Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

তুরস্কে ভূমিকম্প

স্ত্রী-সন্তানের চাপা পড়া লাশ ধরে দুইদিন কাটালেন মুয়াইনি

আব্দুল আলিম মুয়াইনিস্ত্রী-সন্তানদের নিথর মরদেহের পাশে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ছবি- রয়টার্স

আব্দুল আলিম মুয়াইনিস্ত্রী-সন্তানদের নিথর মরদেহের পাশে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছেন। ছবি- রয়টার্স

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী ভূমিকম্পের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজারের কাছাকাছি। সময় যতো গড়াচ্ছে বিশাল থেকে বিশালাকার হচ্ছে ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়া মৃতদেহ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর ক্যামেরায় ওঠে আসছে দুর্বিষহ সব দৃশ্য আর গল্প। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবির কোনোটিতে দেখা যাচ্ছে ভবনের নিচে চাপা পড়ে মরে যাওয়া স্ত্রী-সন্তানদের লাশ ধরে স্তব্ধ হয়ে আছেন পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র মানুষটি! 

ভূমিকম্পের এরকম হাজারো ছবি উঠে এসেছে ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায়। উঠে এসেছে জীবিত উদ্ধারের চিত্রও।ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধারের বেশ কিছু ছবি নাড়া দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

একটি ছবি ধরা পড়েছে রয়টার্সের ফটোগ্রাফার উমিত বেকতাসের ক্যামেরায়।ছবিতে দেখা যাচ্ছে আব্দুল আলিম মুয়াইনি নামের এক ব্যক্তি স্ত্রী-সন্তানদের নিথর মরদেহের পাশে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আছেন। যেখানে উদ্ধারের আশায় হাত উঁচু করে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে আছেন তিনি।স্ত্রী ও ২ সন্তান মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান মুয়াইনি।

রয়টার্সের ওই ফটোগ্রাফার ছবির বর্ণনায় বলেন, হাতায়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে একজনের নিথর দেহ। পাশেই হাত উঁচু করে সাহায্য চেয়েছেন এক ব্যক্তি।

সোমবারের ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে তার স্ত্রী মারা গেছে। আর দেয়ালের স্ল্যাবে পা আটকে আছেন মুয়াইনি। জ্ঞান থাকলেও বাম চোখে আঘাত পাওয়ায় তা খুলতে পারছেন না তিনি। সেখান থেকে উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন মুয়াইনি।

মুয়াইনির দুই বন্ধু জানান, তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার পুরো শরীর ধুলায় আচ্ছাদিত ছিল। সে পানিশূণ্যতায় ভুগছে। তার চিকিৎসার প্রয়োজন। তারা জানান, তার পরিবারের কাউকেই বাঁচানো যায়নি।মাটিতে কম্বলে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে তার স্ত্রী ও ২ সন্তানের মরদেহ।

সিরিয়ান বংশোদ্ভূত মুয়াইনি গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে তুরস্কে এসে ইসরা নামে এক তার্কিশ নারীকে বিয়ে করেন। মাহসেন ও বিসিরা নামে তার দুই কন্যা সন্তান ছিল। এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে সিরিয়া এবং তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কিছুক্ষণ পর ফের ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প এবং পরে আরও অনেকগুলো আফটারশক হয়।

আই নিউজ/এইচএ 

আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি দেখতে Watch on YouTube অপশনে ক্লিক করুন

শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যু

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়