হেলাল আহমেদ, আই নিউজ
আসল টাকা ও জাল টাকা চেনার উপায়
একটি বাংলাদেশের ৫০০ টাকার নোট।
আর মাত্র একদিন পরেই বাংলাদেশে পালিত মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতি ঈদেই অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আরেকটি প্রধান অনুসঙ্গ হিসেবে থাকে নতুন টাকার নোট। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার ফুটপাতসহ দেশের ব্যাংকগুলোতে বিপুল পরিমাণ নতুন নোট সরবরাহ করা হয়।
তবে প্রতিবছর ঈদের এই সময়ে নতুন নোটেড় প্রচুর চাহিদা থাকায় জাল নোটের ছড়াছড়িও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদ উদযাপনের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ সময় তৎপর হয়ে ওঠে কিছু অসাধু মানুষ। তাই ঈদে যারা নতুন নোট সংগ্রহ করেন তারা অনেক সময় জাল নোট নিয়ে প্রতারণার শিকার হন।
আই নিউজের আজকের এই প্রতিবেদনে জানাবো বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারও ব্যাংক নোটের মধ্যে জাল নোট এবং আসল টাকার নোট কীভাবে সনাক্ত করবেন।
জাল নোট চেনার প্রাথমিক উপায়
প্রতিটি ব্যাংক নোটের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে যা দেখে একটি আসল নোট এবং জাল নোট চেনা যায়। যেমন- নকল টাকার নোট সাধারণ কাগজে তৈরি হয় বলে নরম ধরনের নোট হয়। আসল টাকা বিশেষ ধরণের কাগজে তৈরি তাই একটু শক্ত হয়।
নকল নোটে জলছাপ অস্পষ্ট ও নিম্নমানের হয়। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’ এর স্পষ্ট জলছাপ রয়েছে। উভয়ই আলোর বিপরীতে দেখা যাবে।
আসল টাকা চিনবেন কীভাবে?
ব্যাংকের আসল টাকাগুলো বিশেষ নিরাপত্তামূলক কালিতে ছাপা হয়। এই কালি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে উঁচু-নিচু অনুভূত হয়। নকল নোটে হাতের স্পর্শে উঁচু-নিচু বা অসমতল মনে হবে না। আসল নোটে টাকার অঙ্ক লিখতে হলোগ্রাম কালি ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা নাড়াচাড়া করলে টাকার অঙ্কের রঙ পরিবর্তন হয়।
এছাড়াও আসল নোটের লেখার ওপর সরাসরি তাকালে গাঢ় গোলাপি বা লালচে এবং তির্যকভাবে তাকালে সবুজ সোনালি রং দেখা যাবে। নকল বা জাল নোটে রঙ পরিবর্তন দেখা যায় না। ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে স্পষ্ট দেখা যায় টাকার গায়ে ‘Bangladesh Bank’ লেখাটি অতি ক্ষুদ্র আকারে যা খালি চোখে দেখা যায় না।
আসল ১ হাজার টাকার নোটের কিছু উল্লেখযোগ্য চিহ্ন
- এক হাজার টাকার নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ১৩টি, তন্মধ্যে ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে প্রথম ১১টি প্রযোজ্য। এগুলো হলো:
- রং পরিবর্তনশীল হলো গ্রাফিক সুতা
- অসমতল ছাপ;
- রং পরিবর্তনশীল কালি;
- উভয়দিক থেকে দেখা;
- অন্ধদের জন্য বিন্দু ;
- জলছাপ;
- এপিঠ-ওপিঠ ছাপা;
- অতি ছোট আকারের লেখা;
- লুকানো ছাপা;
- সীমানা বর্জিত ছাপা;
- পশ্চাৎ মুদ্রণ;
- নম্বর ;
- ইরিডিসেন্ট ও স্ট্রাইপ।
ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে যেভাবে আসল নোট চিনবেন
নকল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে। আসল নোটে চার মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতাটি সামনে-পেছনে সেলাই করার মতো রয়েছে। কিন্তু পেছনের দিকে সুতাটি কাগজের ভেতরে অবস্থিত। নোটটি নাড়াচাড়া করলে সুতায় বিভিন্ন রং দেখা যাবে। যা জাল নোটের ক্ষেত্রে দেখা বা পাওয়া যাবে না।
তাছাড়া জাল নোটে আলোর দিকে ধরলে উভয় দিক থেকে সুতাটিতে ‘বাংলাদেশ’ লেখা শব্দটি উল্টা ও সোজাভাবে পড়া যাবে না। কিন্তু আসল ব্যাংক নোটে এটি উল্টা ও সোজাভাবে পড়া যাবে। নকল নোটে এতো নিখুঁত ভাবে সুতাটি দিতে পারেনা।
আসল নোটের বাম কিনারে বিশেষ ডিজাইন ছাপানো। নোটটি মোড়ানো হলে ডান কিনারের নকশার সাথে মিলে পূর্ণাঙ্গ ডিজাইন হবে। নকল নোটে এ রকম মেলানো বেশ কঠিন।
আসল ৫০০ টাকার নোট চেনার উপায়
- জাল নোটের জলছাপ অস্পষ্ট হয়ে থাকে
- প্রত্যেক মূল্যমানের নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে
- মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব নয়
- ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের ওপরের ডানদিকে কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তন করে এমন রঙ দিয়ে মুদ্রণ করা।
মেশিনের সাহায্যে জাল নোট চেনা
মেশিনের সাহায্যেও আসল নোট এবং জাল নোট সনাক্ত করা যায় সহজে। যে মেশিনটি দিয়ে টাকা যাচাই করা হয় সেটিকে বলে মানি ডিটেক্টর মেশিনটি কারেন্সি ডিটেক্ট মেশিন। এই মানি চেকারের উদ্দেশ্য হলো ভুয়া বা জাল নোটগুলি চিহ্নিত করা।
আই নিউজ/এইচএ
- ছেলেদের ইসলামিক আনকমন নাম অর্থসহ শিশুর নাম
- ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম ২০২২
- মেয়েদের ইসলামিক নাম ২০২৩
- সুন্দর বাচ্চা পিক ডাউনলোড
- মাথা ন্যাড়া করার এই অপকারিতা জানেন কি?
- শুভ সকাল রোমান্টিক মেসেজ | শুভ সকাল স্ট্যাটাস
- ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস বাংলা
- ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- কাউনের চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- অনেকেই জানেন না, সিগারেটের বাংলা অর্থ কী?