হেলাল আহমেদ
আপডেট: ১২:৫২, ১ আগস্ট ২০২২
ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু, বাংলাদেশে শঙ্কা
দেশে এখনো এই সংক্রমণ কোথাও না পাওয়া গেলেও সম্প্রতি বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস প্রবেশের ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পার্শবর্তী দেশ ভারতে ইতিমধ্যেই প্রকোপ ছড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। ভারতে বিরল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ভারতীয় ওই যুবক কেরালা রাজ্যের। জানা গেছে, বিদেশে থাকাকালীন না কি তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এটাই সম্ভবত ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু। আর আফ্রিকার বাইরে চতুর্থ।
এ ব্যাপারে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, শনিবার (৩১ জুলাই) প্রাণ হারান ত্রিশূরের ২২ বছরের যুবক। গত ২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছিলেন তিনি। অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার মৃত্যু হয় তার। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে যুবকের নমুনা কেরালার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ ছিল না। এনসেফালাইটিসের উপসর্গ আর ক্লান্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তার মাঙ্কিপক্সের রিপোর্ট যে পজিটিভি এসেছে, তা হাসপাতালকে শনিবারই জানায় পরিবার।
গত ২২ জুলাই বাড়ি ফেরার পর তিনি সুস্থ ছিলেন। পাড়ার মাঠে ফুটবলও খেলেছিলেন। কিন্তু ২৬ জুলাই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। যেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে যে সমস্ত নিয়ম মেনে শেষকৃত্যু করতে হয়, সেভাবেই যুবকের সৎকার করে তার পরিবার। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতে প্রথম এই কেরালা রাজ্যেই হানা দিয়েছিল মাঙ্কিপক্স। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে চারজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে তিনজনই কেরালার।
বাংলাদেশেও প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস
করোনা মহামারির টালমাটাল অবস্থা এখনো সামলিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। এরইমাঝে হানা দিয়ে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন এ আতঙ্ক। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কারো দেহে না পাওয়া গেলেও দেশে ভাইরাসটি প্রবেশ করার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে আগে থেকে সবাইকে সতর্ক আর সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স এখনো শনাক্ত করা না গেলেও সব প্রবেশপথ দিয়ে বহু দেশের নাগরিক আসছেন যেখানে রোগী রয়েছে। এতে করে শঙ্কা আছে। তাই বিমানবন্দরের পাশাপাশি স্থলপথের প্রবেশপথে সতর্কতা বাড়াতে হবে যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত আইসোলেশনে নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর আসছে। গতকালও ব্রাজিলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় বলা মুশকিল। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। করোনা চীন হয়ে ইতালি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাঙ্কিপক্স যে একইভাবে আসবে না তা নিশ্চিত নয়। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে।
এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে এই টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভাইরাসটির প্রকোপ যদি বেড়ে যায় প্রয়োজনে আবারও সেই টিকা প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে যাদের বাসায় পোষা প্রাণী আছে, তাদের একটু সচেতন হতে হবে। কারণ এটি প্রাণী থেকে প্রাণী এবং সেখান থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেকেউ ঝুঁকিপূর্ণ, জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে দেখা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত।
আইনিউজ/এইচএ
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
বিস্ময় ছোট বালিকা দেয়ালিকা চৌধুরী বলতে পারে ১৯৫ দেশের রাজধানীর নাম | Deyalika | Eye News
আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘কার্নিভাল’
হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS
আশ্চর্য এন্টার্কটিকা মহাদেশের অজানা তথ্য | Antarctica continent countries | facts। Eye News
শে থাকাকালীন তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। এটাই সম্ভবত ভারতে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু। আর আফ্রিকার বাইরে চতুর্থ।
এ বিষয়ে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, শনিবার (৩১ জুলাই) প্রাণ হারান ত্রিশূরের ২২ বছরের যুবক। গত ২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছিলেন তিনি। অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার মৃত্যু হয় তার। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে যুবকের নমুনা কেরালার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই যুবকের শরীরে মাঙ্কিপক্সের কোনো উপসর্গ ছিল না। এনসেফালাইটিসের উপসর্গ আর ক্লান্তি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তার মাঙ্কিপক্সের রিপোর্ট যে পজিটিভি এসেছে, তা হাসপাতালকে শনিবারই জানায় পরিবার।
গত ২২ জুলাই বাড়ি ফেরার পর তিনি সুস্থ ছিলেন। পাড়ার মাঠে ফুটবলও খেলেছিলেন। কিন্তু ২৬ জুলাই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। যেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে যে সমস্ত নিয়ম মেনে শেষকৃত্যু করতে হয়, সেভাবেই যুবকের সৎকার করে তার পরিবার। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতে প্রথম এই কেরালা রাজ্যেই হানা দিয়েছিল মাঙ্কিপক্স। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে চারজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে তিনজনই কেরালার।
বাংলাদেশেও প্রবেশ করতে পারে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কারো দেহে না পাওয়া গেলেও দেশে ভাইরাসটি প্রবেশ করার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে আগে থেকে সবাইকে সতর্ক আর সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্স এখনো শনাক্ত করা না গেলেও সব প্রবেশপথ দিয়ে বহু দেশের নাগরিক আসছেন যেখানে রোগী রয়েছে। এতে করে শঙ্কা আছে। তাই বিমানবন্দরের পাশাপাশি স্থলপথের প্রবেশপথে সতর্কতা বাড়াতে হবে যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত আইসোলেশনে নেওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর আসছে। গতকালও ব্রাজিলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি কোনদিকে যায় বলা মুশকিল। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। করোনা চীন হয়ে ইতালি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাঙ্কিপক্স যে একইভাবে আসবে না তা নিশ্চিত নয়। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে।
এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে এই টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভাইরাসটির প্রকোপ যদি বেড়ে যায় প্রয়োজনে আবারও সেই টিকা প্রয়োগ করা হবে। একই সঙ্গে যাদের বাসায় পোষা প্রাণী আছে, তাদের একটু সচেতন হতে হবে। কারণ এটি প্রাণী থেকে প্রাণী এবং সেখান থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেকেউ ঝুঁকিপূর্ণ, জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে দেখা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’