Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

জ্বালানির অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ছে গাজার হাসপাতালগুলো 

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কতৃক অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজায় জ্বালানির অভাবে অন্তত ৬টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।

গাজা উপত্যকায় জ্বালানি তেলের সরবরাহ না পৌঁছালে উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছাবে—উল্লেখ করে বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘যদি গাজা জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি ও মেডিকেল পণ্য সরবরাহ না করা যায়, সেক্ষেত্রে শিগগিরই হাজার হাজার রোগীর মৃত্যু দেখতে হবে আমাদের।’

গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়ালিসিস সেবা নেন প্রায় ১ হাজার রোগী। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালেরি নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রয়েছে অন্তত ১৩০ জন অপরিপক্ক (প্রিম্যাচিউর) শিশু। সেই সঙ্গে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এমন বহু রোগী রয়েছেন, যাদের জীবন রক্ষার জন্য হাসপাতালে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ জরুরি।

শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ ও বুধবার পৃথক এক বিবৃতিতে গাজার হাসপাতাল, ও পানি সরবরাহকেন্দ্র চালু রাখার জন্য সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর কো অর্ডিনেশন অব হিম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ইউএনওচা) এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতাল, বেকারি এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে চালু রাখার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ৮০০ লিটার ডিজেল ও পেট্রোল প্রয়োজন।

৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপত্যকা গাজায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। দারিদ্র্য ও বেকারত্বপীড়িত এই ফিলিস্তিনিদের এক তৃতীয়াংশ সরাসরি জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।

ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধের জেরে রাফাহ ক্রসিং বন্ধ থাকায় দু’সপ্তাহ কোনো ত্রাণ প্রবেশ করতে পারেনি গাজায়। ফলে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত সেই উপত্যকায় ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় শুরু হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়।

এ পরিস্থিতিতে শনিবার রাফাহ ক্রসিং খুলে দিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। গত কয়দিনে এই ক্রসিং দিয়ে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করলেও জ্বালানি তেলবাহী কোনো ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি গাজায়।

এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের ভাষ্য, গাজা পুরোপুরি হামাস নিয়ন্ত্রিত এলাকা এবং যদি সেখানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়, সেক্ষেত্রে হামাস তা চুরি করে নিজেদের সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার করবে।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়