হেলাল আহমেদ, আইনিউজ
আজ বিশ্ব গরম চা দিবস, জানেন কি?
বাঙালীর প্রাতঃভোজে চা থাকবে না তা ভাবাই যেন অনেকটা অপরাধ। চা এমনই ভাবে মিশে গেছে বাঙালীর খাদ্য সংস্কৃতিতে। সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে কমদামে পাওয়া সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পানীয় এই চা। কিন্তু এটা জানেন কি? আজ বিশ্ব গরম চা দিবস। ২০১৬ থেকে প্রতিবছর ১২ জানুয়ারি বিশ্ব গরম চা দিবসটি উদযাপন করে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চা-প্রেমী মানুষরা।
জানা যায়, ১৯৫০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এ কাউন্সিল 'হট টি ডে' প্রচলন করে। মার্কিনিরা এক কাপ গরম চা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন মনে করেন ১২ জানুয়ারি। এই দিনে চা-কে ঘিরে তাই তাদের থাকা নানা আয়োজনও।
গরম চা দিবস পালনের ইতিহাস
মানুষের চা পানের ইতিহাস দীর্ঘ ৫ হাজার বছর ধরে চলে আসছে। কিংবদন্তী আছে যে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭৩৭ অব্দে চীনা তাং রাজবংশের সময়ে চীনা সম্রাট শেন নুং এর জন্য পানীয় গরম করার সময় সেই পানিতে কিছু পাতা এসে পড়েছিলো। যা খেয়ে তিনি বেশ তৃপ্তি পান। এটিই পরবর্তীতে চা পাতা এবং চা হিসেবে জগদ্বিখ্যাত হয়েছে।
এদিকে ২০১৬ সালে, শিয়ানের সম্রাট জিং-এর সমাধিতে চায়ের প্রাচীনতম এক প্রমাণ পাওয়া যায়, যা ইঙ্গিত করে যে ক্যামেলিয়া বংশের চা, হান রাজবংশের সম্রাটরা খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে পান করেছিলেন। হান রাজবংশের সময় ৫৯ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দে লেখা একটি নথিতেও ফুটন্ত চায়ের প্রথম পরিচিত উল্লেখ রয়েছে। চা চাষের প্রথম রেকর্ডটিও এই সময়কালের, যে সময়ে মেং পাহাড়ে চা চাষ করা হয়েছিল।
ইউরোপে প্রথম চায়ের চালান
১৬ শতকে চীনে পশ্চিমা পুরোহিত এবং ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এ অঞ্চলে চা প্রথম চালু হয়েছিল। ১৬০৭ সালে, যখন ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ম্যাকাও থেকে জাভাতে চায়ের একটি কার্গো স্থানান্তর করেছিল তখন এটি ছিল ইউরোপীয় দেশ দ্বারা চায়ের প্রথম রেকর্ড করা চালান।
ইউরোপের চিত্রকর্মে এভাবেই ফুটিয়ে তোলে হয়েছে চায়ের ইতিহাস
এরপর ১৬৫৭ সালে লন্ডনের একটি কফি হাউসে চা বিক্রি করা হয়েছিল, স্যামুয়েল পেপিস ১৬৬০ সালে চায়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন এবং ১৬৬২ সালে চার্লস দ্বিতীয়কে বিয়ে করার সময় ব্রাগানজার ক্যাথরিন চা পান করার অভ্যাসটি ইংরেজ আদালতে নিয়েছিলেন।
চা চোরাচালান এবং ঐতিহাসিক ঘটনা
১৮ শতকে চা চোরাচালান চা-কে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তুলেছিল। ১৭৮৫ সালে ব্রিটিশ সরকার চায়ের উপর কর প্রত্যাহার করে, যার ফলে চোরাচালান বাণিজ্য দূর হয়।
চায়ের জনপ্রিয়তা ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিতে একটি ভূমিকা পালন করেছিল ১৭৭৩ সালে। এই বছর চা আইনটি বোস্টন টি পার্টিকে উস্কে দিয়েছিল যা আমেরিকান বিপ্লবে পরিণত হয় পরবর্তীতে। টাউনশেন্ড আইনে অধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পাঠানো চায়ের পুরো চালানটি ধ্বংস করে দেয় সানস অফ লিবার্টি।
১৯ শতকের শেষের দিকে, চা প্রতিটি সামাজিক সমাজের জন্য একটি দৈনন্দিন পানীয় হয়ে ওঠে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে কাউন্সিল দ্বারা জাতীয় গরম চা দিবস তৈরি করা হয়েছিল।
আই নিউজ/এইচএ
আইনিউজে আরও পড়ুন-
- রেসকিউ সেন্টার থেকে ফের লাউয়াছড়ার বুকে গেলো লজ্জাবতি বানরগুলো
- লোকালয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, আতঙ্কে গ্রামবাসী
- ঘুমন্ত মানুষের ঘামের গন্ধে আসে এই সাপ, দংশনে নিশ্চিত মৃত্যু
বিশ্বের মজার মজার গল্প আর তথ্য সম্বলিত আইনিউজের ফিচার পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দেখুন আইনিউজের ভিডিও গ্যালারি
দিনমজুর বাবার ছেলে মাহির বুয়েটে পড়ার সুযোগ || BUET success story of Mahfujur Rhaman || EYE NEWS
হানিফ সংকেত যেভাবে কিংবদন্তি উপস্থাপক হলেন | Biography | hanif sanket life documentary | EYE NEWS
আশ্চর্য এন্টার্কটিকা মহাদেশের অজানা তথ্য | Antarctica continent countries | facts। Eye News
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?