আই নিউজ ডেস্ক
পাকিস্তানে বিক্ষোভে নি-হত ৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে দেশজুড়ে যে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা, তাতে এ পর্যন্ত ৪ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ইসলামাবাদসহ পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একমাত্র সিন্ধ প্রদেশে এখনও নামেনি সেনাবাহিনী।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়েই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজসহ বিভিন্ন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম।
বুধবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনা মোতায়েনের তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ‘পাঞ্জাবসহ অন্যান্য প্রাদেশিক সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সংবিধানের ২৪৫ নম্বর ধারা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৯৭ অনুসারে আজ থেকে ইসলাবাদ, পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানের বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সামরিক বাহিনী। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বহাল থাকবে।’
গতকাল (মঙ্গলবার) দুটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান, সেখান থেকে পাকিস্তানের আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স এবং ন্যাবের একটি যৌথদল পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই গ্রেপ্তারের ভিডিওচিত্র।
এদিকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই বিক্ষোভের জেরে শহরে শহরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে তাদের এবং এসব সংঘাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থক— উভয়েরই হতাহত হয়েছেন।
যে ৪ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে, তারা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের। প্রাদেশিক এই রাজধানী শহরের প্রধান হাসপাতাল লেডি রিডিং হসপিটালের (এলএইচআর) একজন মুখপাত্র জিও নিউজকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতলে ৪টি মরদেহ এসেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও ২৭ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন এলএইচআরে।
বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করেছিল পাকিস্তানের সরকার; বুধবারেও তা অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে দেশটিতে মোবাইল থেকে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢোকা প্রায় অসম্ভব।
গত ২৪ ঘণ্টার বিক্ষোভে পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ভবনে হামলা চালানোর পাশপাশি সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছে— অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এসব ভয়াবহ হামলা যে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করেছে— এমন নয়। সব হয়েছে পিটিআইয়ের পরিকল্পনামাফিক। কোথায় কোথায় হামলা-ভাঙচুর চালাতে হবে— সে সম্পর্কে কর্মীদের আগেই নির্দেশনা দিয়েছিল পিটিআই।
‘এসব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন আহসান ইকবাল।
আইনিউজ/ইউএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’