Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

মো. রওশান উজ্জামান রনি

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আপডেট: ২০:৪২, ৯ অক্টোবর ২০২৩

আজকের নিউজ ২০২৩

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -মেক্সিকোতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে সাকার ফিস


আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -মেক্সিকোর জেলেদের কাছে এই মাছ পরিচিত ডেভিল ফিস নামে। ছবি দেখে আপনিও নিশ্চয়ই চিনতে পারছেন একে। আমাদের দেশে এর নাম সাকার ফিস। অ্যামাজনে ছিল এর বাসবাস। মূলত মিঠা পানির মাছ। 

অনেকেই একে চেনেন অ্যাকুরিয়ামে মাছের ময়লা খেকো মাছ হিসেবে। কারণ শোভাবর্ধনের পাশাপাশি মাছের বর্জ্য এবং অ্যাকুরিয়ামের অন্যান্য ময়লা খেয়ে ফেলে এই মাছ।গত কয়েক বছর ধরে লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলের উন্মুক্ত জলাশয়ে পাওয়া যাচ্ছে এই মাছ। মেক্সিকোতে জেলেরা যে মাছ ধরেন তার সত্তর শতাংশই ডেভিল ফিস। বাংলাদেশেও বিভিন্ন অঞ্চলে উন্মুক্ত জলাশয় এই সাকার ফিস পাওয়া যাচ্ছে।

শখের মাছ পালনকারীদের অ্যাকুরিয়াম থেকে মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই মাছ। হতো মাছ বড় হয়ে যাওয়ার পর তারা সেগুলোকে পুকুরে বা জলাশয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। সাকার ফিসের কারণে ইতিমধ্যে মিয়ানমার এবং আরব আমিনোতের মাছ চাষীরা ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশের জেলেদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এই সাকার ফিস। এটি ক্যাটফিশ জাতের হওয়ায় জলাশয়ের একেবারে নিচের স্তরে থাকে। ফলে একে সরিয়ে ফেলার কাজটিও খুবই কঠিন। মিঠাপানির এই মাছটির শরীর অমসৃন। পিঠের ওপরে ও দুই পাশে রয়েছে তিনটি বড় কাঁটার মতো পাখনা যা ধারালো। মুখের মধ্যে রয়েছে ধারালো দাঁত। এরা জলাশয়ের আগাছা জলজোপ পোকামাকড় এবং বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। 

পৃথিবীর কোন দেশেই সাকার ফিস খাওয়ার কথা জানা যায় না বরং এটি অ্যাকুরিয়ামের মাছ হিসাবেই পরিচিত। একইভাবে সাকার ফিসের বিস্তার ঘটে লাটিন আমেরিকার দেশগুলোতেও। সাকার ফিসের উৎপত্তিস্থল অ্যামাজনের গহীন বনে হলেও বর্তমানে মাছটি দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পরেছে। এই ব্যাপক বিস্তারের ফলে কিছুদিন ভোগান্তি পোহালেও বর্তমানে মাছটি থেকে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখছে মেক্সিকোর জেলেরা। মেক্সিকোতে একসময় ডেভিল ফিস হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সাকার মাউথ ক্যাটফিসকে প্রক্রিয়াজাত করে শুটকি বানিয়ে পোষা প্রাণীসহ কুকুর বিড়ালের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু কি তাই? সেই খাদ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করছে দেশটি। বর্তমানে দেশটিতে সাকার ফিস ঘিরে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এক সময় নদীতে জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে আসতো সাকার ফিস। বাজারে যার কোনো দামই ছিল না। বিষাক্ত ভেবে তখন কেউ এই মাছ খেতেও না। সেই সময় মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। 

এরপর ২০১৪ সালে কয়েকজন গবেষকের সহযোগিতায় মাছটির পুষ্টিগুণ এবং উচ্চ প্রোটিনের বিষয় মাথায় রেখে প্রাণী খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাকার মাছ প্রক্রিয়াজাত করতে দেশটিতে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একাধিক প্রসেসিং ফার্ম। ফার্মগুলোতেই জেলেদের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করে মাছের ছাল ছাড়িয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে কাটা হয়। এরপর সেটি ফ্রিজিং করে শক্ত হয়ে আসলে আলাদা আলাদা টুকরোই কেটে ড্রাই মেশিনে শুকানো হয়। পরবর্তীতে মাছের টুকরোগুলো শুকিয়ে এলে মোড়কজাত করা হয় সাকার ফিসের শুটকি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া সহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে সাকার ফিসের শুটকি, পশুখাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে মেক্সিকো থেকে বিপুল পরিমাণে থাকার ফিসের শুটকি বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। 


আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -আফগানিস্তান জাফরান রপ্তানিতে ভারতকে টেক্কা

Saffron farming in Afghanistan-আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ Saffron farming in Afghanistan

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান মশলা জাফরান। স্বর্ণের চেয়ে কোনো অংশে এর মূল্য কম নয়। বাংলাদেশের বাজারে এক কেজি জাফরানের মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা। এতদিন পর্যন্ত ভারতের কাশ্মীরকে বলা হতো জাফরান গাছের ভান্ডার। কিন্তু শীঘ্রই এই ভান্ডার আফগানিস্তানে প্রসারিত হচ্ছে। 

ভারতকে টেক্কা দিয়ে বিশ্ববাজারে রাজত্ব করতে চাইছে আফগানিস্তান। জাফরান চাষ ও রফতানির ব্যবস্থাপনার উন্নতি সাধনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে আফগানিস্তান। কি পরিমান জাফরান উৎপাদন করছে আফগানিস্তান? এগুলো রপ্তানি করে কতটা ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হবে আফগানিস্তান?.

যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। কয়েক দশক ধরে পপি চাষ ও মাদক তৈরির কাঁচামালের জন্য দেশটি বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছে। দীর্ঘ দুই দশক পর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় পুনরায় ফিরে আসার পর কোরানের আলোকে দেশ পরিচালনা করতে চাইছে। তাই পপি চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে চাইছে তালিবান সরকার। বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজছে দেশটি। সম্প্রতি দেশটির কৃষকরা সোনালী পথের সন্ধান পেয়েছেন। কয়েক বছর ধরে তারা পপি চাষের পরিবর্তে ঝুঁকেছেন রেড গোল্ড বা জাফরান চাষে। শুধু তাই নয় অনুকূল আবহাওয়ার কারণে দেশটিতে চাষ হওয়া জাফরান বেলজিয়ামের একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিশ্বের সর্বোচ্চ মানসম্মত জাফরানের তকমাও পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামীতে আফগানিস্তানের কৃষিতে পপির লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠবে এই লালসোনা খ্যাত জাফরান।

আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতে সবচেয়ে বেশি জাফরান উৎপাদিত হয়। দেশটিতে মোট উৎপাদিত জাফরানের বিরানব্বই শতাংশই উৎপাদন হয়েছে এখানে। এছাড়া দেশটির উত্তরাঞ্চলের বালাক ও শরিফুল, দক্ষিণের কান্দাহার ও রোজগার এবং মধ্য অঞ্চলের ডাইকুন্ডিতে জাফরান উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত মোট জাফরানের নব্বই শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করে আফগানিস্তান। বিদায়ী অর্থ বছরে এই খাতে দেশটির আয় দুই কোটি সত্তর হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত. আফগানিস্তানের উৎপাদিত জাফরানের প্রধান ক্রেতা। কিন্তু জাফরান চাষ অত্যন্ত কষ্টকর। মাত্র এক পাউন্ড অর্থাৎ চারশো পঞ্চাশ গ্রাম ওজন হতেই এক লাখ সত্তর হাজারটি ফুলের প্রয়োজন হয়। আর এক পাউন্ড জাফরান সংগ্রহ করতে কৃষকদের প্রায় চল্লিশ ঘন্টা শ্রম দিতে হয়। ইরান ও ভারত বিশ্বের জাফরান উৎপাদনকারী শীর্ষ দুটি দেশ। দুই হাজার বিশ একুশ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী ভারত উৎপাদন করে মাত্র ১৫ মেট্রিক টন। আর সেখানে আফগানিস্তানে মোট উৎপাদিত জাফরানের পরিমান প্রায় সাত দশমিক তিন মেট্রিক টন।

যা বৈশ্বিক উৎপাদনের ছয় দশমিক তিন শতাংশ হিসাব নিয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান দাঁড়িয়েছে তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ২৩টিতেই একসময় কপি চাষ করা হতো। এসব প্রদেশের কৃষকরা এখন জাফরান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মশলা পণ্যটি দামি হওয়ায় অল্প সময়ে তারা লাভবান হতে শুরু করেছেন। যার প্রভাব পড়েছে দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতিতেও।


আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -পাকিস্তানে পুরো মাসের বেতনের সমান বিদ্যুৎবিল!

Fresh Crisis in Pakistan-আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ Fresh Crisis in Pakistan

আজকের নিউজ ২২/৯/২০২৩ -জ্বলছে করাচি। মূল্যের স্ফীতির সবশেষ আঘাত বিদ্যুৎ বিলে। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকরা। চড়া বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন শত শত মানুষ। 

পাকিস্তানে চড়া শুল্ক আর কর বৃদ্ধি মূল্য স্ফীতির কারণে আগস্ট মাসে বিদ্যুৎ বিল দেখে চক্ষু চড়ক গাছ সাধারণ মানুষের। বেশিরভাগ সাধারণ নাগরিক যা বেতন পান তার প্রায় পুরোটা দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলে। জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যস্ফিতির কারণে এমন শোচনীয় পরিস্থিতিতে পড়েছেন বহু মানুষ। আর কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই নেমেছেন আন্দোলনে।

সরকার বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দিয়েছে। গরীব মানুষ কিভাবে এই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে? একজনের বেতন পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার রুপি। অথচ চব্বিশ হাজার রুপি দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। এতো বিল আমরা কিভাবে দেবো? এই কারণেই আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ বিলের কপি আগুনে পুড়িয়ে ফেলছে সবাই। 

সাধারণ মানুষ দুটি লাইট আর একটি ফ্যান ব্যবহার করে। একটি রুমে আর অন্যটি রান্নাঘরে। দিনের বেলায় আলো না জ্বালানোর চেষ্টা করে। পাখা চালানোর ব্যাপারেও সচেতন থাকে। বাচ্চারা ইস্কুলে থাকলে না চালানোরই চেষ্টা থাকে। এতো সচেতন থাকার পরেও নাগালের বাইরে আসে বিদ্যুৎ বিল। দেশের উচ্চমূল্য স্মৃতির কারণেই সন্তানের বেতনও পরিশোধ করতে পারছে না বহু মা-বাবা। আর এতে করে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ পনেরো বছর বয়সী শিশু কন্যারও। 

তিন বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সর্ত মেনে বাড়ানো হয়েছে কর। সমন্বয়ের অজুহাতে কমানো হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিদ্যুৎ বিলের চাপে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বহু প্রতিষ্ঠান। ফলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় হাজার হাজার পাকিস্তানি। (Hindustan Times)

আই নিউজ/আর

আরও পড়ুন

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়