আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আপডেট: ১৮:০০, ১৩ মে ২০২৩
কর্ণাটকে হেরে গেল মোদীর বিজেপি, আবারও ফিরেছে কংগ্রেস
ছবি- সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে শেষ পর্যন্ত আর নিজেদের দখল ধরে রাখতে পারলো না নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিপরীতে হেরে গেছে তারা। ফলে কংগ্রেসের হারানো রাজ্য কর্ণাটকে আবারও সরকার গঠন করছে রাহুল গান্ধীর দল। সেইসঙ্গে কর্ণাটকে হারের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ভারত থেকেও নিজেদের কতৃত্ব হারিয়েছে বিজেপি। একক দল হিসেবে দক্ষিণ ভারতে এখন ক্ষমতায় থাকবে কংগ্রেস।
কর্ণাটকের ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় সরকার গঠন করতে গেলে দরকার ১১৩টি আসন প্রয়োজন। কংগ্রেস সে জায়গায় ১৩৬টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির সংগ্রহ মাত্র ৬৩টি আস। গতবারের তুলনায় বিজেপি’র ৪০টি আসন কমেছে এ নির্বাচনে। কংগ্রেসের বেড়েছে ৫৪টি আসন।
ভোট পাওয়ার হারও গতবারের থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়াতে পেরেছে কংগ্রেস। দক্ষিণ ভারতের কোনো রাজ্যে আবারো একার ক্ষমতায় সরকার গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে তারা ডিএমকের সাথে ক্ষমতায় আছে। আর দক্ষিণ ভারতে বিজেপি আর কোথাও ক্ষমতায় থাকলো না।
এই বিপুল জয়ের পর কংগ্রেসের সামনে এখন সমস্যা হলো, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রধান দাবিদার সিদ্ধারামাইয়া, শিবকুমার, পরমেশ্বরসহ অনেক নেতা। এরমধ্যে সিদ্ধারামাইয়া আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। শিবকুমার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও রাহুল গান্ধীর খুবই আস্থাভাজন নেতা। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস হাইকমান্ড এই সিদ্ধান্ত নেবে।
কর্ণাটক হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য। তিনি এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেক দিন পর ভোটের প্রচারে নেমেছেন।
সবচেয়ে বড় কথা কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে। ভোটের আগে বিজেপির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপির প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। রাজ্য নেতাদের মধ্যে প্রার্থী করা নিয়ে প্রচুর ক্ষোভ ছিল। আর ভোট সমীক্ষাগুলোর মতে, মানুষের ক্ষোভ ছিল দুর্নীতি, চাকরি না পাওয়া ও জিনিসের দাম নিয়ে।
বিজেপি ভোটের প্রচারে টিপু সুলতান থেকে শুরু করে বজরঙ্গবলী, লাভ জিহাদের মতো বিষয়গুলো তুলেছিল। দেখা গেল, মানুষ তাদের সমস্যাগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজনের বিষয়কে নয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’