আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানে আমাদের হা-মলা সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল : আইডিএফ
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। ছবি- সংগৃহীত
ইরানের করা আগের হামলার জবাব দিতে শুক্রবার ইরানে সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এসব হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেহে ইসরায়েল। ইরানে সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট হামলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেশটির রাজধানী তেহরান ও তার পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বিমান থেকে গোলা বর্ষণের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিলো আইডিএফ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের হামলাপর্ব সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল। পূর্ববর্তী হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা পরিচালিত করেছিল। আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া এ হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।”
“তাছাড়া ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর চলাচল বাধাগ্রস্ত রতে যেসব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল ইরান, সেগুলোকেও ধ্বংস করা হয়েছে।”
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে অকার্যকর করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। গত সেপ্টেম্বর থেকে হামাসের মিত্র ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ।
লেবানের অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।
তবে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল আইডিএফ। তাই ১ অক্টোবরের হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের।
হামলার পরের দিন ২ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরানকে এ হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ফের এ ধরনের হামলা হবে।
উভয়পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজকের হামলা চালাল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সূত্র : সিএনএন
- আইয়ুব খানের পদত্যাগের দিন আজ
- টাই পরা বাদ দিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করতে চান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী
- যুদ্ধবন্দী কারাগারে বোমা হামলা, পরস্পরকে দোষছে রাশিয়া-ইউক্রেন
- মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে পুরুষদের সেক্স পার্টনার কমানোর পরামর্শ
- আবারও মক্কায় কালো পাথর স্পর্শ-চুম্বনের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা
- ভারতের স্বাধীনতা দিবস শনিবার
- সুখবর! অক্সফোর্ডের তৃতীয় ট্রায়ালও সফল, ভ্যাকসিন আসছে জুলাইতেই
- চীনা ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ
- টাইমস স্কোয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’
- মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় ৪২ সেনার মৃত্যু