আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানে আরও কঠোর করা হচ্ছে হিজাব আইন
হিজাব পরিহিত ইরানের নারীরা। ছবি- ABC News
ইরানে স্মরণকালের বৃহৎ গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে হিজাববিরোধী আন্দোলন। দেশটিতে গত বছর হিজাব ইস্যুতে মাআশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যুর পর ফুঁসে ওঠেন দেশটির প্রগতিশীল মানুষ। মাসের পর মাস তারা হিজাববিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত অসংখ্য আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করে জেলেও পাঠিয়েছে ইরান সরকার। তবে এসবের মাঝেই আরও কঠোর হতে যাচ্ছে ইরানের হিজাব আইন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে কেউ নারীদের হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করলে ফৌজদারি আদালতে তার বিচার করা হবে। বিচারে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনও সুযোগ রাখা হবে না।
এক বিবৃতিতে শনিবার (১৫ এপ্রিল) এ কথা জানান ইরানের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আলি জামাদি। রবিবার এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
আলি জামাদি বলেন, ‘হিজাব না পড়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করার অপরাধের বিচার ফৌজদারি আদালতে হবে। বিচারের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহনযোগ্য হবে না।’
হিজাব ছাড়া চলাফেরা করা নারীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে শনিবার বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ক্যামেরা বসিয়েছে দেশটির পুলিশ। এমন পরিকল্পনার কথা গত সপ্তাহে এক ঘোষণাতে জানিয়েছিল পুলিশ।
দেশটিতে আগে থেকেই বাধ্যতামূলক ছিল হিজাব। তবে সম্প্রতি দেশটির নারীরা বাধ্যতামূলক এই পোশাক নিয়ে আন্দোলনে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। দেশটির শপিং মল, রেস্তোরাঁর মতো জনসমাগমস্থলে হিজাব ছাড়াই চলাফেরা করছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী, এ সংখ্যা বাড়ছেই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সম্প্রতি দেশটির নারী সেলিব্রিটি ও অ্যাক্টিভিস্টরা হিজাব ছাড়া ছবি ও ভিডিও আপলোড করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত জানালো দেশটির সরকার।
আল জামাদি বলেন, ‘হিজাব না পড়ার চেয়ে হিজাববিরোধী প্রচার এবং হিজাব ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করার শাস্তি হবে অনেক বেশি। স্পষ্টতই এটি দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার মতো একটি বিষয়।’
তবে কোন কোন কার্যক্রম হিজাববিরোধী প্রচার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
জাপানে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে বিস্ফোরণ
গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে গ্রেফতার হন ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। পুলিশি হেফাজতে কয়েকদিন পর মাহসার মৃত্যু হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ বলছে, আগের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন আমিনি। সেদিন থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে।
বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নেয় ইরানের পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর করেছে ইরান সরকার।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব ইসলামি আইনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবেই থাকবে।
সূত্র: রয়টার্স
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু