Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুরস্কে ভূমিকম্প : ধ্বসের নিচেও ভাইকে আগলে রাখলো ছোট্ট বোন 

ছোট্ট ভাইকে ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে হাত দিয়ে আগলে রেখেছে সাত বছরের বোন। ছবি- সংগৃহীত

ছোট্ট ভাইকে ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে হাত দিয়ে আগলে রেখেছে সাত বছরের বোন। ছবি- সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে দেশটির চিত্রপট। হাজার হাজার মানুষ মারা পড়েছেন ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়া ভবনের চাপায়। এরইমধ্যে মাঝেমাঝে শোনা যাচ্ছে আশা জাগানো সংবাদ বা কাওকে জীবিত উদ্ধারের খবর। একটি ভাঙা বাড়ির নিচে অন্যদের মতোই আটকে ছিলো ছোট ভাই-বোন। বোনটির বয়স মাত্র সাত বছর। কিন্তু তবুও সে বড়। কঠিন বিপদের মধ্যেই বড় বোনসুলভ মমতায় আঁকড়ে ধরল ছোট্ট ভাইকে। যে বিশাল পাথরের নিচে তারা চাপা পড়েছিল, আরেকটু হলেই ভয়াবহ বিপদ হতে পারত। 

এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কঠিন হৃদয়ের মানুষও ভেঙে পড়ে। কিন্তু সে তো বড় বোন। তাই তাকে যে ছোট্ট ভাইকে আগলে রাখতে হবে! তাই করল সে। ছোট্ট ভাইকে দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা মাথায় হাত রেখে, সান্ত্বনা দিয়ে, দরদি পরশ বুলিয়ে ধরে রাখল।

তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া ছোট্ট ভাইকে রক্ষা করার বোনের এ চেষ্টার ছবিটি সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই আবেগাপ্লুতভাবে সাত বছরের মেয়েটির সাহসিকতার প্রশংসা করছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে তারা ১৭ ঘণ্টা ছিল। পরে তাদেরকে নিরাপদে বের করা হয়। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

তবে ছবিটি তেমনভাবে শেয়ার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাফা। তিনি বলেছেন, মেয়েটি যদি মারা যেত, তবে সবাই ছবিটি শেয়ার করত। তিনি নেতিবাচক নয়, ভালো বিষয়কে শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বান কাজে লেগেছে। অনেককেই এ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদ সাফা টুইটারে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন:-
'সাত বছরের মেয়েটি তার ছোট্ট ভাইকে রক্ষা করার জন্য তার মাথায় হাত দিয়ে রেখেছিল। ১৭ ঘণ্টা তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে ছিল। তারপর তাদের নিরাপদে বের করে আনা হয়। কাউকে ছবিটি শেয়ার করতে দেখছি না। মেয়েটি যদি মারা যেত, তবে সবাই শেয়ার করত! ভালো কিছু শেয়ার করুন।...'

তার এই টুইটের পর নেটিজেনরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, অনেকেই কঠিন পরিস্থিতিতে সহানুভূতিপূর্ণ থাকার জন্য মেয়েটির প্রশংসা করেছেন। একজন বলেছেন, 'অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। সত্যিই সে বড় বোন। এমন কঠিন পরিস্থিতিতেতে দরদময় সুরক্ষা দিয়েছে। আটকা পড়া সবার জন্য ভালো কিছু আশা করছি। ক্লান্তিহীনভাবে যেসব উদ্ধারকারী কাজ করছেন, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।

আরেকজন লিখেছেন, 'আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন। শিশুটির ভালোবাসা ও প্রয়াস আমাকে কাঁদিয়েছে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'ওহ! মেয়েটি একজন ছোট্ট বীর!'

তুরস্কের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়