সিগারেটে অতিরিক্ত ৩৬০০ কোটি রুপির কর বসাল পাকিস্তান

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব আয় বাড়াতে এবার সিগারেটের ওপর অতিরিক্ত ৩ হাজার ৬০০ কোটি রুপি কর বসিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া তামাক প্রক্রিয়া খাতেও বাড়তি কর আরোপ করা হয়েছে ২০০ কোটি রুপি।

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেওয়া এক অধ্যাদেশে বিষয়টি দেশবাসীকে জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইতোমধ্যে সেই অধ্যাদেশে স্বাক্ষরও করেছেন।

• আরও পড়ুন: অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?

পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জিইও টিভি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সরকারের নতুন অধ্যাদেশ জারির পর থেকে পাকিস্তানে কম দামী সিগারেটের দাম প্রতি প্যাকেটে ২০ থেকে ৩০ রুপি বেড়েছে, আর দামী সিগারেটের মূল্য প্যাকেটপ্রতি বেড়েছে ১০ রুপি।

এছাড়া তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও কর বাড়ানো হয়েছে ৩৯ গুণ। আগে প্রতি কেজি তামাক প্রক্রিয়াাজাত করতে সরকারকে রাজস্ববাবদ ১০ রুপি দিতে হতো উদ্যোক্তাদের। কেন্দ্রীয় সরকারের অধ্যাদেশ জারির পর থেকে একই পরিমাণ তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে এখন থেকে সরকারকে ৩৯০ টাকা দিতে হবে তাদের।

• আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত বেড়েছে

পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,  এই খাত থেকে ২০০ কোটি রুপি রাজস্ব আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তিনি আরও জানান, আইএমএফ বরাবর ৭০০ কোটি ডলার ঋণের জন্য আবেদন করেছে সরকার। তার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ১১৭ কোটি ডলার ছাড় দিতে বলা হয়েছে। এই আবেদনের জবাবে পাকিস্তানের সরকারকে কর আহরণ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ।

আগামী ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা আছে পাকিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিদের। সে জন্যই আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

• আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ দিন বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হবে না

যে অধ্যাদেশে সিগারেট ও তামাক প্রকিয়াজাতকরণ খাতের কর বাড়ানো হয়েছে, সেই একই সরকারি আদেশে কমানো হয়েছে পাকিস্তানের খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর আরোপ করা কর। মূলত এই ব্যবসায়ীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সমর্থক।

চলতি বাজেটে পাকিস্তানের খুচরা ব্যবসা খাতে রাজস্ব ধার্য করা হয়েছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি রুপি। তা কমিয়ে ২ হাজার ৭০০ কোটি রুপি করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি প্রণোদনা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে অধ্যাদেশে।