আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানকে ঠেকাতে একসাথে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল
ইরানবিরোধী যৌথ ঘোষণায় সই করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।
জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইরান বিরোধী কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত আসবে এটা স্পষ্ট ছিল আগেই। সফরের দ্বিতীয় দিনে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল চুক্তি যেন ইরানের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে একজোট হয়ে লড়বেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ।
প্রয়োজনে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবে তেলআবিব এবং ওয়াশিংটন। এর পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাও দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে ভারত ও আরব আমিরাত দেশ দু’টিকে সহায়তা করবে বলে ধারণা তাদের। তবে তেহরান বলে দিয়েছে, ইরানে হামলার মতো ভুল করলে পস্তাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
চুক্তি অনুযায়ী ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের মালিক হওয়া ঠেকাতে একসাথে লড়বে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব। প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির সবটুকু। এর পাশাপাশি ইসরায়েলকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলছেন, কোনো আলোচনা কিংবা সমঝোতা নয়, ইরানকে ঠেকানোর একমাত্র উপায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ। যদি তেহরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখে তাহলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা হবে। তা না হলে বিশ্বকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ইরানকে কখনোই পরমাণু অস্ত্রের মালিক হতে দেবেন না তারা। জানান, পরমাণু অস্ত্রধর ইরান সবচেয়ে বড় হুমকি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য। এমনকি এটা পুরো বিশ্বের জন্যই হুমকি। তাই এখন থেকে তেহরানের বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থানে থাকার কথাও জানান তিনি। আমরা চেষ্টা করেছি ইরান যেন পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসে। কিন্তু তাদেরও মনে রাখা উচিত যুক্তরাষ্ট্র সারাজীবন তাদের অপেক্ষায় বসে থাকবে না।
তাৎক্ষণিকভাবেই চুক্তির কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ইরান। দেশটির হুঁশিয়ারি, আঘাত করলে সারাজীবনের জন্য পস্তাতে হবে শত্রু দেশগুলোকে। ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি বলেন, ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে মনে রাখতে হবে নির্দিষ্ট কোনো দেশের সাথে চুক্তি করলেই তারা নিরাপদ হয়ে যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, ইরানের ওপর কোনো হুমকি আসলে এমন জবাব দেয়া হবে যাতে দেশটি সারাজীবন পস্তাবে। যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিই এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গত দুই দশক ধরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা শক্তির মুখোমুখি ইরান। ২০১৫ সালে এক চুক্তির পর সেন্ট্রিফিউজের সক্ষমতা কমায় ইরান। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় বসলে ওই চুক্তি বাতিল করে তারা। এরপর থেকেই আবারও বিবাদ শুরু হয় তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে।
আইনিউজ/এসডি
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু