জিম্মিদের মুক্তি না দিলে অবরোধে থাকবে গাজা

অনেক ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে এভাবে যুদ্ধবন্দী বানিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তি চায় ইসরায়েল।

হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনের গাজায় সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। পাশাপাশি গেল দু'দিন ধরে গাজায় অবরোধ ঘোষণা করেছে নেতানিয়াহু সরকার। ফলে গাজায় বর্তমানে বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। বিপরীতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলমান থাকায় গাজায় বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও। ইসরায়েল বলছে হামাস যাদেরকে বন্দী করেছে তাঁদের মুক্তি না দিলে গাজায় অবরোধ চলবে।

ইসরায়েলের জ্বালানি মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস তাদের মুক্তি না দেবে ততক্ষণ কোনো বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করা হবে না, পানির লাইন বন্ধ থাকবে, জ্বালানি ট্রাক ঢুকবে না। খবর-বিবিসি

গাজার একমাত্র পাওয়ার স্টেশনটির জ্বালানি বুধবার শেষ হয়ে গেছে। এই অঞ্চলটি এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভর করছে।

৬ দিন আগে শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালায় ইসরায়েলে। ওই হামলার সময় গাজায় কমপক্ষে ১৫০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে বলা হয়। সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

গাজায় ইসরাইলি হামলায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসা লোকজনের একটি আশ্রয় শিবির
এদিকে ইসরায়েল পাল্টা বিমান হামলা শুরু করার পর থেকে গাজায় একই পরিমাণ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাসের সুড়ঙ্গের বিশাল নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে তারা বিমান হামলা করছে।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল পৌঁছেছেন। আঞ্চলিক দেশগুলোকে সংঘাতের এই পরিস্থিতির ‌‌‌‘সুবিধা না নিতে’ সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

আই নিউজ/এইচএ