মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ১৬:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের রহস্যে ঘেরা ট্রেন
কিম জং উনের রহস্যে ঘেরা ট্রেন । ছবি অনলাইন
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের রাশিয়া সফর নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনায় সামনে এসেছে রহস্যময় এক ট্রেন। যেটিতে চড়ে কিং জং উন পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ এই পথ। কি আছে কিমের ট্রেনে!
২০০১ সালে বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ করেন কিম জং উন। খুব ধ্রুত বিশ্বজুরে নিজের পরিচিতি বাড়িয়েছেন তিনি। প্রতিনিয়ত পশ্চিমাদের হুমকি দিয়ে সব সময় আলোচনা থাকতে যেন পছন্দ তার। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর খুব কমই বিদেশ সফর করেছেন কিম জং উন। গত চার বছরে দুইবার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন তিনি। আর রাশিয়া ভ্রমণ মানেই ভারী অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত একটি বিলাস বহুল ট্রেনে চেপে বসেন কিম।
গাঢ় সবুজের মধ্যে হলুদ ডোরা কাটা ট্রেনটি নিয়ে কমবেশি সবারই আগ্রহ রয়েছে। কি আছে সেই বিলাস বহুল ট্রেনে। কোরিয় গনমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী কিম জং উনের ট্রেনের নাম ‘তাইয়াংহো। যার বাংলা অর্থ সূর্য। ২০১৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্টের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে আড়াই দিনে ভ্রমণ করে সাঁজোয়া ট্রেনে ভিয়েতনাম পৌঁছান। উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের প্রতীকী নামও হলো তাইয়েংহো। ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় মাত্র ৬০ কিলোমিটার। এতে মোট ৯০ টি বগি রয়েছে। আর প্রতিটি বগিই যেন এক একটি ভারী সাজোয়াজান। এসব বগিতে অন্যান্ন জানও বহন করা হয়। এর মধ্যে কিমের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সজ্জিত দুটি mercedes থাকে। অন্যান্ন ট্রেনেরে তুলোনায় এই ট্রেনের বিশেষত্ব হল এটি খুবই শক্তিশালী ধাতব পাত দিয়ে মরানো। যার রকেট, গুলি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম। কেবল নিরাপত্তাযই নয় ট্রেনটিতে পাওয়া যায় দারুন সব খাবার। রেড ওয়েন থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন পদের খাবার সবই মিলে ট্রেনটিতে। ট্রেনটিতে একাধিক কনফারেন্স রুম, ছোট থিয়েটার, একাধিক বেডরুম রয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনটিতে স্যাটেলাইট ফোনের সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বড় আকারের টেলিভিশন সেটও সংযুক্ত রয়েছে বিভিন্ন কামরায়। এ ছাড়া একাধিক কামরায় লাল চামড়ায় মোড়ানো চেয়ার রয়েছে যেখানে যাত্রীদের মতো বসেই ট্রেনে ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে।এছাড়া একাধিক কামড়ায় লাল চামড়ায় মোরানো চেয়ার রয়েছে। যেখানে যাত্রীদের মত বসেই ট্রেনে ভ্রমণ করার সুযোগ রয়েছে। কিম জং উনের নিরাপত্তা দিতে ট্রেনটির মধ্যে একটি বাহিনীও রয়েছেন। এই বাহিনী অন্যান্য প্রেসিডেন্টকে নিরাপত্তা দেওয়া বাহিনীর তুলনায় অনেকাংশে বড়। এছাড়া এটি যেসব স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায় সেখানে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। যেন অন্যান্ন রেল রোড গুলো দিয়ে অন্য কোন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। সোভিয়েত নির্মিত দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ট্রেনের যাত্রা পথে ট্রহল দিয়ে বেড়ায়। কিম জং উনের ট্রেনের প্রিতি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। তার দাদা কিম ইউং সুং ও তার বাবা কিম জং ইল দুজনই ব্রিটিশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্রেন ব্যবহার করতেন। কিম জং-উনের বাবা বিমান চড়তে ভয় পেতেন। তাই কোথাও সফরে গেলে ট্রেনই ছিল তার ভরসা। যদিও কিম জং উন কয়েকবার বিমানে চলেছেন।
আই নিউজ/আর
আরও পড়ুন
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’