Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

আইনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৪ জুন ২০২২

সংসারে পুরুষের চেয়ে ৮ গুণ বেশি কাজ করেন নারীরা

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংসারের কাজে পুরুষের চেয়ে ৮ গুণ বেশি কাজ করেন নারীরা। তারা ২৪ ঘণ্টার অর্ধেক সময়ই সংসারের কাজকর্ম, শিশু-বৃদ্ধসহ পরিবারের সদস্যদের যত্ন-আত্তি করেই পার করে দেন। নারীরা গড়ে ১১.৬ ঘণ্টা এসব কাজে ব্যয় করেন। অপরদিকে পুরুষেরা এই কাজে ব্যয় করেন মাত্র ১.৬ ঘণ্টা।

সময়ের ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ সমীক্ষায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সোমবার (১৩ জুন) সমীক্ষাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিএস বলছে, নারী-পুরুষ সবাই কাজ করেন। কিন্তু তাদের কাজের ধারায় পরিষ্কার পার্থক্য আছে। ঘরের টুকিটাকি কাজ করা এবং পরিবারের সদস্যদের যত্ন-আত্তি করা দৈনন্দিন কাজের অংশ। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ দুজনের সমান দায়িত্ব পালন করা উচিত। কিন্তু নারীর ওপর বেশি বোঝা হয়ে যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকার আট হাজার নারী-পুরুষের ওপর সমীক্ষা করেছে বিবিএস। যার ফল অনুযায়ী, একজন পুরুষ দৈনিক গড়ে ১১.৩ ঘণ্টা নানা কাজে ব্যয় করেন। আর একজন নারী নানা কাজে ব্যয় করেন গড়ে ১০.৯ ঘণ্টা।

নারীর কাজের স্বীকৃতিও কম। তারা মজুরিহীন কাজেই বেশি সময় দেন।

বিবিএস বলছে, নারীরা প্রতিদিন গৃহস্থালির কাজে ৪.৬ ঘণ্টা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সেবা করতে খরচ করেন ১.২ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে মজুরি ছাড়া কাজ করেন প্রতিদিন ৫.৮ ঘণ্টা। এসব কাজে তারা কোনো মজুরি পান না।

অন্যদিকে পুরুষেরা দৈনিক মাত্র ০.৮ ঘণ্টা এমন মজুরিহীন কাজ করেন। দেখা যায়, প্রতিদিনের এক-চতুর্থাংশ সময় মজুরি ছাড়া সংসারের কাজকর্ম করেন নারীরা। অর্থনীতিতে এর কোনো স্বীকৃতিও নেই।

বিবিএস আরও বলছে, টিভি দেখা, অবসরযাপন, বিনোদনসহ বিভিন্ন কাজে একজন নারী দৈনিক ২.৭ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। আর পুরুষ এসব কাজে সময় খরচ করেন ২.৬ ঘণ্টা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক সংবাদমাধ্যম গণমাধ্যমকে বলেন, “সংসারের জন্য নারীরা যে সময় দিচ্ছেন, এর স্বীকৃতি নেই। তারা কোনো মজুরি পান না। সংসারের কাজে বেশি সময় দেওয়ার কারণে তাদের শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া বাচ্চা ছোট হলেও শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। তাই শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ তেমন একটা বাড়েনি।” 

তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বাড়বে।”

সূত্রঃ প্রথম আলো, ঢাকা ট্রিবিউন

আইনিউজ/এসডি

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়