আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জন্মভূমি বেথলহেমে ইনকিউবেটরে বন্দী যিশু
গাজায় এবার যিশুকে উপস্থাপন করা হয়েছে ইনকিউবেটরে থাকা শিশু হিসেবে। ছবি- সংগৃহীত
আজ খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই সেই দিন, যেই দিন যিশু খ্রিস্ট জন্ম নিয়েছিলেন ধরাধামে। যিশুর জন্মস্থান আজকের যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার পশ্চিম তীরের বেথলহেম শহরে। যেখানে প্রতিদিন বড়দিনে মেতে ওঠেন হাজারো মানুষ উৎসবের আমেজে। আজ যদিও গাজায় শুধুই শোকের হাওয়া। গির্জার ঘণ্টাধ্বনিতে মুখরতার বিপরীতে গাজায় আজ চারদিকে শোনা যায় বোমার শব্দ। যিশুখ্রিষ্টের জন্মস্থান বেথলেহেম এখন প্রায় জনশূন্য। বাসাবাড়িতেও নেই কোনো আনন্দ।
এরই মধ্যে গাজায় এবার যিশুকে উপস্থাপন করা হয়েছে ইনকিউবেটরে থাকা শিশু হিসেবে। অবরুদ্ধ গাজার শিশুদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ শিল্পকর্ম করেছেন ফিলিস্তিনি শিল্পী রানা বিশারা এবং ভাস্কর সানা ফারাহ বিশারা। খবর আল-জাজিরার
শিল্পকর্মটি স্থাপন করা হয়েছে গাজার পশ্চিম তীরের বেথলেহেমের চার্চ অফ নেটিভিটির বাইরে। সেখানে একটি ইনকিউবেটরের ভেতরে লাল-সাদা রঙের কেফিয়াহ’র চাদরের ওপর ব্রোঞ্জের যিশুকে ভাস্কর্যরূপে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে গাজার খ্রিষ্টান পরিবারগুলো বলছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের অনেক স্বজন নিহত হয়েছেন। গাজার মানুষ একবেলা খাবারের জন্য ছোটাছুটি করছে– এমন পরিস্থিতিতে কী করে বড়দিন উদযাপন সম্ভব!
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা নোহা হেলমি তারাজি। ৮৭ বছর বয়সী এই নারী প্রতিবছর সাধারণত একটি বড় গাছ দিয়ে তাঁর বাড়ি সাজান। আলোকসজ্জা ও আনন্দের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন গাছটি। শুধু তা-ই নয়, পরিবারের সদস্যদের জন্য ঘর প্রস্তুত করেন; যারা প্রতিবছর বড়দিনে আসেন। মিষ্টান্নসহ নানা রকম মুখরোচক খাবার তৈরি করেন। নাতি-নাতনিদের জন্য ক্রিসমাস ট্রির নিচে উপহারগুলো রাখেন। কিন্তু এবার তিনি কিছুই করেননি।
তিনি জানান, এ বছর তাঁর বাড়িতে কেউ আসেনি। এমনকি বাচ্চারাও উদযাপন করতে চায় না।
এই নারী বলেন, আমাদের হৃদয়ে কোনো আনন্দ অবশিষ্ট নেই। ইসরায়েলি বোমা গাজায় আমার বোন ও ভাইকে হত্যা করেছে। অন্য বোন এখন পঙ্গু; যারা গাজায় বাস করত।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে নিহত হন ১ হাজার ১৩৯ জন। আহত হওয়ার সংখ্যা ৮ হাজার ৭৩০। এ হিসাব ইসরায়েল সরকারের।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। মাঝে যুদ্ধবিরতির কয়েক দিন বাদে গাজায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির-কিছুই বাদ যায়নি।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর বেশিরভাগ নারী ও শিশু। উদ্বাস্তু হয়েছে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৮ লাখের বেশি।
আই নিউজ/এইচএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’