন্দুক আইন আরও কঠোর করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলছে। শনিবার (১১ জুন) ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস, শিকাগোসহ প্রধান প্রধান শহরগুলোতে বন্দুক সুরক্ষা গ্রুপ 'মার্চ ফর আওয়ার লাইভস' আমেরিকায় সাড়ে চারশোর মতো সমাবেশের আয়োজন করে। ২০১৮ সালে পার্কল্যান্ড স্কুলে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন 'মার্চ ফর আওয়ার লাইভস'।
বন্দুক আইন কঠোর করার এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনিও মার্কিন কংগ্রেসের কাছে এ সংক্রান্ত আইন করার আহ্বান জানিয়েছেন। 'মার্চ ফর আওয়ার লাইভস' বলছে, বন্দুক আইন কঠোর না করা পর্যন্ত দেশটির রাজনীতিবিদদের বসতে দেবে না তারা।
গত ২৪ মে টেক্সাসের উভালদে রব এলিমেন্টারিতে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে ১৯ শিশু এবং দুই প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হন। ওই হামলার পরপর নিউইয়র্কের বাফেলোতে নির্বিচার বন্দুক হামলায় প্রাণ হারান ১আরও ০ জন। এছাড়া মাত্র তিন সপ্তাহর মধ্যে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অনেকগুলো বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা আমেরিকার অবাধ বন্দুক আইন কঠোর করার দাবি জোরালো করেছে।
গার্নেল হুইটফিল্ডের ৮৬ বছর বয়সী মা নিউইয়র্কের বাফেলোতে বর্ণবাদী বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশে অংশ নিয়ে জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এখানে বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা এখানে তাদের সঙ্গে দাঁড়াতে এসেছি যারা যুক্তিযুক্ত বন্দুক আইন প্রণয়নের দাবি জানানোর জন্য যথেষ্ট সাহসী।
আন্দোলন থেকে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতাদের নিষ্ক্রিয়তাই আমেরিকানদের প্রাণহানির জন্য দায়ী। ওই সংগঠনের বোর্ডের সদস্য ট্রেভন বোসলে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যখন মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তখন আমরা আর আপনাদের (রাজনীতিবিদদের) বসতে দেব না।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিবিসি কথা বলার সময় পার্কল্যান্ডের গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া ডেভিড হগ বলেছেন, উভালদে শিশুদের হত্যাকাণ্ড আমাদের ক্ষোভে পূর্ণ করে তুলেছে। এ ব্যাপারে (বন্দুক আইন) আর অবিরাম বিতর্ক নয়, এখন আমাদের দাবি পরিবর্তনের।
গার্নেল হুইটফিল্ডের ৮৬ বছর বয়সী মা নিউইয়র্কের বাফেলোতে বর্ণবাদী বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশে অংশ নিয়ে জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা এখানে বিচারের দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা এখানে তাদের সঙ্গে দাঁড়াতে এসেছি যারা যুক্তিযুক্ত বন্দুক আইন প্রণয়নের দাবি জানানোর জন্য যথেষ্ট সাহসী।
উল্লেখ্য যে, আমেরিকার সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনের অধিকার রয়েছে, অর্থাৎ এটি তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ কারণে ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিরা বন্দুকের দোকান থেকে সহজেই আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে পারেন। আমেরিকার রক্ষণশীল নাগরিকরা আগ্নেয়াস্ত্র বহনের এ স্বাধীনতার পক্ষে। তারা আগ্নেয়াস্ত্রের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ সমর্থন করেন না। ফলে দেশটিতে কঠোর বন্দুক আইন প্রণয়ন সম্ভব হচ্ছে না। আর এতে বন্দুক হামলাও ঠেকানো যাচ্ছে না।
আইনিউজ/এইচএ
বৃদ্ধ বয়সে নামাজ পড়তাম, ঘরে বসে খাইতাম, কে খাওয়াবে!
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’