আই নিউজ ডেস্ক
নিউইয়র্কে পুলিশের গু*লিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃ ত্যু
ছবি- সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওজোন পার্কে পুলিশের গুলিতে মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি এক যুবকের মৃ ত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
১৯ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম ইয়েন রোজারিও। দুপুর দেড়টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ইয়েন রোজারিও’র মা নিজ বাড়ি থেকে ছেলের অনিয়ন্ত্রিত আচরণের বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশের জরুরি নম্বর ৯১১ এ ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সাহায্যের চেষ্টা করলে ওই যুবক পুলিশকে লক্ষ্য করে কাঁচি চালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশে ইয়েন রোজারিওর বাড়ি গাজীপুরের পুবাইলে। বাবার নাম ফ্রান্সিস রোজারি। মা-বাবা ও এক ভাইসহ তারা দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের ওজোন পার্ক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। পুলিশের গুলিতে ইয়েন রোজারিও’র নিহতের খবরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের পরিবেশ নেমে আসে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।
পুলিশের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন বলছে, বুধবার দুপুরের দিকে জরুরি টেলিফোন নম্বর ৯১১ থেকে পুলিশের কাছে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয়, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। খবর পেয়ে ১০১তম অ্যাভিনিউয়ের ১০৩তম স্ট্রিটের ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভেতরে তাকে দেখতে পায় পুলিশ। তাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবক হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিকে তেড়ে আসে। এ সময় গুলি চালায় পুলিশ।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী কেন ক্লার্ক বলেন, ‘তিনি গুলির শব্দ শুনেছেন। তিনি প্রথমে পুলিশকে ওই বাড়িতে যেতে দেখেছেন, দরজায় টোকা দিতে দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত তাদের ভেতরে যেতে দেখেছেন। তারপর তিনি চিৎকার শুনেছেন। পরে গুলির শব্দ সবাই শুনেছেন। তারপর কিছুটা নীরবতা এবং আবারও গুলির শব্দ শুনেছেন।’
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের চিফ অব পেট্রোল জন চেল জানিয়েছেন, ওই যুবক হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে তেড়ে আসছিল পুলিশ সদস্যদের দিকে। সেখানে উদ্ধার অভিযানে পুলিশ তাদের ডিভাইসগুলো মোতায়েন করেছিল যা কাজও করছিল। কিন্তু যুবকের মা তখন তাকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন এবং তার (ইয়েন রোজারিও) হাতে থাকা কাঁচিতে আঘাত করে কাঁচি ফেলে দেন। এ সময় ওই যুবক আবার কাঁচি হাতে তুলে নেয় এবং পুলিশ অফিসারদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার জন্য গুলি করা ছাড়া পুলিশের কোনো উপায় ছিল না। পরে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানান, অফিসাররা যখন ১০৩ স্ট্রিট ও ১০১ অ্যাভিনিউয়ের ওই বাড়িতে পৌঁছে তখন কাঁচি হাতে থাকা ইয়েন রোজারিওর মুখোমুখি হয়েছিল পুলিশ। অফিসাররা তাকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার এবং তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে। কিন্তু সাহায্য নেওয়ার পরিবর্তে বাসার ড্রয়ার থেকে এক জোড়া কাঁচি বের করেন এবং পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অফিসাররা প্রথমে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় রান্নাঘরে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় তার মা তাকে সাহায্যের জন্য চলে আসেন। পুলিশ কর্মকর্তারা তখন তাদের জানান যে, তিনি দুর্ঘটনাক্রমে তার শরীর থেকে পুলিশের মোতায়েন করা ডিভাইসগুলো ছিটকে ফেলে দিয়েছেন। এতে পুলিশ সদস্যদের অকার্যকর করে তুলেছেন তিনি। ওই যুবক তখন কাঁচি তুলে নিয়ে আবার অফিসারদের দিকে ছুটে আসলে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।
জন চেল বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অফিসারদের কেউ আহত হয়নি। তবে কানে আঘাত পাওয়ায় একজনকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আই নিউজ/এইচএ
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’